কংগ্রেস বিধায়কের বাড়িতে ইডির তল্লাশিতে চক্ষুচড়কগাছ! উদ্ধার নগদ ৫ কোটি টাকা ও প্রায় ৫ কেজি সোনা
হরিয়ানায় কংগ্রেস বিধায়কের বাড়িতে ইডির তল্লাশিতে চক্ষুচড়কগাছ! উদ্ধার নগদ ৫ কোটি টাকা ও প্রায় ৫ কেজি সোনা। এছাড়াও একাধিক বিদেশি বন্দুক, ৩…
কংগ্রেস বিধায়কের বাড়িতে ইডির তল্লাশিতে চক্ষুচড়কগাছ! উদ্ধার নগদ ৫ কোটি টাকা ও প্রায় ৫ কেজি সোনা
হরিয়ানায় কংগ্রেস বিধায়কের বাড়িতে ইডির তল্লাশিতে চক্ষুচড়কগাছ! উদ্ধার নগদ ৫ কোটি টাকা ও প্রায় ৫ কেজি সোনা। এছাড়াও একাধিক বিদেশি বন্দুক, ৩০০ রাউন্ড কার্তুজ ও ১০০ বোতল দাবি ব্র্যান্ডের মদও মিলেছে। সোনিপতের কংগ্রেস বিধায়ক সুরেন্দ্র পানওয়ারের বাড়ির এই ঘটনা নিয়ে সুর চড়িয়েছে বিজেপি।
বৃহস্পতিবার সোনিপতের বিধায়কের বাড়িতে হানা দেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অফিসাররা। সেইসঙ্গে ইন্ডিয়ান লোকদলের (আইএনএলডি) প্রাক্তন বিধায়ক দিলবাগ সিংয়ের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। অবৈধ খনির মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত অর্থ তছরুপের অভিযোগে এই তল্লাশি অভিযান বলে ইডি সূত্রে খবর। এই একই মামলায় রাজ্যের বিজেপি নেতা মনোজ ওয়ার্ধার বাড়িতেও তল্লাশি চলানো হয়। বৃহস্পতিবার থেকে তল্লাশি অভিযান শুরু হলেও তা শুক্রবার গড়িয়ে যায়। ছ’টি গাড়িতে করে ১৫-২০ জন ইডি আধিকারিক আসেন সুরেন্দ্রর বাড়িতে।
ইডি সূত্রে খবর, কংগ্রেস বিধায়কের বাড়ি থেকে নগদ ৫ কোটি টাকার পাশাপাশি তিনটি সোনার বিস্কুট মিলেছে। ওই তিনটি সোনার বিস্কুটের ওজন চার-পাঁচ কেজি। এর পাশাপাশি একাধিক বিদেশি বন্দুক ও ৩০০ রাউন্ড গুলি এবং প্রায় ১০০ বোতল মদ পাওয়া গিয়েছে বিধায়কের বাড়িতে। হরিয়ানার একজন নামী খনি ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত সুরেন্দ্র পানওয়ার। আগেই এই কংগ্রেস বিধায়কের বিরুদ্ধে যমুনানগর জেলায় অবৈধ খনি, বোল্ডার ও বালি পাচারের অভিযোগে একাধিক মামলা দায়ের করেছিল হরিয়ানা পুলিস। ২০১৩ সালে সুরেন্দ্রর বিরুদ্ধে অর্থ তছরুপের মামলা করে ইডি। সেই মামলার তদন্তেই বিধায়ক ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। যমুনানগর, সোনিপত, মোহালি, ফরিদাবাদ, চণ্ডীগড় ও কারনাল সহ মোট ২০টি স্থানে তল্লাশি চালান তাঁরা। উল্লেখ্য, একসময় যমুনানগরের বিধায়ক ছিলেন দিলবাগ সিং। অর্থ তছরুপের মামলায় তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বিভিন্ন নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে, বিজেপি নেতা তথা কারনাল পুরসভার প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র মনোজের বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়ে বিভিন্ন নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। শুক্রবারও দিনভর অভিযান চালায় ইডি।
No comments