পরীক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদেরও মোবাইল না আনার কড়া হুঁশিয়ারি

পরীক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদেরও মোবাইল না আনার কড়া হুঁশিয়ারি
পরীক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদেরও মোবাইল না আনার কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে আজ, শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। সকাল ৯টা ৪৫মিনি…

 

পরীক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদেরও মোবাইল না আনার কড়া হুঁশিয়ারি

পরীক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদেরও মোবাইল না আনার কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে আজ, শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। সকাল ৯টা ৪৫মিনিট থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সওয়া তিন ঘণ্টা ঘরে পরীক্ষা চলবে। সেন্টার সেক্রেটারি, সেন্টার ইনচার্জ, ভেন্যু সুপারভাইজার এবং সংসদ মনোনীত প্রতিনিধিরা ফোন রাখতে পারলেও পরীক্ষার হলে ঢুকতে পারবেন না। শুধু পরীক্ষার কাজেই সেগুলি ব্যবহার করা যাবে। অন্য কেউ ভুল করে মোবাইল এনে ফেললে তা ভেন্যু সুপারভাইজারের কাছে জমা রাখতে হবে। পরীক্ষা চলাকালীন উল্লিখিত ব্যক্তি ছাড়া কারও কাছে মোবাইল মিললে পরীক্ষার্থীর মতো তাঁদের রিপোর্টও সংসদের কাছে জমা পড়বে ‘কনফিডেনশিয়াল ফরম্যাটে’। এতে পরীক্ষার্থীর যেমন পরীক্ষা বাতিল হতে পারে, তেমনই অন্যদের ক্ষেত্রে হতে পারে চাকরি নিয়ে টানাটানি।

সংসদ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, কেউ মোবাইলসমেত ধরা পড়লে পরীক্ষা পরিদর্শক বা কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক-আধিকারিকরা ফোন এবং পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র বাজেয়াপ্ত করবেন। প্রাথমিক রিপোর্ট পাঠাতে হবে সংসদের উপসচিবের (পরীক্ষা) কাছে। মাধ্যমিকের থেকে শিক্ষা নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে ইনভিজিলেটর বা পরিদর্শকদের বাড়তি দায়িত্ব দিয়েছে সংসদ। একজন পরিদর্শক তাঁর কক্ষে কারও কাছে মোবাইল নেই, এটা নিশ্চিত করার পরেই শুরু হবে পরীক্ষা। কেন্দ্রের ভিতরে বাইরে মোবাইল এবং অন্যান্য নিষিদ্ধ বৈদ্যুতিন যন্ত্রাদি আনার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা সংবলিত পোস্টারও সাঁটানো থাকছে।

শত কড়াকড়ির পরেও, কেউ মোবাইল সঙ্গে নিয়ে কেন্দ্রে ঢুকে প্রশ্নপত্র ভাইরাল করলে তাকে চিহ্নিত করার শেষ রাস্তা হিসেবে থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা। প্রশ্নপত্রের সিরিয়াল নম্বরের গোপন প্রযুক্তিই ধরিয়ে দেবে কুকীর্তি। তবে তল্লাশির জন্য অন্তত প্রথম দিন পরীক্ষার্থীদের আগেভাগে কেন্দ্রে ঢুকে যাওয়াই ভালো বলে পরামর্শ শিক্ষকদের। সংসদ জানিয়েছে, সকাল ৯টা থেকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে ছাত্রছাত্রীদের। আজ প্রায় ৭ লক্ষ ৯০ হাজার পরীক্ষার্থী ২,৩৪১টি কেন্দ্রে প্রথম ভাষার পরীক্ষায় বসতে চলেছে।