Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

বারংবার বাসি খাবার গরম করে খাওয়ার কু’অভ্যেসেই ধীরে সুস্থে ঝাঁঝরা হচ্ছে স্বাস্থ্য। কীভাবে?

বারংবার বাসি খাবার গরম করে খাওয়ার  কু’অভ্যেসেই ধীরে সুস্থে ঝাঁঝরা হচ্ছে স্বাস্থ্য। কীভাবে? 
আধুনিক যুগে ক্রমশ ঘেঁটে যাচ্ছে ফ্যামিলি এবং ওয়ার্ক লাইফ ব্যালেন্স। ফলে আলাদা করে শখের রান্না বা রেলিশ করে খাবার খাওয়ার সময় নেই চাকুরিজীবী …

 

বারংবার বাসি খাবার গরম করে খাওয়ার  কু’অভ্যেসেই ধীরে সুস্থে ঝাঁঝরা হচ্ছে স্বাস্থ্য। কীভাবে? 


আধুনিক যুগে ক্রমশ ঘেঁটে যাচ্ছে ফ্যামিলি এবং ওয়ার্ক লাইফ ব্যালেন্স। ফলে আলাদা করে শখের রান্না বা রেলিশ করে খাবার খাওয়ার সময় নেই চাকুরিজীবী বাঙালি বাবু-বিবিদের। অতএব ভরসা রবিবার। ওইদিন এক লপ্তে তিন-চারদিনের রান্না করে ঠুসে দিতে হবে রেফ্রিজেটরের পেটে। তারপর দরকার মতো ফ্রিজ থেকে বের করে শুধু গরম করে নিয়ে খেলেই চলবে! অথচ এভাবে বারংবার বাসি খাবার গরম করে খাওয়ার  কু’অভ্যেসেই ধীরে সুস্থে ঝাঁঝরা হচ্ছে স্বাস্থ্য। কীভাবে? দেখা যাক—


ভাত: এক দিনের বেশি ভাত জমিয়ে রাখলে ভাতে ব্যাকটেরিয়া বেড়ে ওঠার সুযোগ পায়। সেই ভাত গরম করলেই জীবাণু দ্রুত হারে বৃদ্ধি পেতে থাকে যা ফুড পয়জনিং-এর কারণ হতে পারে।

শাকসব্জি: সবুজ শাকসব্জিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে নাইট্রেট। শরীর এই নাইট্রেটকে নাইট্রাইটে রূপান্তরিত করে। তবে বারংবার উচ্চ তাপমাত্রায় শাকসব্জিকে গরম করলে তা সব্জির নাইট্রেটকে সক্রিয় করে তোলে। ফলে হজম হওয়ার সময় ওই শাকসব্জি কার্সনোজেনিক বা ক্যান্সার উৎপাদক নানা পদার্থ তৈরি করতে পারে।

মাংস: যত বাসি হয় ততই  মাংসে থাকা প্রোটিনের গুণগত মান কমে যা পেটের পক্ষে ভালো নয়। তাই মাংসই রান্নার পর বড়জোর একবার গরম করে খাওয়া যায়। তার বেশি নয়। 

দুধ: দুধে থাকে খনিজ ক্যালশিয়াম সহ অন্যান্য ভিটামিন যা বারংবার গরম করলে নষ্ট হতে থাকে।

ডাল: দ্রুত জীবাণু সংক্রমণ হয় ডালে। তাই ডাল বেশি পরিমাণে রান্না করে সংরক্ষণ করা উচিত নয়।

তেল ও ভাজাভুজি: কিছু ভাজার পর খানিকটা তেল কড়াইয়ে বেঁচে গেলে অনেক বাড়িতেই সেই বাড়তি তেল বাটিতে তুলে রাখা হয়। সেই তেলে ফের রান্না হয়। ভয়ঙ্কর ক্ষতিকর এই অভ্যেস। কারণ উচচ তাপে তেল থেকে এক ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক তৈরি হয় যার নাম অ্যালডিহাইড। এই রাসায়নিক হার্টের অসুখ সহ নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা তৈরি করতে সক্ষম। এছাড়া দ্বিতীয়বার তেল গরম করলে তৈরি হতে পারে এইচএনই নামে আরও একধরনের ক্ষতিকর পদার্থ যা জিনের ক্ষতি করে। এছাড়া তৈরি হয় ফ্রি র‌্যাডিকেলস যা কোষগুলিকে ধ্বংস করে। এমনকী ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়ায়। একই কাণ্ড ঘটে ভাজা খাবার বারবার গরম করলে।

মনে রাখবেন

যে কোনও খাদ্যই বাসি হলে পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়। তার ওপর সেই খাদ্য যদি গরম করা হয়, তাহলে পুষ্টি উপাদান আরও কমে। প্রতিদিন বাসি খাবার গরম করে খেলে একসময় পুষ্টির অভাব হবেই।

অন্যান্য নিয়ম

ফ্রিজ থেকে খাবার বের করে প্রথমে খাবারকে ঘরের তাপমাত্রায় আসতে দিন। এবার খাবার রীতিমতো টগবগ করে ফোটান। তাতে খাবারের জীবাণু মারা যাবে।  প্রতিবার সমগ্র খাবার ফ্রিজ থেকে বের করে গরম করবেন না। মোট খাবার থেকে তখনকার জন্য যতটুকু দরকার ততটুকু তুলে নিন। সেটুকুই গরম করুন।  কাঁচা মাছ, মাংস খুব ভালো করে ধুয়ে, নুন, হলুদ মাখিয়ে তারপর প্রতিদিনের দরকার অনুসারে আলাদা আলাদা বায়ু নিরোধক বাক্সে রাখুন। রোজ একটা করে বাক্স বের করে রান্না করুন। নাহলে বার বার ঠান্ডা থেকে স্বাভাবিক ও ফের ঠান্ডা হওয়ার অবকাশে মাছ মাংসে ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।

মাইক্রোওয়েভে খাবার গরম

মাইক্রোওয়েভে খাদ্য ফোটানো যায় না। ফলে খাদ্যে কোনও ব্যাকটেরিয়া বেড়ে উঠলে তা বেঁচে যাওয়ার ও বংশবৃদ্ধির সুযোগ পায়। এই কারণেই খাবার গরম করার ক্ষেত্রে সবসময় মাইক্রোওয়েভের তুলনায় গ্যাস অনেক বেশি ভালো নির্বাচন।

No comments