Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

বিংশতিতম বিশ্ব বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতি উৎসবের উদ্বোধন করেন-কথাসাহিত্যিক স্বপ্নময় চক্রবর্তী

বিংশতিতম বিশ্ব বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতি উৎসবের উদ্বোধন করেন-কথাসাহিত্যিক স্বপ্নময় চক্রবর্তী দেশজুড়ে কবি-সাহিত্যিক, বিজ্ঞানী, রাজনীতিকদের মধ্যে পারস্পরিক আলোচনার পরিসর চাই। শুক্রবার ২০২৩সালের সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত কথাস…

 

বিংশতিতম বিশ্ব বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতি উৎসবের উদ্বোধন করেন-কথাসাহিত্যিক স্বপ্নময় চক্রবর্তী 

দেশজুড়ে কবি-সাহিত্যিক, বিজ্ঞানী, রাজনীতিকদের মধ্যে পারস্পরিক আলোচনার পরিসর চাই। শুক্রবার ২০২৩সালের সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত কথাসাহিত্যিক স্বপ্নময় চক্রবর্তী একথা বলেন। এদিন তিনি ‘আপনজন’ পত্রিকার উদ্যোগে হলদিয়ায় বিংশতিতম বিশ্ব বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতি উৎসবের উদ্বোধন করেন। তাঁর কথায়, আমরা বলছি বটে আপনজন। কিন্তু আপনজন কোথায়? আমি বাসে উঠেছি, একজন কন্ডাক্টর তুই-তোকারি করছেন। বেসরকারি হাসপাতালে যেতেই নামী ডাক্তারের পরামর্শে হাজারটা টেস্ট দেওয়া হল। এমন পরিস্থিতি হল যে পেসমেকার বসানোর পাশাপাশি স্টেন্টও বসিয়ে দেওয়া হতো। কিন্তু সন্দেহ হওয়ায় একটি সরকারি হাসপাতালে গেলাম। সেখানে চিকিৎসক বললেন, আমার তেমন কিছু শরীর খারাপ হয়নি। তাই বলছি, আপনজন কোথায়? 

স্বপ্নময়বাবু বলেন, আমরা অনেক ধরনের মানুষ এক জায়গায় হতে পারি। কিন্তু দেশের ভালোর জন্য একসঙ্গে আলোচনায় বসতে পারি না। অথচ পৃথিবীর অন্য দেশে হয়। বিজ্ঞানী, রাজনীতিক, কবি, সাহিত্যিকরা একসঙ্গে আলোচনা করেন। আমাদের সেরকম আলোচনার পরিসরই নেই। তাঁর আশা, আজ থেকে শুরু করলে আগামী ৫০ বছরে একটা ভালো বাঙালি জাতি তৈরি হতে পারে। বাঙালির জন্য খুব ভালো কাজ হবে সেটা। 

এদিন কবি তমালিকা পণ্ডাশেঠ মঞ্চে উৎসবের উদ্বোধন করেন প্রাক্তন সাংসদ এবং আইকেয়ার শিক্ষা সংস্থার চেয়ারম্যান লক্ষ্মণ শেঠ। বটগাছে জল দিয়ে উৎসবের সূচনা করে তিনি বলেন, এই উৎসব তমালিকা পণ্ডাশেঠ শুরু করেছিলেন। তাঁর অবর্তমানে আমি চালিয়ে যাচ্ছি। যদিও আমি সেইভাবে সাহিত্য চর্চা করতে পারিনি। আমি মনে করি, যাঁরা সাহিত্য বোঝেন তাঁরা আলাদা করে সমাজে বিশেষত্ব রাখেন। সাহিত্য এবং ইতিহাস আমাদের সমাজকে বুঝতে ও ব্যাখা করতে সাহায্য করে। 

এদিন উদ্বোধন মঞ্চ থেকে চিত্র কর্মশালার সূচনা করেন শিল্পী হিরণ মিত্র। উদ্বোধন পর্বে উপস্থিত ছিলেন সাহিত্যিক রামকুমার মুখোপাধ্যায়, স্মরণজিৎ চক্রবর্তী, পদ্মশ্রী সাঁতারু বুলা চৌধুরী, প্রখ্যাত সাঁতারু সঞ্জীব চক্রবর্তী, আইকেয়ারের সম্পাদক আশিস লাহিড়ি, উৎসবের সভাপতি সাহিত্যিক নলিনী বেরা, সম্পাদক কবি শ্যামলকান্তি দাস, আপনজন পত্রিকার সম্পাদক সুদীপ্তন শেঠ এবং প্রকাশক সায়ন্তন শেঠ প্রমুখ। এবার ‘আপনজন সম্মাননা’য় সম্মানিত হলেন অখণ্ড মেদিনীপুরের চার কৃতী সন্তান প্রাবন্ধিক, অধ্যাপিকা সত্যবতী গিরি, লোক গবেষক ও গল্পকার চিন্ময় দাস, বিপ্লবী মেদিনীপুর টাইমস দৈনিকের সম্পাদক তারাশঙ্কর চক্রবর্তী ও কবি ও সঙ্গীতশিল্পী শিশিরবিন্দু দত্ত। 

উদ্বোধনের আগে কবি তমালিকা পণ্ডাশেঠের পূর্ণাবয়ব মূর্তিতে শ্রদ্ধা জানানো হয়। আদিবাসী নৃত্য, ব্যান্ড ও ধামসা-মাদল সহযোগে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা হয়। উৎসব প্রাঙ্গণকে কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী নগর নামকরণ করা হয়েছে। এদিন চিত্র কর্মশালায় ৩৫ জন শিল্পী অংশ নেন। বিকেলে কবি তমালিকা পণ্ডাশেঠ স্মারক বক্তৃতার বিষয় ছিল জন্ম শতবর্ষে কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। সন্ধ্যায় গানে মাতায় আইকেয়ার কালচারাল অ্যাকাডেমি ও বাংলাদেশের ব্যান্ড ‘জলের গান’। দেশ-বিদেশের প্রায় চারশো কবি, সাহিত্যিক, গবেষক ও শিল্পী উৎসবে সমবেত হয়েছেন। বসেছে লিটল ম্যাগাজিনের মেলা। 

No comments