Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

মন্দির প্রতিষ্ঠার তাবৎ কৃতিত্ব সকলের

মন্দির প্রতিষ্ঠার তাবৎ কৃতিত্ব সকলের
মন্দির প্রতিষ্ঠার তাবৎ কৃতিত্ব নরেন্দ্র মোদি যতই একা নেওয়ার চেষ্টা করুন, সেটা পুরোপুরি হল না। এমনকী প্রাণপ্রতিষ্ঠায় একক মেগা শোয়ের অভিপ্রায়ও জলে গেল। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি প্রধান ভূমিকায়…

 


মন্দির প্রতিষ্ঠার তাবৎ কৃতিত্ব সকলের


মন্দির প্রতিষ্ঠার তাবৎ কৃতিত্ব নরেন্দ্র মোদি যতই একা নেওয়ার চেষ্টা করুন, সেটা পুরোপুরি হল না। এমনকী প্রাণপ্রতিষ্ঠায় একক মেগা শোয়ের অভিপ্রায়ও জলে গেল। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি প্রধান ভূমিকায় থাকলেন ঠিকই। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে যোগী আদিত্যনাথ, রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল, রামমন্দির তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের অন্যতম কর্তা নৃত্যগোপাল দাসেরও থাকার কথা। তাঁরা ছিলেনও। তবে একটু দূরে। কিন্তু সরসঙ্ঘ চালক মোহন রাও ভাগবত রামমন্দিরের গর্ভগৃহে সম মর্যাদায় আসীন! তাও আবার নরেন্দ্র মোদির পাশে! মুহূর্তের মধ্যে একটি বার্তা প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেল রাজনৈতিক মহলে—মোদি এই উচ্চতায় পৌঁছলেও তিনি আজও কর্মী। কর্তা সঙ্ঘই। মোহন ভাগবতের শরীরি ভঙ্গি এবং তাঁর আত্মপ্রসাদের প্রতিক্রিয়া থেকেই স্পষ্ট, তাঁদের এতদিনের সাধ পূরণ হল। আগামী বছর আরএসএসের শতবর্ষ। বস্তুত শতবর্ষ অনুষ্ঠান এই বছর থেকেই শুরু হবে। আর তার আগে এমন এক উপহার! সরসঙ্ঘচালক ভাগবত যে ইতিহাসে থেকে গেলেন, বলাই বাহুল্য। অঞ্জলী থেকে কমলপুষ্প সমর্পণের সুযোগ—অর্থাৎ রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে তাঁর গুরুত্ব মোদির থেকে এতটুকু কম নয়। 

ভারতীয় রাজনীতিতে এই জল্পনাটি বহুচর্চিত যে, মোদি নিছক সঙ্ঘের পুতুল। সঙ্ঘ পরিবারে ব্যক্তির উচ্চতা যত বাড়ুক, তিনি কোনওদিন সঙ্ঘকে ছাপিয়ে যেতে পারেন না। মোদি নিজেই স্বয়ংসেবক হিসেবে তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ার শুরু করেছিলেন। সুতরাং আরএসএসের সবথেকে বড় স্বপ্নপূরণ যে তাঁর হাত দিয়ে ঘটল, সেটাই সবথেকে বড় প্রাপ্তি তাঁর। আর মোহন ভাগবত? সোমবার অযোধ্যায় রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার পর ভাষণে তিনিও বুঝিয়েও দিলেন কর্মীর প্রতিজ্ঞার কথা। বললেন, ‘একজন কাউকে কঠিন ব্রত পালন ও লক্ষ্য পূরণের জন্য তপস্বী হতে হয়। আমরা ভাগ্যবান যে প্রধানমন্ত্রীর মতো এক তপস্বী পেয়েছি। যা দায়িত্ব ও ক্ষমতা ছিল, তার সবটাই তিনি সমর্পণ করেছেন। এবার আমাদের পরবর্তী ধাপে এগতে হবে। নিজেদের রামরাজ্যের অধিবাসী হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।’ ভাগবত বলেছেন, ‘আমি এখানে আমাদের পূর্বজদের কৃপায় আছি। তাঁরা একটি স্বপ্ন দেখেছিলেন। আমরা সেই স্বপ্নপূরণ করেছি। কিন্তু এসব আমাদের একক কৃতিত্ব নয়। বহু মানুষ, বহু সাধুসন্ত, মহান পুরুষ আত্মবলিদান দিয়েছেন। ভারত এবার নতুন পথে অগ্রসর হচ্ছে। আমাদের হিংসা ও বিভাজন পরিত্যাগ করতে হবে। এবার চাই আত্মশুদ্ধি।’ অর্থাৎ, রামমন্দির প্রতিষ্ঠার পর সম্প্রীতি ও সদ্ভাবের আহ্বান মোহন ভাগবতের কণ্ঠে। মোদির নয়।

No comments