কে বলেছেন মহিলারা অবলা? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যে তাঁরা সবলা -মন্ত্রী বীরবাহা
কে বলেছেন মহিলারা অবলা? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যে তাঁরা সবলা। যে মহিলাদের একটা সময় ঘোমটার আড়ালে থাকতে হতো, তাঁরা আজ মাথ…
কে বলেছেন মহিলারা অবলা? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যে তাঁরা সবলা -মন্ত্রী বীরবাহা
কে বলেছেন মহিলারা অবলা? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যে তাঁরা সবলা। যে মহিলাদের একটা সময় ঘোমটার আড়ালে থাকতে হতো, তাঁরা আজ মাথা উঁচু করে বাঁচছেন। নিজেদের পায়ে দাঁড়িয়ে স্বনির্ভর হচ্ছেন।’ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবংয়ে জেলা স্তরের সবলা মেলার উদ্বোধনে এসে এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্বনিযুক্তি দপ্তরের তরফে পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ে জেলাস্তরের সবলা মেলার আয়োজন করা হয়। শনিবার সেই মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের তিন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া, বীরবাহা হাঁসদা এবং শিউলি সাহা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলার পুলিস সুপার ধৃতিমান সরকার, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্যশঙ্কর ষড়ঙ্গী, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ আবু কালাম বক্স, শান্তি টুডু প্রমুখ। উল্লেখযোগ্যভাবে জেলাস্তরে এই প্রথম কোনও অনুষ্ঠান রাজ্য সঙ্গীত দিয়ে শুরু হল। রাজ্যে মহিলারা যেভাবে স্বনির্ভর হচ্ছেন, তার ভূয়সী প্রশংসা করেন মানস। তিনি বলেন, বাংলায় এই মুহূর্তে ১১ লক্ষ ৮০ হাজার ৫৮০টি স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে। সদস্যের সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ। নামমাত্র সুদে প্রত্যেক গোষ্ঠীকে ঋণ প্রদান করা হচ্ছে। মহিলারা নিজেদের পায়ে দাঁড়াচ্ছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে এটা সম্ভব হতো না।
‘খেলা মেলা’ নিয়ে যাঁরা রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করেন, এদিনের মঞ্চ থেকে তাঁদের কার্যত একহাত নেন জেলার পুলিস সুপার। তিনি বলেন, খেলা মেলা বলে যাঁরা কটাক্ষ করেন, তাঁদের অর্থনীতি সম্পর্কে কোনও ধারণা নেই। বিভিন্ন মেলার মাধ্যমেই অর্থনীতির ভিত আরও মজবুত হয়। অর্থের আদানপ্রদান আরও বাড়ে। একই কথা শোনা যায় মন্ত্রী শিউলির গলাতেও। তিনি বলেন, গত ২২ ডিসেম্বরে থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত কেশপুরে সরস মেলা হয়। তাতে বিক্রিবাটা হয় ২৩ কোটি টাকা। গ্রামাঞ্চলের একটি মেলায় ২৩ কোটি টাকার ব্যবসা হচ্ছে মানে বুঝতে হবে, রাজ্যের অর্থনীতির বিকাশ হচ্ছে।
এদিনের অনুষ্ঠানে অবশ্য আক্ষেপের সুর শোনা যায় মন্ত্রী মানসের গলায়। তিনি বলেন, যে মাদুরের জন্য সবং খ্যাত, রাজ্যস্তরে সেই মাদুরের কোনও বিপণন ব্যবস্থা নেই। যদিও শিউলির আশ্বাস, আমি শীঘ্রই এনিয়ে রাজ্যের সঙ্গে কথা বলব। কলকাতার দক্ষিণাপনে যাতে মাদুরের বিক্রয়কেন্দ্র খোলা যায়, তার ব্যবস্থা করা হবে।
No comments