Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

কেন্দ্রীয় সংস্থায় চাকরি দেওয়ার নামে ট্রেনিং সেন্টার খুলে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ হয়েছে-পূর্ব মেদিনীপুরে

কেন্দ্রীয় সংস্থায় চাকরি দেওয়ার নামে ট্রেনিং সেন্টার খুলে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ হয়েছে-পূর্ব মেদিনীপুরে
কেন্দ্রীয় সংস্থায় চাকরি দেওয়ার নামে ট্রেনিং সেন্টার খুলে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ হয়েছে। মারিশদা থানার অধীন নাচিন্দায় অফিস খুলে শ…

 




কেন্দ্রীয় সংস্থায় চাকরি দেওয়ার নামে ট্রেনিং সেন্টার খুলে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ হয়েছে-পূর্ব মেদিনীপুরে


কেন্দ্রীয় সংস্থায় চাকরি দেওয়ার নামে ট্রেনিং সেন্টার খুলে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ হয়েছে। মারিশদা থানার অধীন নাচিন্দায় অফিস খুলে শতাধিক যুবকের কাছ থেকে টাকা তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ। পদ অনুযায়ী মাথাপিছু ১০থেকে ১৫লক্ষ টাকা করে নিয়েছে প্রতারকরা। ওই সংস্থা কলকাতার কলেজস্ট্রিট, খড়দহ এবং বর্ধমানেও এভাবে সেন্টার খুলে প্রতারণা করেছে বলে অভিযোগ। মারিশদা থানার গামাডুলি গ্রামের বলাই মান্না এনিয়ে প্রতারণায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর করেছেন। নিজের দুই ছেলের জন্য ১৭লক্ষ টাকা দিয়ে সর্বস্বান্ত বলাইবাবু। ছেলেদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে এক বিঘা জমি বিক্রি করার পাশাপাশি স্ত্রীর গয়না বেচে ওই টাকা দিয়েছিলেন। ছেলেদের চাকরি না হওয়ায় মানসিক অবসাদে ভুগে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু হয়।

কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের অধীন একটি সংস্থায় প্রশিক্ষণ দিয়ে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে নাচিন্দায় ট্রেনিং সেন্টার খোলা হয়েছিল। খেজুরি থানার বারাতলার বাবুল মণ্ডল এবং হেঁড়িয়ার আশিস দেবনাথ নাচিন্দা সেন্টার পরিচালনার দায়িত্বে ছিল। সেখানে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার চাকরির টোপ দিয়ে শুরু হয় মগজ ধোলাই। ইচ্ছুক প্রার্থীদের নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রার্থীদের কাছ থেকে মাথাপিছু ১০-১৫লক্ষ টাকার রফা হয়। চার-পাঁচ দফায় ওই টাকা তোলা হয়। প্রশিক্ষণ চলাকালীন প্রার্থীদের মাসে ছ’হাজার টাকা করে স্টাইপেন্ড দেওয়া হয়। এভাবে ১০০-র বেশি যুবক সেখানে ভর্তি হন। তাঁরা প্রশিক্ষণ নেন। প্রশিক্ষণ শেষে পরীক্ষা হয়। ফল প্রকাশের পর নিয়োগপত্র ইস্যু করা হয়। রেজিস্ট্রেশন, ট্রেনিং, পরীক্ষা এবং নিয়োগপত্র ইস্যু অবধি প্রতি পর্যায়ে টাকা নেওয়া হয়। নিয়োগপত্র হাতে পাওয়ার পর ওই প্রার্থীরা অফিসে গিয়ে জানতে পারেন, সেটি ভুয়ো। তারপরই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার মতো অবস্থা। 

নাচিন্দায় ওই নিয়োগ দুর্নীতি চক্রে রতন মান্না, শ্যামল বিশ্বাস, দেউলবাড়ের মানস মণ্ডল সহ অনেকেই প্রতারিত হয়েছেন। সবমিলিয়ে প্রায় ১০০জন প্রতারিত। কয়েক কোটি টাকা আত্মসাতের পর ওই ট্রেনিং সেন্টারে ঝাঁপ ফেলে অভিযুক্তরা গা ঢাকা দেয়। অভিযুক্ত বাবুল মণ্ডল শিল্যাবাড়িতে একটি ঘরভাড়া নেয়। সেখানেও নিয়োগের টোপ দিয়ে বেকার ছেলেদের কাছ থেকে প্রচুর টাকা তুলেছে বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত দু’জন এক সময় সিপিএমের নেতা ছিলেন। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হিমাংশু দাস বলেন, অভিযুক্তরা প্রচুর টাকা তুলে গাঢাকা দিয়েছে বলে জেনেছি। তবে, তাদের সঙ্গে দলের কোনওসময় যোগাযোগ ছিল না। 

মারিশদা থানার গামাডুলি গ্রামের বলাই মান্না তাঁর দুই ছেলের চাকরির জন্য মোট ১৭লক্ষ টাকা দিয়ে এখন সর্বস্বান্ত। পথে বসার মতো অবস্থা। এক বিঘা জমি বিক্রি করেছেন। স্ত্রীর সব গয়না বিক্রি করেছেন। চাকরি না হওয়ায় স্ত্রী অবসাদগ্রস্ত হয়ে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি প্রতারণায় অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাইছি। কেন্দ্রীয় সংস্থায় চাকরির টোপ দিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। এনিয়ে পুলিসের উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। মারিশদা থানার ওসি প্রলয়কুমার চন্দ্র বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শুরু হয়েছে।

No comments