Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

তাপমাত্রার ওঠাপড়ার সঙ্গে রাজ্যজুড়ে চলছে ভাইরাল সংক্রমণের দাপাদাপি

তাপমাত্রার ওঠাপড়ার সঙ্গে রাজ্যজুড়ে চলছে ভাইরাল সংক্রমণের দাপাদাপি
এই রোদ, এই বৃষ্টি। তাপমাত্রার ওঠাপড়ার সঙ্গে রাজ্যজুড়ে চলছে ভাইরাল সংক্রমণের দাপাদাপি।  কচিকাঁচা থেকে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, রেহাই পাচ্ছেন না কেউই। তিন থেকে পাঁচদিনের জ্ব…

 

তাপমাত্রার ওঠাপড়ার সঙ্গে রাজ্যজুড়ে চলছে ভাইরাল সংক্রমণের দাপাদাপি


এই রোদ, এই বৃষ্টি। তাপমাত্রার ওঠাপড়ার সঙ্গে রাজ্যজুড়ে চলছে ভাইরাল সংক্রমণের দাপাদাপি।  কচিকাঁচা থেকে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, রেহাই পাচ্ছেন না কেউই। তিন থেকে পাঁচদিনের জ্বর, গা হাত পা ব্যথা,  ম্যাজমেজে ভাব, খিদেয় অনীহা  রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে সব বাড়িতে। আর একজনের হলে  নিমেষে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বাড়ির আর পাঁচজনের মধ্যে। জ্বর কমলেও অস্বাভাবিক দুর্বলতা এবং অরুচি সঙ্গী থাকছে সপ্তাহখানেক। কিছু ক্ষেত্রে দোসর আবার ডেঙ্গু! বর্ষা পরের কথা, এপ্রিল-মে মাসের গরমের আগেই রাজ্যজুড়ে এখনও পর্যন্ত  সাড়ে পাঁচশোর বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন ডেঙ্গুতে। আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে উপরের দিকে উত্তর ২৪ পরগনা,  মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া, মালদহ ও কলকাতা। 
চিকিৎসকরা সতর্ক করে দিয়ে বলছেন,  খুব কম এবং খুব বেশি বয়সিদের ক্ষেত্রে সাবধান থাকতে হবে। রাজ্যে ইনফ্লুয়েঞ্জা এ ভাইরাসের দাপট চলছে। পঞ্চাশোর্ধ্বদের অনেকেই কম সময়ের মধ্যে  নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন। দুই ফুসফুসে নিউমোনিয়ার জন্য ভর্তি থাকতে হচ্ছে হাসপাতালে। অল্প বয়সিদের মধ্যে নিউমোনিয়ার প্রাদুর্ভাব ততটা না-হলেও জ্বরের সঙ্গে কাশি  ও গলাব্যথা—এক থেকে দু’সপ্তাহ থাকছে।  চিকিৎসকদের মতে, জ্বরে দুমদাম অ্যান্টিবায়োটিক একদম নয়।  তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি থাকলে প্রতি ৫ ঘণ্টা অন্তত প্যারাসিটামল  দেওয়া যেতে পারে। এছাড়া প্রচুর পরিমাণে জল, ডাবের জল, রসাল ফল  এবং হালকা খাওয়া-দাওয়াই পথ্য। সঙ্গে দরকার বিশ্রাম। 
বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সৌমিত্র ঘোষ বলেন, গতবছরের তুলনায় এবছর ভাইরাল ইনফেকশনের দাপট বেশি।  এবছর ইনফ্লুয়েঞ্জা এ ভাইরাসে সংক্রামিত হচ্ছেন বহু মানুষ। যাঁদের বয়স একটু বেশি, তাঁদের অনেকেই নিউমোনিয়ার আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালে ভর্তি রেখে অক্সিজেন, কিছু ক্ষেত্রে স্টেরয়েড দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হচ্ছে। আর অল্পবয়সিদের ক্ষেত্রে জ্বরের সঙ্গে কাশি থেকে যাচ্ছে অনেক দিন। বিশিষ্ট শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার অরুণ মাঙ্গলিক বলেন, ঠান্ডা-গরমের জন্য বাচ্চারা ভুগছে বেশি। তিন থেকে পাঁচদিন ১০২ থেকে ১০৩ ডিগ্রি টেম্পারেচার থেকে যাচ্ছে অনেকের। তারপর জ্বর কমলেও শরীর দুর্বল থাকছে। ওষুধপত্র গ্রহণের পাশাপাশি, পর্যাপ্ত জল খাওয়ার উপরও জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। 

No comments