Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লিতে স্থানান্তরিত

রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লিতে স্থানান্তরিত
বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনের ধাক্কা সামলাতে পারেনি ব্রিটিশ রাজ। সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের পর আরও একটি পদক্ষেপ নিয়েছিল তারা। ১৯১১ সালে দেশের রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লিতে স্থানান্তরের সিদ্ধা…

 


রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লিতে স্থানান্তরিত


বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনের ধাক্কা সামলাতে পারেনি ব্রিটিশ রাজ। সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের পর আরও একটি পদক্ষেপ নিয়েছিল তারা। ১৯১১ সালে দেশের রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লিতে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে রাজধানীর মর্যাদা পরোক্ষভাবে আরও দু’দশক বহন করে চলেছিল তিলোত্তমা। কারণ, ১৯৩১ সালে ১৩ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে দেশের রাজধানী হয় নয়াদিল্লি। ব্রিটিশ সম্রাট পঞ্চম জর্জের দিল্লি দরবারে ১৯১১ সালেই অবশ্য এব্যাপারে সিলমোহর পড়েছিল। যুক্তি হিসেবে ভৌগোলিক কারণ, প্রশাসনিক জটিলতা সহ একগুচ্ছ তত্ত্ব হাজির করে ব্রিটিশ সরকার। যদিও সেগুলির বাস্তব ভিত্তি নিয়ে বারংবার প্রশ্ন উঠেছে। আসলে পিঠ বাঁচাতে এসব কারণগুলি দেখিয়েছিল তারা। আদপে বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে বাংলায় যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তার ধাক্কায় বেসামাল হয়ে পড়ে ব্রিটিশরাজ। তার উপর  মাথাচাড়া দিচ্ছিল চরমপন্থী আন্দোলনও। সব মিলিয়ে রাতের ঘুম উড়ে যায় ‘শাসকদের’। তাই রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লিতে স্থানান্তরিত করতে চিঠি যায় তত্কালীন সেক্রেটারি অব স্টেট ফর ইন্ডিয়ার কাছে। তাতে নানা অসুবিধার কথা উল্লেখ করেছিলেন তত্কালীন ভাইসরয়। যদিও প্রকৃত কারণ বুঝতে অসুবিধা হয়নি বড়কর্তাদের। কলকাতা থেকে দিল্লিতে রাজধানী সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার দাবি মান্যতা পায়। পঞ্চম জর্জের হাত ধরে শুরু হয় স্থানান্তরের প্রক্রিয়া। দিল্লিকে রাজধানী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে (বলা ভালো, সাজিয়ে তুলতে) চার বছর সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল ব্রিটিশরা। কিন্তু, প্রথম বিশ্বযুদ্ধ সেই পরিকল্পনায় জল ঢেলে দেয়। যুদ্ধে বিপুল খরচ সামলে রাজধানীতে প্রশাসনিক দপ্তর সহ অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক অফিস তৈরির কাজ ধাক্কা খায়। এর মধ্যে ধাপে ধাপে সিভিল লাইনসে তৈরি হয় সরকারের অস্থায়ী অফিস। আধিকারিকদের বসবাসের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও। প্রাথমিকভাবে চার বছরের সময়সীমা ধার্য হলেও দিল্লিকে সাজিয়ে তুলতে ২০ বছর লেগে যায়। ১৯৩১ সালে তত্কালীন ভাইসরয় লর্ড আরউইনের  হাত ধরে বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশের রাজধানী হিসেবে যাত্রা শুরু করে দিল্লি।

No comments