হাওড়া স্টেশনের ইন্টারলকিং সিস্টেমে গুরুতর ত্রুটির জেরে পরিষেবা বন্ধ
হাওড়া স্টেশনের ইন্টারলকিং সিস্টেমে গুরুতর ত্রুটির জেরে পরিষেবা ব্যাপকভাবে ব্যাহত হল। আজ ভোর ৫টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে, হাওড়া-কাটিহার এক্সপ্রেসের একটি খ…
হাওড়া স্টেশনের ইন্টারলকিং সিস্টেমে গুরুতর ত্রুটির জেরে পরিষেবা বন্ধ
হাওড়া স্টেশনের ইন্টারলকিং সিস্টেমে গুরুতর ত্রুটির জেরে পরিষেবা ব্যাপকভাবে ব্যাহত হল। আজ ভোর ৫টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে, হাওড়া-কাটিহার এক্সপ্রেসের একটি খালি রেক যখন হাওড়া স্টেশনের ছয় নম্বর প্লাটফর্ম থেকে ঝিল সাইডিং এর দিকে যাচ্ছিল, সেই সময় ৯০ নম্বর পয়েন্টের কাছে সেটি লাইন থেকে বেরিয়ে আসে। এর ফলে হাওড়া স্টেশনের এক থেকে ছয় নম্বর প্লাটফর্ম যাওয়ার সব ট্র্যাক গুলি আটকে যায়। সম্পূর্ণ ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এক থেকে ছয় নম্বর প্ল্যাটফর্ম পর্যন্ত। এই ঘটনার জেরে প্রায় ২২ টি লোকাল ট্রেন বাতিল করতে হয় পূর্ব রেলকে। সাতটা নাগাদ ১ থেকে ৫ নম্বর প্লাটফর্ম পৌঁছোনোর ট্র্যাকগুলি থেকে কাটিহার এক্সপ্রেসের রেক সরিয়ে ফেলে ট্রেন চলাচলের জন্য প্রস্তুত করা হয়। সাড়ে সাতটার পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
যে যান্ত্রিক ত্রুটি হয়েছিল সেটিকে রেলের ভাষায় ‘রুট বার্স্ট’ করা বলে। ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং এর মাধ্যমে কাটিহার এক্সপ্রেসকে ঝিল সাইডিং এ যাবার জন্য নির্দিষ্ট রুট তৈরি করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই অনুযায়ী ট্র্যাক পরিবর্তন হয়নি। ফলে স্টেশন ছেড়ে বেরোনোর পর ঝিল সাইডিং যাওয়ার রুট ছেড়ে ট্রেনটি সেই লাইন থেকে বেরিয়ে আসে এবং ঢুকে পড়ে অন্য লাইনে। ট্রেনটি সম্পূর্ণ ভুল লাইনে ঢুকে পড়ার কারণে পরপর এতগুলি লাইন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখছে রেল। তবে আরও বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো।
No comments