Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

সোনার পাতে মুড়ছে কালীঘাট মন্দিরের তিনটি চূড়া

সোনার পাতে মুড়ছে কালীঘাট মন্দিরের তিনটি চূড়া
সেজে উঠছে কালীঘাট মন্দির। ধাপে ধাপে সেই কাজ শুরু হয়েছে আগেই। এবার সোনার পাতে মুড়ছে কালীঘাট মন্দিরের তিনটি চূড়া। সেই কাজও এখন শেষ পর্যায়ে। প্রায় পাঁচ কেজি সোনা লাগছে এর জন্য। কালীঘাট মন্…

 


সোনার পাতে মুড়ছে কালীঘাট মন্দিরের তিনটি চূড়া


সেজে উঠছে কালীঘাট মন্দির। ধাপে ধাপে সেই কাজ শুরু হয়েছে আগেই। এবার সোনার পাতে মুড়ছে কালীঘাট মন্দিরের তিনটি চূড়া। সেই কাজও এখন শেষ পর্যায়ে। প্রায় পাঁচ কেজি সোনা লাগছে এর জন্য। কালীঘাট মন্দির সংস্কারের কাজ করছে রিলায়েন্স। সেই কাজের অংশ হিসেবে প্রাচীন এই মন্দিরের তিনটি চূড়া সোনা দিয়ে মোড়া হচ্ছে। মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী ফেব্রুয়ারিতেই মায়ের মন্দিরের এই নয়া সজ্জা সামনে আসবে। চূড়া তিনটি সোনার পাতে মুড়তে প্রায় ৩ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে বলে খবর। 

গত বছরের জুন মাসে কালীঘাট মন্দির সংস্কারের দায়িত্ব পায় রিলায়েন্স গোষ্ঠী। সেই খবর প্রথম প্রকাশ করেছিল ‘বর্তমান’। গত নভেম্বরে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে বিষয়টি খোলসা করেন স্বয়ং মুকেশ আম্বানি। তিনি জানান, তাঁর স্ত্রী নীতা আম্বানি কালীঘাট মন্দিরের বিষয়ে খুবই উৎসাহী। তাই তাঁর রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন এই মন্দির সংস্কারের কাজ করতে চায়। সেই মতো মিলেছে অনুমতিও। তবে সম্প্রতি এই সংস্কার নিয়ে কিছু বিতর্ক তৈরি হয়। মন্দির চত্বরের কুণ্ডুপুকুরে ফোয়ারা এবং বাহারি আলো বসানো নিয়ে প্রশ্ন ওঠে বিভিন্ন মহলে। পবিত্র এই জলাশয়ের সঙ্গে ভক্তদের ভাবাবেগ জড়িত। তাই সংস্কার এবং সৌন্দর্যায়নের নামে ওই পুকুরের সাবেকি কাঠামো নষ্ট করে ফেলা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন কেউ কেউ। 

সোনার চূ‌ড়া প্রতিস্থাপন সহ কিছু কাজের জন্য মন্দিরের উপরের অংশে লোহার কাঠামো তৈরি করা হয়েছে। কাপড় দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে গোটা মন্দির। ভিতরে চলছে কাজ। মন্দির কমিটির সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘গয়নায় যে ধরনের সোনা ব্যবহার হয়, সেই সোনা দিয়েই তিনটি চূড়া সাজানো হয়েছে। রিলায়েন্স জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারির মধ্যেই তারা মন্দির সংস্কারের কাজ শেষ করে ফেলবে।’ 

বর্তমানে মায়ের গর্ভগৃহ, ভোগঘর, নাটমন্দির, শিবমন্দির, কুণ্ডুপুকুর থেকে শুরু করে মন্দিরের চাতাল, ভিতর এবং বাইরের প্রাচীর সহ গোটা মন্দিরের সংস্কার ও সৌন্দর্যায়নের কাজ চলছে জোরকদমে। তবে সবটাই হচ্ছে এই স্থানের ঐতিহ্য ও পবিত্রতা বজায় রেখে। মন্দিরের গর্ভগৃহ, ভোগঘর, নাটমন্দির, শিবমন্দির গ্রেড ‘এ’ হেরিটেজের আওতাভুক্ত। তাই কাজ শুরুর আগে কলকাতা পুরসভার হেরিটেজ কমিটি ও রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের অনুমোদনও নেওয়া হয়েছে। গত কালীপুজোর পর থেকে মূল মন্দির ও গর্ভগৃহ সংস্কারের কাজে হাত দেওয়া হয়।

No comments