নদী ক্রুজ পর্যটনের ‘হাব’ হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ: জাহাজমন্ত্রী অভ্যন্তরীণ জলপথ পরিবহণ পরিকাঠামো উন্নয়নের বেশ কিছু কাজ হবে পশ্চিমবঙ্গে। সোমবার কলকাতায় অভ্যন্তরীণ জলপথ উন্নয়ন কাউন্সিলের প্রথম বৈঠকে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠকের…
নদী ক্রুজ পর্যটনের ‘হাব’ হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ: জাহাজমন্ত্রী
অভ্যন্তরীণ জলপথ পরিবহণ পরিকাঠামো উন্নয়নের বেশ কিছু কাজ হবে পশ্চিমবঙ্গে। সোমবার কলকাতায় অভ্যন্তরীণ জলপথ উন্নয়ন কাউন্সিলের প্রথম বৈঠকে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় জাহাজমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনেওয়াল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গের নদী পর্যটন ক্রুজের প্রধান ‘হাব’ হতে চলেছে। এর জন্য অবস্থানগত ও অন্যান্য সুবিধা রয়েছে এই রাজ্যের। নদী ক্রুজের ক্ষেত্রে আগামী দিনে দেশে ৪৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের কথা জানিয়েছেন তিনি।
এদিনের বৈঠকে ২০টি রাজ্যের প্রতিনিধি হাজির ছিলেন। রাজ্যের পরিবহণ দপ্তরের প্রধান সচিব সৌমিত্র মোহনও ছিলেন সেখানে। বাংলার কয়েকটি নদীর গভীরতা বৃদ্ধির জন্য ড্রেজিং করা হবে বলে জানিয়েছেন অভ্যন্তরীণ জলপথ পরিবহন সংস্থার চেয়ারম্যান সঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০টি জেটি নির্মাণ করা হচ্ছে রাজ্যে। একটি ‘রো রো’ প্রকল্প হবে। ফরাক্কা ব্যারেজে স্লুইস গেট সংস্কারের কাজ হবে ক্রুজ যাতায়াতের সুবিধার জন্য। কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর জানিয়েছেন, রাজ্যের জলপথ উন্নয়নে শুধু ড্রেজিংয়ের জন্যই ২৫০ কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে।
২০৪৭ সালের মধ্যে অভ্যন্তরীণ জলপথে পণ্য পরিবহণের পরিমাণ ৫০০ মিলিয়ন টন করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত বিষয়ে ১৫ হাজার কোটি টাকার ‘মউ’ স্বাক্ষর হয়েছে। জাহাজ মন্ত্রকের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরতে এদিন কলকাতা বন্দরের সাফল্য উল্লেখ করেন সোনেওয়াল। বলেন, ‘২০১৪ সালে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ ৭০ কোটি টাকা লোকসান করেছিল। আর এবার বন্দর ৫৫০ কোটি টাকা লাভ করেছে।’
কাউন্সিলের প্রথম বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ‘হরিৎ নৌকা গাইডলাইন’ ও নদীতে ক্রুজ ট্যুরিজম রোডম্যাপ প্রকাশ করেন। পরিবেশবান্ধব জলযান নির্মাণে বিশেষ জোর দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। এক্ষেত্রে ১৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে। নদী ক্রুজ ট্যুরিজমে যে ৪৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে, তার মধ্যে ৩৫ হাজার কোটি লাগবে জলযান নির্মাণে। টার্মিনাল সহ পরিকাঠামো উন্নয়নে খরচ হবে বাকি টাকা।
No comments