Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

পুরসভা এলাকার ভূমিহীন মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে এবার উদ্যোগী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

পুরসভা এলাকার ভূমিহীন মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে এবার উদ্যোগী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়রাজ্যের সমস্ত পুরসভা এলাকার ভূমিহীন মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে এবার উদ্যোগী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকারই দেবে জমি কিংবা বাড়…

 



পুরসভা এলাকার ভূমিহীন মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে এবার উদ্যোগী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

রাজ্যের সমস্ত পুরসভা এলাকার ভূমিহীন মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে এবার উদ্যোগী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকারই দেবে জমি কিংবা বাড়ি। সৌজন্যে ‘নিজ গৃহ নিজ ভূমি’ প্রকল্প। বাংলার ১২৮টি পুরসভার অধীন শহর, শহরতলি ও মফস্সলের আর্থিকভাবে দুর্বল অংশের (ইডব্লুএস) মানুষকে এই প্রকল্পের আওতায় আনতে চলেছে নবান্ন। তাদের মাথায় ছাদের পাকাপাকি বন্দোবস্ত করে দেওয়া হবে পুরোপুরি রাজ্য সরকারের টাকাতেই। সরকারি খাস জমি কিংবা বিভিন্ন দপ্তরের হাতে থাকা জায়গা তুলে দেওয়া হবে ওই ভূমিহীনদের হাতে। কোথাও তেমন সুযোগ না থাকলে বিকল্প আবাসনের ব্যবস্থা করবে নবান্ন।

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এই প্রকল্পটির বাস্তবায়নে একটি মন্ত্রিগোষ্ঠী তৈরি করা হয়েছিল। সেটির সদস্যরা হলেন পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। গত ১২ ফেব্রুয়ারি বিধানসভায় আইনমন্ত্রীর ঘরে বসেছিল মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠক। সেখানেই স্থির হয়েছে, পুর এলাকায় ভূমিহীন মানুষদের জমি দেবে সরকার। আর যেখানে জমির দাম বেশি কিংবা একলপ্তে বড় এলাকা পাওয়া মুশকিল, সেখানে গড়ে দেওয়া হবে আবাসন। এপ্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘ভূমিহীন মানুষদের জমির অধিকার দিতে চান মুখ্যমন্ত্রী। সেই লক্ষ্যে এই নয়া প্রকল্প নিয়ে নীতিগতভাবে একমত হয়েছেন মন্ত্রিগোষ্ঠীর সদস্যরা। আমাদের সুপারিশ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। আশা করি খুব শীঘ্রই তার সুফল পাবে প্রান্তিক বঙ্গবাসী।’

সূত্রের দাবি, মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠকে স্থির হয়েছে কলকাতা, হাওড়া, বিধাননগর সহ একাধিক জায়গায় নিজস্ব খরচে বহুতল গড়ে দেবে রাজ্য সরকার। উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গ ও জঙ্গলমহল এলাকায় সরকারি জমি তুলে দেওয়া হবে ভূমিহীনদের হাতে। তার জন্য জেলাশাসকের অধীনে থাকা ল্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কমিটি প্রতিটি জেলায় এমন জমি চিহ্নিত করবে। সেব্যাপারে যাবতীয় তথ্য দেওয়া হবে প্রশাসনকে। তারপর সংশ্লিষ্ট আবেদন খতিয়ে দেখবে জেলার স্ক্রিনিং কমিটি। জানা গিয়েছে, ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আইনে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া অংশের মানুষরাই এই জমি কিংবা বাড়ি পাওয়ার যোগ্য। সরকারের কাছে এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য জেলাস্তরে আবেদন করতে হবে তাদের। বিভিন্ন ধাপে যাচাই করার পর গৃহীত হবে সেই আর্জি।

নবান্নের এক কর্তা জানিয়েছেন, খাস কিংবা বিভিন্ন দপ্তরের হাতে থাকা জমির পাট্টা-অধিকার ভূমিহীন মানুষদের হাতে তুলে দেবে রাজ্য। তবে কোথাও তেমনটা সম্ভব না হলে থাকবে ফ্ল্যাটের বন্দোবস্ত, যার ন্যূনতম মূল্য ধার্য হয়েছে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা। সেটির মালিকানা তুলে দেওয়া হবে আবেদনকারীর হাতে। চন্দ্রিমাদেবীর দাবি, ভূমিহীন মানুষদের দিয়ে সার্বিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ। এটি আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গকে দেশের মধ্যে মডেল হিসেবে তুলে ধরবে।

No comments