সিপিএম যুবকদের হাত ধরে রাজ্য রাজনীতিতে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে
যুবদের হাত ধরে রাজ্য রাজনীতিতে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে সিপিএম। ক্ষমতা হারানোর পর এই প্রথম দলের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফ’এর ব্যানারে ব্রিগেড ভরানোর চ্যালেঞ্জ নিয়েছে তারা। আজ, রবিবার ব…
সিপিএম যুবকদের হাত ধরে রাজ্য রাজনীতিতে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে
যুবদের হাত ধরে রাজ্য রাজনীতিতে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে সিপিএম। ক্ষমতা হারানোর পর এই প্রথম দলের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফ’এর ব্যানারে ব্রিগেড ভরানোর চ্যালেঞ্জ নিয়েছে তারা। আজ, রবিবার ব্রিগেডে সেই সমাবেশ। ডিওয়াইএফ নেতৃত্বের দাবি, রেকর্ড গড়বে ব্রিগেডের এবারের জমায়েত। ‘ভুল এজেন্ডার বিরুদ্ধে মূল এজেন্ডা’-কে রাজনীতির বিষয়বস্তু করে তুলতেই তাঁদের এই সমাবেশ বলে জানিয়েছেন সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। যুবরা সমাবেশের ডাক দিলেও, লালপার্টির সবক’টি গণ সংগঠনই লোক আনার ব্যাপারে তৎপর হয়েছে বলে খবর আলিমুদ্দিন সূত্রে। ‘যৌবনের ডাকে জনতার ব্রিগেড’ বলে স্লোগানেও সুকৌশলে সেই বার্তা দিয়েছে তারা। এখনও পর্যন্ত যা খবর, বক্তাদের তালিকায় তেমন কোনও চমক থাকছে না। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, মীনাক্ষী, এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্যর নাম রয়েছে সেই তালিকায়।
সমাবেশ উপলক্ষ্যে শনিবার সকাল থেকেই দূর জেলার কর্মী-সমর্থকরা কলকাতায় আসতে শুরু করেন। এদিন বিকেলে উত্তরবঙ্গের সমর্থকরা ট্রেন ও বাসে চেপে ব্রিগেডের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। দলের তরফে ময়দানেই তাঁবু খাটিয়ে তাঁদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। সবার জন্য শিক্ষা, কর্মসংস্থান, বন্ধ কলকারখানা চালু, ১০০ দিনের কাজ অবিলম্বে চালু করা এবং একে ২০০ দিনের করা সহ একগুচ্ছ দাবিতে গত ৩ নভেম্বর কোচবিহার থেকে ডিওয়াইএফ ইনসাফ যাত্রা শুরু করেছিল। প্রায় ৫০ দিন পায়ে হেঁটে পদযাত্রীরা যাদবপুরে পৌঁছন। সেই কর্মসূচির সমাপ্তি হবে ব্রিগেড সমাবেশে। সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, ইনসাফ যাত্রায় যেভাবে মানুষের সাড়া মিলেছে, তাতে তাঁরা নিশ্চিত যে উপচে পড়বে ভিড়। তবে ময়দানে বামেদের এই ‘পেশি সঞ্চালন’কে পাত্তা দিতে রাজি নয় তৃণমূল ও বিজেপি। বঙ্গ রাজনীতিতে বামেদের তারা এখনও ‘অপ্রাসঙ্গিক’ বলেই মনে করছে।
No comments