Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

সঙ্গীতজগতে নক্ষত্রপতন! কিংবদন্তী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী রশিদ খানের জীবনাবসান

সঙ্গীতজগতে নক্ষত্রপতন! কিংবদন্তী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী রশিদ খানের জীবনাবসান
ভারতীয় সঙ্গীতজগতে নক্ষত্রপতন। কিংবদন্তী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী রশিদ খানের জীবনাবসান। বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। আজ, মঙ্গলবার কলকাতার বাইপাস সংলগ্ন একটি বেসরকারি …

 


সঙ্গীতজগতে নক্ষত্রপতন! কিংবদন্তী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী রশিদ খানের জীবনাবসান


ভারতীয় সঙ্গীতজগতে নক্ষত্রপতন। কিংবদন্তী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী রশিদ খানের জীবনাবসান। বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। আজ, মঙ্গলবার কলকাতার বাইপাস সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে দুপুর ৩.৪৫ নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মহান এই শিল্পী।  গত ২২ নভেম্বর থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। গত কয়েক বছর ধরে শিল্পী প্রস্টেট ক্যানসারে ভুগছিলেন। চিকিৎসায় সাড়াও দিচ্ছিলেন। এর মধ্যে সম্প্রতি তাঁর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়। সেখান থেকেই শারীরিক অবস্থার অবনতি। মাঝে হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালীন চিকিৎসায় ভালো সাড়া দিচ্ছিলেন। আশা করা হচ্ছিল, দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন তিনি। কিন্তু আজ সকালে আচমকাই তাঁর শারীরিক অবস্থার ফের অবনতি হয়। জানা যায় তা অতি সঙ্কটজনক। তাঁকে ভেন্টিলেশনে স্থানান্তর করা হয়।  যদিও শেষরক্ষা করা যায়নি। শিল্পীর শারীরিক অবস্থা অতি সঙ্কটজনক জানতে পেরে হাসপাতালে ছুটে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাসরা। শোকবার্তায় মুখ্যমন্ত্রী জানান, খুবই অল্পবয়সে চলে গেলেন রশিদ। রশিদ নেই ভাবতেই পারছি না। গায়ে কাঁটা দিচ্ছে। আর কোনদিনই সরাসরি রশিদের গান শুনতে পাব না খারাপ লাগছে। এরপর তিনি জানান, আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হাসপাতালেই শায়িত থাকবে শিল্পী মরদেহ। রাতে পিস হাভেনে রাখা থাকবে দেহ। আগামী কাল, বুধবার রবীন্দ্র সদনে জনসাধারণের শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য শিল্পীর মরদেহ নিয়ে আসা হবে। দুপুর ১টায় সেখানেই পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গান স্যালুট দেওয়া হবে রশিদ খানকে। এরপর বিকালে টালিগঞ্জের কবরস্থানে হবে শেষকৃত্য।
১৯৬৮ সালের ১ জুলাই উত্তরপ্রদেশের বদায়ূঁতে জন্ম রশিদের। তিনি রামপুর-সাসওয়ান ঘরানার শিল্পী। যে ঘরানার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ইনায়েত হুসেন খাঁ-সাহেব। রশিদ তালিম নিয়েছেন এই ঘরানারই আরও এক দিকপাল উস্তাদ নিসার হুসেন খাঁ-সাহিবের কাছ থেকে। যিনি ছিলেন রশিদের দাদু। রশিদের মামা গোয়ালিয়র ঘরানার উস্তাদ গুলাম মুস্তাফা খাঁ-সাহেবের থেকেও তালিম নিয়েছেন। এগারো বছর বয়সে রশিদ তাঁর প্রথম সঙ্গীতানুষ্ঠান করেন। মূলত শাস্ত্রীয় সঙ্গীত গাইলেও ফিউশন বা বলিউড এবং টলিউডের ছবিতে বহু জনপ্রিয় গানও গেয়েছেন শিল্পী। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ভিত হলেও বলিউড ও টলিউডের একাধিক সিনেমায় গান গেয়েছেন উস্তাদ রশিদ খান। তার মধ্যে ‘জব উই মেট’ সিনেমায় ‘আওগে যব তুম সজনা’ গানটি সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করে। শাহরুখ খানের ‘মাই নেম ইজ খান’ সিনেমায় ‘আল্লা হ্যায় রহেম’ গানটি গেয়েছেন শিল্পী। ‘মান্টো’র ‘বোল কে লব আজাদ হ্যায়’ থেকে ‘মিতিন মাসি’র ‘বরসাত সাওয়ান’— প্রত্যেক গানে শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন শিল্পী। ২০০৬ সালে পদ্মশ্রী পেয়েছিলেন উস্তাদ রাশিদ খান। সেই বছরই সঙ্গীত নাটক আকাদেমি পুরস্কার পান তিনি। ২০২২ সালে তাঁকে পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত করা হয়। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে পেয়েছিলেন বঙ্গবিভৃষণ সম্মাণও। রশিদ খানের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ সঙ্গীত মহল।

No comments