লোকসভা ভোটের আগেই পশ্চিমবঙ্গে সিএ লাগু হবেই- কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্ত ঠাকুর
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে পশ্চিমবাংলায় সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট বা সিএএ লাগু হবেই। শনিবার হলদিয়া এসে এই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন…
লোকসভা ভোটের আগেই পশ্চিমবঙ্গে সিএ লাগু হবেই- কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্ত ঠাকুর
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে পশ্চিমবাংলায় সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট বা সিএএ লাগু হবেই। শনিবার হলদিয়া এসে এই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। তিনি বলেন, এই আইন সারা ভারতে যেমন লাগু হবে তেমন পশ্চিমবাংলাতেও লাগু হবে। যারা বলছে সিএএ করতে দেবে না, তাদের দরকারই পড়বে না আমাদের সিএএ করার। মানবিকতার দৃষ্টিকোণ থেকে সমস্ত মানুষের সিএএ-কে সমর্থন করা উচিত। এদিন তিনি অভিযোগ করেন, সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার জমি দেওয়া নিয়ে রাজ্য সরকার অসহযোগিতা করছে।
সন্দেশখালির ঘটনা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কার্যত যুদ্ধংদেহী মনোভাব পোষণ করেন। তিনি বলেন, ইডির উপর যেভাবে হামলা হয়েছে এটা ভয়ানক। ‘পাল্টা অ্যাকশন’ হতে পারে বলে তিনি হুঁশিয়ারি দেন।
এদিন বন্দর ও ইনল্যান্ড ওয়াটার ওয়েজের(আইডব্লুএআই) দু’টি প্রকল্পের সূচনা করতে হলদিয়া আসেন মন্ত্রী। সকালের নির্ধারিত কর্মসূচিতে মন্ত্রী যোগ দেন সন্ধ্যার মুখে। ঘটনায় রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়ে যান দুই কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থার আধিকারিকরা। এদিন সকাল ১টায় হলদিয়ার পাতিখালিতে নির্মিত আইডব্লুএআইয়ের জেটি সংলগ্ন হুগলি নদীতে ড্রেজিং কাজের সূচনা করার কথা ছিল মন্ত্রীর। সেইমতো সবাই সকাল থেকে ফুল, পতাকা, নারকেল নিয়ে মাঙ্গলিক শুভারম্ভের অপেক্ষা করছিলেন। মন্ত্রী এসে পৌঁছন সন্ধ্যা ৫টা নাগাদ। হলদিয়া থেকে বারানসী পর্যন্ত জাতীয় জলপথে পণ্যপরিবহণের জন্য ৪৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে মাল্টিমোডাল জেটি তৈরি হয়েছে। কিন্তু, জেটি তৈরির পরই তা চালু করতে গিয়ে দেখা যায় চ্যানেলের মুখে বড় ডুবো চর তৈরি হয়েছে। ফলে পণ্যবাহী বার্জ ভিড়তে পারছে না। জেটি সচল করতে ড্রেজিংয়ের প্রয়োজন। শনিবার সেই ড্রেজিং কাজের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন মন্ত্রী। ওই জেটি দিয়ে বাংলাদেশেও পণ্য পাঠানো হবে। সূচনা অনুষ্ঠানে মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন আইডব্লুএআইয়ের পদস্থ আধিকারিকরা। এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ মন্ত্রী বন্দরে জওহর টাওয়ারে প্রশাসনিক ভবনে এসে আধিকারিকদের সঙ্গে রিভিউ মিটিং করেন। এর আগে বন্দরের হাসপাতালে একটি অক্সিজেন প্ল্যান্টেরও সূচনা করেন। মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন বন্দরের ডেপুটি চেয়ারম্যান অমলকুমার মেহেরা, জেনারেল ম্যানেজার প্রবীনকুমার দাস প্রমুখ।
No comments