পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এসবিআই ও পিএনবির মতো রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক ঠিকমতো সহযোগিতা করছে না বলে দাবি প্রশাসনের
সরকারি স্কিমে লোন দিতে গড়িমসি ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে ঋণ মঞ্জুর হলেও অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে গড়িমস…
পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এসবিআই ও পিএনবির মতো রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক ঠিকমতো সহযোগিতা করছে না বলে দাবি প্রশাসনের
সরকারি স্কিমে লোন দিতে গড়িমসি ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে ঋণ মঞ্জুর হলেও অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে গড়িমসি করছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এসবিআই ও পিএনবির মতো রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক এক্ষেত্রে ঠিকমতো সহযোগিতা করছে না বলে দাবি প্রশাসনের। তারজন্য ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে পাল্টা চাপে রাখতে ডিএম অফিস বিল্ডিংয়ে দুই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের জন্য ঘর অনুমোদন করেও ছাড়ছে না প্রশাসন। দুই ব্যাঙ্ক হোর্ডিং লাগানো থেকে পর্যাপ্ত এসি বসানো ও যাবতীয় ডেকোরেশনের কাজ সম্পূর্ণ করে ফেলেছে। তারপর এক বছর সময় কেটে গেলেও এখনও বিল্ডিং হস্তান্তর করা হয়নি। এক্ষেত্রে প্রশাসনের একটাই বক্তব্য, সরকারি প্রকল্পে ব্যাঙ্ক সহযোগিতার হাত না বাড়ালে তাদের জন্য বরাদ্দ করা ঘর হস্তান্তর করা হবে না।জেলাশাসক তানবীর আফজল বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক আমাদের ঠিকমতো সহযোগিতা করলে আমরাও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেব।
পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের নিমতৌড়ি শাখা ১১৬ জাতীয় সড়কের ধারে একটি বিল্ডিংয়ের দোতলায় ভাড়ায় চলে। তাই নিমতৌড়িতে নতুন প্রশাসনিক ভবন তৈরি হওয়ার পর পিএনবি কর্তৃপক্ষ ওই প্রশাসনিক ভবনে ব্যাঙ্ক স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নেয়। একইভাবে ডিএম অফিস ক্যাম্পাসে এসবিআই একটি নতুন শাখা খোলার উদ্যোগ নিয়েছে। সেইমতো প্রশাসনিক ভবনের সি ব্লকে গ্রাউন্ড ফ্লোরে পাশাপাশি দু'টি ব্যাঙ্কের জন্য ঘর বরাদ্দ করা হয়। পাশেই এটিএম কাউন্টারের জন্য জায়গা চিহ্নিত হয়েছে। এরপরই দুই ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ হোর্ডিং লাগানো, এসসি বসানো সহ যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে ফেলে।দুই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক নিমতৌড়ির প্রশাসনিক ভবন থেকে তাদের শাখা খোলার তদ্বির শুরু করতেই প্রশাসন এখনই হস্তান্তর সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেয়। রাজ্যের জনকল্যাণমুখী প্রকল্প ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে ঋণ মঞ্জুর হওয়ার পরও উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে সময়মতো টাকা দেওয়া হচ্ছে না। এমনকী, ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ডে ভর্তুকির টাকা বরাদ্দ হওয়ার পরও স্কিমের টাকা পাচ্ছেন না অনেক উপভোক্তা। গত ৭ ফেব্রুয়ারি স্টেট লেভেল ব্যাঙ্কার্স কমিটির (এসএলবিসি) জেনারেল ম্যানেজার শিবশঙ্কর সিং, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের সার্কেল হেড রঞ্জিত সিং এবং লিড ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার উজ্জ্বল বর প্রমুখ জেলাশাসকের সঙ্গে এনিয়ে মিটিং করেন। সেখানেই ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন জেলাশাসক।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লোনের সুবিধা নিতে মোট ৭২৮৪জন আবেদন করেন। তারমধ্যে ২৬০৮ জনের আবেদন মঞ্জুর হয়ে গিয়েছে। অথচ, সকলের অ্যাকাউন্টে টাকা যায়নি। একই অবস্থা স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের ক্ষেত্রেও। জেলায় ৬হাজার ৭৩২টি আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। অথচ, লোন মঞ্জুর হওয়ার পরও অনেক যুবক-যুবতী এখনও টাকা পাননি। তাই এবিষয়ে ব্যাঙ্ককে পাল্টা চাপে রাখার কৌশল নিয়েছে প্রশাসন। এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
No comments