ক্ষুব্ধ পরিবেশ কর্মী সহ শ্রমিকরা! কোল বার্থ এলাকায় কনভেয়ার বেল্টের রোলারে কাটা পড়ছে গাছ
দূষণ ঠেকাতে এবং ব্যয় সাশ্রয়ের জন্য তৈরি কনভেয়ার বেল্টের রোলারে নির্মমভাবে কাটা পড়ছে সবুজ। চল্লিশ বছরের পুরনো গাছগুলিকে ক্রমশ মৃত্যুর দিকে ঠেলে…
ক্ষুব্ধ পরিবেশ কর্মী সহ শ্রমিকরা! কোল বার্থ এলাকায় কনভেয়ার বেল্টের রোলারে কাটা পড়ছে গাছ
দূষণ ঠেকাতে এবং ব্যয় সাশ্রয়ের জন্য তৈরি কনভেয়ার বেল্টের রোলারে নির্মমভাবে কাটা পড়ছে সবুজ। চল্লিশ বছরের পুরনো গাছগুলিকে ক্রমশ মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। হলদিয়া বন্দরের কোল বার্থ এলাকায় সদ্য তৈরি হওয়া কনভেয়ার বেল্টের জন্য ১৫- ২০টি পুরনো পাম গাছ এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। গত ডিসেম্বরেই পরিবেশ সচেতনতার জন্য বিশেষ আন্তর্জাতিক মানের সার্টিফিকেট পেয়েছে হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বন্দরের এনভায়রনমেন্টাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের গুণগতমানের জন্য ওই সার্টিফিকেট পেয়েছে বলে বন্দরের দাবি। পাশাপাশি বন্দরের ডক ইয়ার্ড এলাকায় দূষণ প্রকল্পও হাতে নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সেই বন্দর এলাকাতেই এভাবে নির্বিচারে সবুজ ধ্বংস হওয়ায় বন্দরের পরিবেশ ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বন্দরের শ্রমিক সংগঠনগুলি এবিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। কারণ বন্দরের মধ্যে দূষণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন শ্রমিকরাই। সেজন্য শ্রমিকরা সবুজ নষ্টের ওই ছবি ও ভিডিও ভাইরাল করে পরিবেশ কর্মীদের কাছে গাছ বাঁচানোর আবেদন করেছেন। বন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, বন্দরের ৫ নম্বর ফসফেট বার্থ থেকে ওই কনভেয়ার বেল্ট বসানো হয়েছে হলদিয়া পেট্রকেম পর্যন্ত। প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ স্টিলের খাঁচা তৈরি করে বসানো হয়েছে ওই কনভেয়ার বেল্ট। মাটি থেকে ৫০-৬০ ফুট উপর দিয়ে ওই কনভেয়ার বেল্ট গিয়েছে। কনভেয়ার বেল্টের মাধ্যমে বিদেশ থেকে আমদানি করা কয়লা পেট্রকেম তাদের নতুন কয়লা ভিত্তিক পাওয়ার প্ল্যান্টে নিয়ে যাচ্ছে। সড়ক পথে শহরের মধ্য দিয়ে ট্রাকে করে ওই কয়লা নিয়ে গেলে ব্যাপক ধূলিকণা দূষণ হয়। একই সঙ্গে পরিবহণ খরচও বেশি হয়। দূষণ ও পরিবহণ ব্যয় কমাতে কনভেয়ার বেল্টের স্ট্রাকচার তৈরি করে পেট্রকেম। বন্দরের শ্রমিকরা বলেন, কনভেয়ার বেল্টের পরিকাঠামো তৈরির সময় ওই গাছগুলি বাঁচানোর পরিকল্পনা করা উচিত ছিল। কিন্তু কোনও পক্ষই সেই উদ্যোগ নেয়নি। বন্দর কর্তৃপক্ষেরই কমাতে প্রায় ১৬ কোটি টাকার হলদিয়াএবিষয়ে সতর্ক হওয়া দরকার ছিল।বন্দরের এক আধিকারিক বলেন, বন্দর কর্তৃপক্ষশিল্পশহরে দূষণ ঠেকাতে সতর্ক রয়েছে। শহরে যাতে দূষণ নাছড়িয়ে পড়ে, সেজন্য কয়লা সহ কয়েকটি বার্থ বিশেষ নেট দিয়ে ঘিরে ফেলা হচ্ছে। তবে সবুজ ধ্বংস হওয়ার ঘটনায় বন্দর কর্তৃপক্ষ দায় এড়িয়েছে। বন্দরের ডেপুটি চেয়ারম্যানঅমলকুমার মেহেরা বলেন, ওই কনভেয়ার বেল্ট বসানোরজন্য পেট্রকেমকে অ্যালাইনমেন্ট বা রুট দেখিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কোথায় গাছ রয়েছে, তা এড়িয়ে যাওয়া উচিত ছিলপেট্রকেমের। পেট্রকেমের ইঞ্জিনিয়ার ও ঠিকাদারদের এবিষয়ে
সতর্ক হওয়া দরকার ছিল। তবে কোথায় ঘটনাটি ঘটেছে তাখতিয়ে দেখছি। পেট্রকেম কর্তৃপক্ষ এবিষয়ে মুখ খুলতে
চায়নি। তবে দুই কর্তৃপক্ষের চাপানউতোরে সবুজ ধ্বংস আদৌবন্ধ হবে কি না,
No comments