Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

সিএএ চালু আসলে বিজেপির ‘নির্বাচনী স্টান্ট’, তোপ মমতার

সিএএ চালু আসলে বিজেপির ‘নির্বাচনী স্টান্ট’, তোপ মমতার
মোদি সরকারের সিএএ কার্যকর করার কথা ঘোষণার পরেই সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি।  জম্মু-কাশ্মীর থেকে তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র থেকে অসম—একযোগে সরব বিরোধী নেতৃত্ব। মোদি সরকারের নাগরিকত্ব …


 



সিএএ চালু আসলে বিজেপির ‘নির্বাচনী স্টান্ট’, তোপ মমতার


মোদি সরকারের সিএএ কার্যকর করার কথা ঘোষণার পরেই সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি।  জম্মু-কাশ্মীর থেকে তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র থেকে অসম—একযোগে সরব বিরোধী নেতৃত্ব। মোদি সরকারের নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় সবচেয়ে বেশি সরব ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই আইনের বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার আগেই গর্জে উঠেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। প্রশ্ন তুলেছেন, নির্বাচন ঘোষণার দু‘তিন আগে এই আইন কেন বলবৎ করা হচ্ছে। তাঁর কথায়, লোকসভা ভোটের মুখে এটা আসলে বিজেপির ‘নির্বাচনী স্টান্ট’। 

মোদিকে মমতার বার্তা, ‘মধ্যরাত্রে এমন কিছু করবেন না, যাতে মানুষ বিপদে পরতে হয়। এটা ফ্রিডম অ্যাট মিডনাইট নয়, এটা প্রতারণা। নির্বাচনের আগে মানুষের সঙ্গে বিজেপির ছলনা। আমার প্রশ্ন এই আইন ২০১৯ সালে পাশ হয়েছে। তাহলে চার বছর পরে হঠাৎ করে ভোটের মুখে কেন? এটা আসলে ওদের নির্বাচনী পদক্ষেপ।’ সূত্রের খবর, সিএএ চালু হওয়ায় রাজ্যের পুলিস প্রশাসনকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে। এরাজ্যের একটি মানুষকেও যে তিনি উচ্ছেদ করতে দেবেন না এবং এখানে ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি করতে দেবেন না বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছে মমতা। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘এমন করছে যেন এটা একটা ছেলের হাতের মোয়া।’ 

মোদির কাছে তাঁর প্রশ্ন, সিএএ হলে কী মানুষ আগে যে সুযোগ-সুবিধা পেতেন সেগুলো অবৈধ হয়ে যাবে? এদের ভোটে জিতেই তো আপনি প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন।  সাধারণ মানুষের উদ্দ্যশে মমতার আশ্বাস – ‘সবাইকে বলি কেউ ভয় পাবেন না, চিন্তা করবেন না। মনে রাখবেন ভারতবর্ষে যারা বসবাস করেন, বাংলায় যারা বসবাস করেন তারা সকলে নাগরিক। তাদের সব অধিকার বজায় থাকবে।’

এই আইনের বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই সরব ছিল দক্ষিণের রাজ্য তামিলনাড়ু। স্বাভাবিকভাবেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তির পরে সরব হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন। তিনি বলেছেন, সিএএ চালু করে বিজেপি বিভাজনমূলক রাজনীতি করতে চাইছে। মুসলিম ও শ্রীলঙ্কার তামিলদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে বিজেপি। আমজনতার ভয়ে বিজেপি এই আইনটিকে ঠান্ডা ঘরে পাঠিয়েছিল। ভোটের মুখে মোদি তাঁর ডুবন্ত জাহাজকে বাঁচাতে ধর্মীয় সুড়সুড়ি দিয়ে রাজনৈতিক ফয়দা তুলতে চাইছেন।

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের প্রতিক্রিয়া, মুদ্রাস্ফীতির জেরে দেশের দরিদ্র ও মধ্যবিত্তদের নাভিশ্বাস উঠছে। চাকরির জন্য দরজায় দরজায় ঘুরছে। সেই সমস্ত সমস্যার সমাধানের বদলে তারা সিএএ চালু করল। এর অর্থ, তারা প্রতিবেশী দেশগুলি থেকে ভারতে লোক আনতে চায়। নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক তৈরি করার জন্য। এনসিপি শারদ গোষ্ঠীর প্রধান শারদ পাওয়ারের দাবি, নির্বাচনী বন্ড ইস্যু থেকে নজর ঘোরাতেই সিএএ কার্যকর করা হয়েছে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর হতেই বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে অসমের বিরোধী দলগুলি। কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ের হুঁশিয়ারি দিয়েছে অল ইন্ডিয়া স্টুডেন্টস ইউনিয়ন। অসমের কংগ্রেস নেতা দেবব্রত সইকিয়া সিএএ কার্যকর করার সিদ্ধান্তকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন। রায়জোর দলের সভাপতি তথা বিধায়ক অখিল গগৈ বলেন, ‘অসমে অবৈধভাবে বাস করা ১৫-২০ লক্ষ বাংলাদেশি হিন্দুকে আইনি বৈধতা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল। এই অসাংবিধানিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামা ছাড়া আর কোনও পথ নেই।’ বিজেপিকে বিঁধে অখিলেশ যাদব এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘যখন দেশের মানুষ কাজের খোঁজে বাইরে চলে যাচ্ছেন, তখন অন্যদের জন্য নাগরিকত্ব আইন এনে কী হবে?লোকসভা ভোটের মুখে সিএএ চালু কেন করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রাষ্ট্রীয় জনতা দল। কেন্দ্রীয় সরকার ভোটব্যাঙ্কের দিকে তাকিয়ে সিএএ কার্যকর করেছে বলে দাবি ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা অজয় সাদহোত্রার।

এদিকে, নমঃশূদ্র বিকাশ পরিষদের চেয়ারম্যান মুকুল বৈরাগ্য বলেন, আমরা আদালতে যাওয়ার চিন্তাভাবনা শুরু করেছি। কারণ কে কবে ভারতে এসেছে, তার প্রমাণ কী করে পাওয়া যাবে? আর আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ডগুলির ভবিষ্যৎ কী হবে?

No comments