ভারতবর্ষের সেরা স্পোর্টস স্কুল হিসেবে PEFI NATIONAL AWARD পায় হলদিয়া ডিএভি পাবলিক স্কুল?
পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম বৃহত্তম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হল হলদিয়ার ডি এ ভি পাবলিক স্কুল,। শুধু শিক্ষা ক্ষেত্রে নয় ক্রীড়া ক্ষেত্রেও এই স্কুল বিশেষ …
ভারতবর্ষের সেরা স্পোর্টস স্কুল হিসেবে PEFI NATIONAL AWARD পায় হলদিয়া ডিএভি পাবলিক স্কুল?
পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম বৃহত্তম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হল হলদিয়ার ডি এ ভি পাবলিক স্কুল,। শুধু শিক্ষা ক্ষেত্রে নয় ক্রীড়া ক্ষেত্রেও এই স্কুল বিশেষ ভাবে নজর কেড়েছে। ২০২৩ সালে এই স্কুল ভারতবর্ষের সেরা স্পোর্টস স্কুল হিসেবে PEFI NATIONAL AWARD পায়।
ভারত সরকারের ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ মন্ত্রক এ বছর ডি এ ভি ন্যাশনাল স্পোর্টস কে স্বিকৃতি দিয়েছে।গত ৪ ঠা জানুয়ারি থেকে ৮ ই জানুয়ারি পর্যন্ত দিল্লি, পানিপথ,নয়ডা,সম্ভল,মিরাট, ফরিদাবাদ ও গাজিয়াবাদে ৩০ টি ইভেন্ট নিয়ে বালক ও বালিকা বিভাগের ডি এ ভি ন্যাশনাল স্পোর্টস -২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়। সারা ভারতবর্ষ থেকে প্রায় ৭ হাজার প্রতিযোগী ও প্রতিযোগিনী বিভিন্ন রাজ্যের হয়ে অংশগ্রহণ করে। পশ্চিমবঙ্গ জোন থেকে ২৭৬ জন খেলোয়াড় এবং ৫৭ জন কোচ ও ম্যানেজার ১৭ টি ইভেন্টে অংশগ্রহণ করে।
পশ্চিমবঙ্গ জোন ব্যাডমিন্টন, সুইমিং,দাবা,যোগাসন,কারাটে,এ্যথেলেটিক্স,তাইকোন্ডো, টেবিল টেনিস, বক্সিং, এ একাধিক পদক লাভ করেছে। হলদিয়ার ডি এ ভি পাবলিক স্কুল থেকে ১৯ জন প্রতিযোগী পশ্চিমবঙ্গ জোনের হয়ে জাতীয় স্তরে অংশগ্রহণ করে। তারা ৬ টি সোনা,৪ টি রুপো ও ৭ টি ব্রোঞ্জ পদক লাভ করে। স্কুলের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র ওনি গোস্বমী সাঁতার থেকে ২ টি সোনা,২ টি রুপো ও ১ টি ব্রোঞ্জ এবং একাদশ শ্রেণীর অপর ছাত্রী অদিত্রি চক্রবর্তী সাঁতার থেকে ৪ টি ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে। এছাড়া সোনা পেয়েছে - ব্যাডমিন্টনে সেক রেহান রহমান, প্রাঞ্জল দাস, যোগাসনে তানিসা দাস,এ্যথেলেটিক্স এ সাহাবাজ আনোয়ার। রুপো পেয়েছে - টেবিল টেনিসে আভেরি বেরা, তাইকোন্ডো তে দেবাশ্রিতা জানা, যোগাসনে ঐশীদ্যুতি মিশ্র। অপর এক ছাত্রী প্রিয়াংশী পেয়েছে সাঁতার থেকে ২ টি ব্রোঞ্জ। এই ফলাফলে স্কুলের প্রিন্সিপাল স্যার, শিক্ষক শিক্ষিকা এবং ছাত্র ছাত্রীরা ভীষণ খুশি হয়েছেন। প্রিন্সিপাল নিতিশ প্রসাদ দত্ত পদক প্রাপক সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন যে ছাত্র ছাত্রীদের খেলা ধুলার ব্যাপারে তিনি সব সময় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন। স্কুলের ক্রীড়া শিক্ষক ত্রিদিব হাজরা বলেন স্কুলের উন্নত ক্রীড়া পরিকাঠামো,প্রিন্সিপাল স্যারের পরামর্শ, অবিভাবকদের সহযোগিতা, সর্বোপরি ছাত্র ছাত্রীদের কঠোর পরিশ্রমের ফলে এই সাফল্য এসেছে।
No comments