লোকসভা কেন্দ্র বসিরহাট: কী বলছেন সাংসদ নুসরত জাহান
আমার নির্বাচনী এলাকার ভৌগোলিক অবস্থার কারণে বেশ কিছু গ্রামে জল সরবরাহের ক্ষেত্রে সমস্যা হয়। আমি সমস্যা সমাধানে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। প্রত্যন্ত এলাকায় সৌর বিদ্যুতের ব্যবস্থা করেছি…
লোকসভা কেন্দ্র বসিরহাট: কী বলছেন সাংসদ নুসরত জাহান
আমার নির্বাচনী এলাকার ভৌগোলিক অবস্থার কারণে বেশ কিছু গ্রামে জল সরবরাহের ক্ষেত্রে সমস্যা হয়। আমি সমস্যা সমাধানে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। প্রত্যন্ত এলাকায় সৌর বিদ্যুতের ব্যবস্থা করেছি। এই ব্যবস্থা একদিকে যেমন পরিবেশবান্ধব, সেই সঙ্গে আর্থিকভাবেও মানুষের সাশ্রয় হয়। এলাকা উন্নয়ন খাতে এমপি ল্যাড ফান্ডে ১৭ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। তার মধ্যে ১৬ কোটি ৯৭ লক্ষ টাকা খরচ করতে পেরেছি।
আমার এলাকার কিশোরী, তরুণীদের মধ্যে ঋতুস্রাব সংক্রান্ত সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। এটা আমার অত্যন্ত প্রয়োজনীয় মনে হয়েছিল। সেই জন্য বিভিন্ন স্কুল-কলেজে স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন বসানো হয়েছে। বেশ কয়েকটি স্কুল ও কলেজে অত্যাধুনিক স্মার্ট ক্লাসরুম স্থাপন করেছি। ভালো পড়াশোনার জন্য শিক্ষাকেন্দ্রের সুন্দর পরিবেশ খুব দরকারি বলে আমার মনে হয়। সেকথা মাথায় রেখেই স্মার্ট ক্লাসরুম চালুর একাধিক উদ্যোগ নিয়েছি আমরা। আবাসিক ব্যবস্থাপনায় পড়াশোনার জন্য হস্টেলও তৈরি করা হয়েছে।
আমার সংসদ এলাকা উপকূলবর্তী। বিভিন্ন সময় ঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব বসিরহাট লোকসভা বিস্তীর্ণ অংশে পড়েছে। ভয়াবহ উম-পুন এলাকা তছনছ করে দিয়েছে। সেই সময় দেখেছি, মানুষ কীভাবে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। তারপর এলাকা পুনর্গঠনে সাংসদ হিসেবে যথাসাধ্য সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। দ্রুত রাস্তা মেরামতির জন্য স্কাই জ্যাকার মেশিন আনানোর ব্যবস্থা করেছি। আমার নির্বাচনী কেন্দ্রে প্রচুর মাদ্রাসা রয়েছে। মাদ্রাসার উন্নয়নের জন্য যখনই দরকার হয়েছে, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। মাদ্রাসার জন্য যেমন এগিয়ে গিয়েছি, তেমনই সাহায্য করেছি লোকনাথ বাবা ধামের জন্যও।
আমি সাংসদ থাকাকীলন এসেছে করোনার মতো মহামারী। সেই দুঃসময়ে মানুষের পাশে থেকেছি। তেমনই আনন্দ-উত্সবেও এলাকার মানুষ আমাকে তাঁদের পাশে পেয়েছে। গত পাঁচ বছরে আমার এলাকার মানুষকে সাংসদ হিসেবে পরিষেবা দিতে পেরে আমি কৃতজ্ঞ। এসবের মধ্য দিয়েই অসামান্য অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকতে পেরেছি। যে যা-ই বলুক, আমি মানুষের অভাব-অভিযোগ মেটানোর যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি।
এলাকার সৌন্দর্যায়নে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে গত পাঁচ বছরে। বসিরহাট জেলা হাসপাতালে আইসোলেসন ওয়ার্ডে ভেন্টিলেটর স্থাপন করেছি। পার্ক তৈরি করা হয়েছে। পানীয় জলের মেশিন বসানো হয়েছে। আর্সেনিক মুক্ত জল সরবারহর জন্য পিউরিফিকেশন প্লান্ট বসানো হয়েছে। আমি অত্যন্ত সততার সঙ্গে কাজ করে এসেছি। আমার গোটা টিম আমাকে সবসময় সাহায্য করেছে। তাঁদের পাশাপশি বসিরহাটের প্রত্যেক মানুষকে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই।
No comments