দীঘার জগন্নাথ দেবের মন্দির থেকে মাসির বাড়ি পর্যন্ত সাত মিটার চওড়া রাস্তাটি ১৪ মিটারের করার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার
অযোধ্যায় রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা নিয়ে উন্মাদনার মাঝেই, দীঘার নির্মীয়মান জগন্নাথ মন্দিরকে ঘিরে বড় সিদ্ধান্…
দীঘার জগন্নাথ দেবের মন্দির থেকে মাসির বাড়ি পর্যন্ত সাত মিটার চওড়া রাস্তাটি ১৪ মিটারের করার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার
অযোধ্যায় রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা নিয়ে উন্মাদনার মাঝেই, দীঘার নির্মীয়মান জগন্নাথ মন্দিরকে ঘিরে বড় সিদ্ধান্ত নিল নবান্ন। একেবারে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে গড়ে উঠছে এই মন্দির। শুধু তাই নয়, একেবারে পুরীর ধাঁচেই জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা হবে সৈকত শহরেও। সেই কারণে নিউ দীঘা স্টেশনের পাশেই ভোগী ব্রহ্মপুর মৌজার জগন্নাথ দেবের মন্দির থেকে মাসির বাড়ি পর্যন্ত সাত মিটার চওড়া রাস্তাটি ১৪ মিটারের করার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার।
মন্দির থেকে ওল্ড দীঘার দিকে দেড় কিলোমিটার দূরত্বে আরও একটি মন্দিরকে জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়ি বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এখানেই উল্টোরথের দিন পর্যন্ত থেকে ফের মূল মন্দিরে ফিরবেন জগন্নাথ দেব। সেই করেণেই মাসির বাড়ি পর্যন্ত মন্দির সংলগ্ন এই রাস্তাটি চার লেনের বানানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
২০৫ কোটি টাকা ব্যয়ের দীঘার জগন্নাথধাম তৈরির কাজ জোরকদমে চালাচ্ছে হিডকো। মার্চ মাসে মন্দিরের কাজ শেষ করার টার্গেটও নেওয়া হয়েছে। আগামী ৭ জুলাই রথযাত্রার আগেই মন্দিরের উদ্বোধন হবে বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে তার আগেই এই রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ সেরে ফেলতে হবে রাজ্য পূর্ত দপ্তরকে। সেই কারণে আগামী ২৩ জানুয়ারির মধ্যে এই রাস্তার ডিপিআর জমা পড়বে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। প্রাথমিক ভাবে রাস্তাটি ১০ মিটার চওড়া করা হবে বলে ভাবনা চিন্তা করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার পূর্ত দপ্তর, জেলা প্রশাসন, বন দপ্তর এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকদের একটি দল এলাকা পরিদর্শনে যান। তার পরেই এই রাস্তা চার লেনের করা নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এই রাস্তার দুই ধারেই থাকবে চওড়া ফুটপাত। যাতে সেখানে দাঁড়িয়ে রথ যাত্রা দেখতে পারেন পুণ্যার্থীরা। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এমন ভাবে রাস্তা বানানো হবে, যাতে রথ ঘোরাতে কোনও ভাবেই অসুবিধা না হয়। রাজ্যের আর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মন্দির তৈরি হয়ে গেলে দীঘায় পর্যটকের সংখ্যা অনেক বাড়বে। মন্দির চত্বরেও ভিড় উপচে পড়বে। ফলে বর্তমানে যে সাত মিটার চওড়া রাস্তা রয়েছে তার সম্প্রসারণ না করে কোনও উপায় নেই। একেবারে উপকূলবর্তী এলাকা হওয়ায় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে যাতে নির্মাণ নষ্ট না হয়, সেদিকে নজর রেখেই এই রাস্তার সম্প্রসারণের কাজ করা হবে বলেই জানাচ্ছেন রাজ্যের আধিকারিকরা।
No comments