Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

ইলেক্টোরাল বন্ড কী?

ইলেক্টোরাল বন্ড কী?এই ইলেক্টোরাল বন্ড কী? আর তা নিয়ে এত বিতর্ক কেন? ২০১৭ সালের বাজেট বক্তৃতায় ইলেক্টোরাল বন্ড চালু হবে বলে ঘোষণা করেছিলেন তৎকালীন মোদি সরকারের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। কিন্তু এর বিস্তারিত কিছু ব্যাখ্যা দেওয়া হয়ন…

 



ইলেক্টোরাল বন্ড কী?

এই ইলেক্টোরাল বন্ড কী? আর তা নিয়ে এত বিতর্ক কেন? ২০১৭ সালের বাজেট বক্তৃতায় ইলেক্টোরাল বন্ড চালু হবে বলে ঘোষণা করেছিলেন তৎকালীন মোদি সরকারের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। কিন্তু এর বিস্তারিত কিছু ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। ২১ আগস্ট প্রথমবার অর্থমন্ত্রকের তরফে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি প্রেজেন্টেশন দেওয়া হয়। কিন্তু জানা গিয়েছে, এ বিষয়টি আগেই জানত বিজেপি। বস্তুত চারদিন আগেই বিজেপির তৎকালীন  সাধারণ সম্পাদক ভূপেন্দ্র যাদব অর্থমন্ত্রককে এ বিষয়ে দলের অভিমত জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন। বিজেপির যুক্তি মেনেই ঠিক হয়েছিল, কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোনও রাজনৈতিক দলকে চাঁদা দিতে চাইলে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া থেকে ইলেক্টোরাল বন্ড কিনতে পারেন। এর মাধ্যমে পছন্দের  দলকে অনুদান দেওয়া যাবে। এই বন্ড যে বা যারা কিনবে, তাদের পরিচয় গোপন থাকে।  সরকারের যুক্তি ছিল, নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কালো টাকায় লাগাম টেনে  সচ্ছ্বতা আনতে সহায়ক হবে বন্ড।  ২০১৮ সালের ইলেক্টোরাল বন্ড স্কিমে এই বন্ডের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলিকে অনুদানের অনুমতি দেওয়া হয় যে কোনও ভারতীয় নাগরিক ও কোম্পানিকে। অ্যাসোসিয়েশন অব ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস (এডিআর) প্রকল্পের ব্যাখ্যা দিয়ে জানিয়েছে,১ হাজার, ১০ হাজার, ১ লক্ষ, ১০ লক্ষ ও ১ কোটি টাকা মূল্যের বন্ড পাওয়া যায়। দাতাদের পছন্দের রাজনৈতিক দলগুলি নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে সেই বন্ড ভাঙাতে হয়।  ১৫ দিনের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলিকে বন্ড ভাঙিয়ে নিতে হয়। বছরের নির্দিষ্ট সময়ে ব্যাঙ্ক থেকে বন্ড পাওয়া যায়। কোনও ব্যক্তি একক বা অন্যান্যদের সঙ্গে যৌথভাবে বন্ড কিনতে পারেন।  কোনও ব্যক্তি বা কর্পোরেট কতগুলি বন্ড কিনতে পারবে তার কোনও ঊর্ধ্বসীমা নেই।  ১৫ দিনের মধ্যে বন্ড ভাঙানো না হলে স্বীকৃতি ব্যাঙ্ককে ওই অর্থ প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে পাঠিয়ে দিতে হয়। বন্ড মারফত প্রাপ্ত অনুদানের বার্ষিক রিপোর্ট রাজনৈতিক দলগুলিকে নির্বাচন কমিশনের কাছে পেশ করতে হয়। কিন্তু দাতাদের নাম ও ঠিকানা প্রকাশ করার প্রয়োজন হয় না। আর এই বিষয়টি নিয়েই  ইলেক্টোরাল বন্ডের সচ্ছ্বতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।  ভোটের সময় কোন কর্পোরেট সংস্থা কোন দলের হয়ে ঝুলি উপুড় করছে এবং তার বিনিময়ে সরকারের কাছ থেকে তারা কোনও সুবিধা আদায় করছে কি না, তা জানা সম্ভব নয়।    

No comments