Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

জল পান করে কি সৌন্দর্য ধরে রাখা যায়?

জল পান করে কি সৌন্দর্য ধরে রাখা যায়?আমাদের শরীরের ৭০ শতাংশই জল দ্বারা তৈরি। জল থাকে কোষের অন্দরে, যাকে ইন্ট্রাসেলুলার ফ্লুইড বলে। আবার জল থাকে কোষের বাইরে। যাকে বলে এক্সট্রাসেলুলার ফ্লুইড। নানা কার্য পরিচালনার জন্য জল অপরিহার্য।…

 


জল পান করে কি সৌন্দর্য ধরে রাখা যায়?

আমাদের শরীরের ৭০ শতাংশই জল দ্বারা তৈরি। জল থাকে কোষের অন্দরে, যাকে ইন্ট্রাসেলুলার ফ্লুইড বলে। আবার জল থাকে কোষের বাইরে। যাকে বলে এক্সট্রাসেলুলার ফ্লুইড। নানা কার্য পরিচালনার জন্য জল অপরিহার্য। জল ছাড়া মানবশরীর ধারণ করা অসম্ভব। রোজ তাই পর্যাপ্ত মাত্রায় জল পান করতেই হবে। 

কতটা জল পান

একজন প্রাপ্তবয়স্ককে প্রতিদিন তিন লিটার জল পান করতেই হবে। পর্যাপ্ত মাত্রায় জল পানে শরীরের রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক থাকে। আর শরীরে জলের মাত্রা সঠিক থাকলে কিডনি, লিভার, স্প্লিন, ইনটেসটাইন থেকে আরম্ভ করে শরীরের সমস্ত অভ্যন্তরীণ অঙ্গ সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে পারে।

ডায়ারিয়া, বমির মতো হঠাৎ বিপদে

বমি, ডায়ারিয়া হলে, ১ লিটার জলে ১ প্যাকেট ওআরএস গুলে পান করতে হয়। কারণ শরীরে ইলেকট্রোলাইটস ব্যালেন্স সঠিক রাখতে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উপাদান হল ওআরএস। 

মনে রাখবেন— শরীরে ইলেকট্রালাইটস ইমব্যালেন্স হলে সেক্ষেত্রে রোগীর মধ্যে অস্থিরতা দেখা যায়। রোগীর মুখ শুকিয়ে যায়, ঘন ঘন পিপাসা পায়। তাঁকে বিভ্রান্ত দেখায়, হাঁটাচলা করতে সমস্যা হয়, পেশিতে প্রবল ব্যথা থাকে। রোগীর অত্যন্ত ক্লান্ত বোধ হয়, প্যালপিটেশন হয়।

মনে রাখবেন, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে রোগী কোমায় চলে যেতে পারেন। এছাড়া রোগীর হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কাও এড়ানো যায় না। তাছাড়া বমি হলে এবং শরীরে জলের মাত্রা কমতে থাকলে রক্ত চাপ কমতে থাকবে। কিডনিতে রক্ত সঞ্চানও যায় কমে। সেখান থেকে হতে পারে অ্যাকিউট রেনাল ফেলিওর। লাগতে পারে ডায়ালিসিস। অতএব রোজ পর্যাপ্ত জল পান জরুরি।

কাদের বেশি জল পান নিষেধ?

ক্রনিক কিডনি ডিজিজ, ডায়ালিসিস, হার্ট ফেলিওর, লিভার সিরোসিসের রোগীকে মাত্রাতিরিক্ত জল পান থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। তাঁদের নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে জল পান করতে বলা হয়।

কীভাবে পান করবেন জল

সকালে ঘুম থেকে উঠেই খালি পেটে ঈষদুষ্ণ জল পান করতে পারেন। এরপর তৃষ্ণা অনুসারে জলপান করুন। তবে হ্যাঁ, দুপুরে খাবার খাওয়ার ১ ঘণ্টা কাটলে তবেই জল পান করুন। আর রাতে খাবার খাওয়ার ১ ঘণ্টা পরে খান জল। তবে পরিশ্রুত জল পান জরুরি। কারণ জল থেকে একাধিক সংক্রমণ হয়। উদাহরণ হিসেবে টাইফয়েড ফিভার, ভাইরাল হেপাটাইটিস এ এবং ই-এর কথা বলা যায়।

ত্বকের লাভ

মানুষ বাইরে থেকে ত্বকে উপর নানা ধরনের প্রসাধনী প্রয়োগ করেন। অথচ সত্যিটা হল, ত্বকই দেহের সবচাইতে বড় অঙ্গ। তাই শরীরের অন্দরে কোনও সমস্যা হলে তার প্রভাব আগে ত্বকে পড়ে। ফলে কোনও ব্যক্তি জল পান কমিয়ে দিলে বা তাঁর শরীরে জলের অভাব হলে তাঁর ত্বক হয়ে পড়ে শুষ্ক, নির্জীব। পর্যাপ্ত মাত্রায় জল পানে কোষ ও কোষের অন্দরে জলের মাত্রা স্বাভাবিক থাকে। এর ফলে ত্বক থাকে টানটান, প্রাণবন্ত। এরসঙ্গে অবশ্য ডায়েটও সঠিক হওয়া দরকার। তাহলেই আর আলাদা করে বাইরে থেকে ত্বকে কোনও প্রসাধনী প্রয়োগ করার দরকার পড়বে না।

ছোটদের জল পান

ছোটদের জল পান করতে হবে শরীরের ওজন অনুসারে। প্রতি কেজি দৈহিক ওজন পিছু পান করতে হবে ১০০ এমএল জল। অর্থাত্ কোনও বাচ্চার দৈহিক ওজন ১০ কেজি হলে সারাদিনে তার জল পানের মাত্রা হওয়া প্রয়োজন প্রায় ১ লিটার মতো।

No comments