ছারপোকার কামড়ে বেড়ানোটাই মাটি
ছুটির সময় বাইরে ঘুরতে যেতে কার না ভালো লাগে। কিন্তু দিনের শেষে যদি ছারপোকার কামড়ে হোটেলে ঘুম না হয়? গত দু’বছরে ব্রিটেনবাসীর কাছে এটাই আতঙ্কের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তথ্য জানাচ্ছে, দু’বছরে ব্রিটে…
ছারপোকার কামড়ে বেড়ানোটাই মাটি
ছুটির সময় বাইরে ঘুরতে যেতে কার না ভালো লাগে। কিন্তু দিনের শেষে যদি ছারপোকার কামড়ে হোটেলে ঘুম না হয়? গত দু’বছরে ব্রিটেনবাসীর কাছে এটাই আতঙ্কের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তথ্য জানাচ্ছে, দু’বছরে ব্রিটেনের হোটেলে ছারপোকার উপদ্রব ২৭৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্প্রতি এক রিপোর্টে এই তথ্য তুলে ধরেছে কেমব্রিজের কোম্পানি স্পটা। পাঁচ বছর বিভিন্ন হোটেলের ঘরে নজরদারি চালায় পোকামাকড় সংক্রান্ত এই সংস্থা। তাও শুধু এক, দু’টো রাত নয়। ২৫ লক্ষ রাত। তাতেই উঠে এসেছে এই ভয়াবহ চিত্র। চলতি বছরের পূর্বাভাস আরও মারাত্মক। প্রথম তিনমাসেই এই পোকার দাপাদাপিতে ঘুম উড়েছে হোটেলবাসীর। রিপোর্টে জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালের প্রথম তিনমাসের তুলনায় এবছর একইসময় ছারপোকার দাপট পাঁচগুণ বেশি। সামনের সপ্তাহে ইস্টার উইকেন্ড। শুক্রবার থেকে সোমবার পর্যন্ত লম্বা ছুটি। এই সময় হাওয়া বদলের জন্য বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বর্তমানে ছারপোকার ঝামেলায় হোটেল বুক করার আগে তিনবার চিন্তা করছে ব্রিটেনবাসী। একটি নতুন সমীক্ষা জানাচ্ছে, এই সমস্যার জেরে ব্রিটেনের এক-চতুর্থাংশ উপভোক্তা হোটেলে রুম নিতে চাইছেন না। সাধারণ হোটেল হোক বা এয়ার বিএনবি। সবক্ষেত্রেই ছবিটা কম বেশিএকইরকম। এবিষয় পর্যটন বিশেষজ্ঞ সাইমন ক্যাল্ডারের বক্তব্য, ‘স্পটার এই নতুন সমীক্ষা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এই পোকার জ্বালায় অনেকেই ছুটি কাটানোর আনন্দ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ছারপোকা নিয়ে এই আতঙ্ক মানুষের মনের উপর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে। করোনা মহামারীর জেরে ব্রিটেনের হোটেল শিল্প অনেকটা ধাক্কা খেয়েছে। তার রেশ এখনও কাটেনি। এখন শুধুমাত্র ভয়ের কারণে মানুষ যদি হোটেলে না আসে তাহলে বিপদ আরও বাড়বে। এই পরিস্থিতিতে দ্রুত সমস্যার সমাধান করা দরকার।’
No comments