Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

তমলুক লোকসভায় তৃণমূলের নির্বাচিত এমপি ল্যাডের সাড়ে ৪ কোটি টাকা পড়ে প্রতিটি লোকসভা এলাকায় পাঁচ বছরে

স্কিম জমা দিতে ব্যর্থ, তমলুক লোকসভায় তৃণমূলের নির্বাচিত এমপি ল্যাডের সাড়ে ৪ কোটি টাকা পড়ে প্রতিটি লোকসভা এলাকায় পাঁচ বছরে তমলুক লোকসভার সাংসদ কোটার প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা এখনও পড়ে রয়েছে। সময়মতো স্কিম জমা না পড়ায় ওই টাকা বরাদ্দ …

 




স্কিম জমা দিতে ব্যর্থ, তমলুক লোকসভায় তৃণমূলের নির্বাচিত এমপি ল্যাডের সাড়ে ৪ কোটি টাকা পড়ে প্রতিটি লোকসভা এলাকায় পাঁচ বছরে

 তমলুক লোকসভার সাংসদ কোটার প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা এখনও পড়ে রয়েছে। সময়মতো স্কিম জমা না পড়ায় ওই টাকা বরাদ্দ করা যায়নি। এবারের লোকসভা নির্বাচনী প্রচারে এটাই তৃণমূল কংগ্রেসের মস্তবড় ইস্যু হতে চলছে। করোনা মহামারীতে প্রায় দু'বছর কেন্দ্রীয় সরকার সাংসদ কোটার টাকা বন্ধ রেখেছিল। তারপর ২০২২-'২৩ এবং ২০২৩- '২৪ আর্থিক বছরে তমলুক লোকসভার উন্নয়নের জন্য ১০ কোটি টাকা এলেও ৫ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা স্কিমের জন্য বরাদ্দ হয়েছে। এপ্রসঙ্গে তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী বলেন, স্কিম জমা করতে দেরি হয়েছিল। তাই প্রায় চার কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা জমা রয়েছে ট্রেজারিতে।২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকেই তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দুর সঙ্গে দলের ঠিকমতো যোগাযোগ নেই। প্রকাশ্যে বিজেপিতে যোগ না দিলেও একাধিকবার গেরুয়া দলের প্রতি তাঁকে প্রশংসা করতে শোনা গিয়েছে। পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। কিন্তু, দু'বারের সাংসদ নিজের তহবিলের টাকা ঠিকমতো খরচ করতে পারেননি।উন্নয়নমূলক কর্মসূচির জন্য ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। করোনা পরিস্থিতির কারণে ১৭তম লোকসভার সদস্যদের প্রত্যেকের এলাকার জন্য ২৫ কোটির বদলে ১৭ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। করোনা মহামারীর আগে সাত কোটি এবং পরে আরও ১০ কোটি টাকা এসেছে। তমলুক লোকসভা এলাকায় করোনা পরবর্তী বরাদ্দ ১০ কোটির মধ্যে ৫ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা স্কিমপিছু বরাদ্দ করা হয়েছে। অর্থাৎ কাজের জন্য জেলা প্রশাসন অর্থ মঞ্জুর করেছে। বাকি ৪ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা এখনও ট্রেজারিতে জমা। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সময়মতো স্কিম জমা না পড়ায় প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা পড়ে রয়েছে। অনেকক্ষেত্রে স্কিম পরিবর্তন করা হয়েছে। আবার, জমির কাগজপত্র ঠিকঠাক না থাকায় স্কিম মঞ্জুর করতে সমস্যাও হয়েছে। সংসদ সদস্য কোটার টাকায় রাস্তাঘাট, সেতু, পানীয় জল, নিকাশি, আলো, টয়লেট, সৌন্দর্যায়ন সহ নানারকমের কাজ করা যায়। স্কিম জমা পড়ার পর প্রশাসন খতিয়ে দেখে। তারপর সবকিছু ঠিকঠাক হলেই টাকা বরাদ্দ করা হয়। কিন্তু, স্কিম জমা করতে দেরি হলে কিংবা স্কিম বদল হলে অর্থ বরাদ্দ করতে সময় লাগে। সেক্ষেত্রে ট্রেজারিতে টাকা জমা থাকে।তমলুক লোকসভার অধীন তমলুক, হলদিয়া, ময়না, নন্দকুমার, মহিষাদল, নন্দীগ্রাম এবং পাঁশকুড়া পূর্ব বিধানসভা পড়ে। এই লোকসভা এলাকার অনেক রাস্তাঘাটের মান খারাপ। স্কুল বিল্ডিং বেহাল। অনেক জায়গায় খালের উপর ভরসা কাঠের সেতু। বাজার এলাকায় কমিউনিটি টয়লেটের অভাব। কাজের সুযোগ থাকলেও পরিকল্পনা অনুযায়ী স্কিম তৈরি না হওয়ায় টাকা পড়ে রয়েছে। এবারের লোকসভা ভোটে এই বিষয়টাকে ইস্যু করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস।

দলের জেলা সভাপতি অসিত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার প্রতি বঞ্চনার নজির গড়ছে। আর, তৃণমূলের টিকিটে জিতে তমলুকের সাংসদ বিজেপির কথায় উন্নয়নমূলক কাজে সময়মতো স্কিম জমা করেননি। এরফলে সাংসদ কোটার অর্থে ঠিকমতো কাজ করা যায়নি। এবার লোকসভা ভোটে এরজন্য তমলুক লোকসভার ভোটাররা বিজেপি প্রার্থীর কাছে কৈফিয়ত চাইবেন। এটা এবারের লোকসভা ভোটে আমাদের বড় ইস্যুও।

No comments