Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

স্কুলের বাৎসরিক অনুষ্ঠান ও ফুড ফেস্টিভ্যাল! চলতি বছরেই হবে প্রাক্তনী ছাত্রী সম্মেলন- প্রধান শিক্ষিকা

চলতি বছরেই হবে প্রাক্তনী ছাত্রী সম্মেলন- প্রধান শিক্ষিকা

স্কুলের বাৎসরিক অনুষ্ঠান ও ফুড ফেস্টিভ্যাল! 
সুতাহাটা থানার অন্তর্গত বাজিতপুর গ্রামে ১৯৫৬ সালে প্রথম বীজ রোপণ হয়ে ছিল ।
সেই বীজ থেকে বৃহৎ গাছ ফুলে ফুলে সজ্জিত। দীর্ঘ বছর অতি…

 



চলতি বছরেই হবে প্রাক্তনী ছাত্রী সম্মেলন- প্রধান শিক্ষিকা



স্কুলের বাৎসরিক অনুষ্ঠান ও ফুড ফেস্টিভ্যাল! 


সুতাহাটা থানার অন্তর্গত বাজিতপুর গ্রামে ১৯৫৬ সালে প্রথম বীজ রোপণ হয়ে ছিল ।


সেই বীজ থেকে বৃহৎ গাছ ফুলে ফুলে সজ্জিত। দীর্ঘ বছর অতিক্রান্ত। চাকরি জীবনের অবসর নেওয়ার মতো সময় অতিক্রান্ত। 

বাজিতপুর সারদামণি বালিকা বিদ্যাভবন ৬৮ তম বর্ষে পদার্পণ। স্কুলের বাৎসরিক অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সরকারি নির্দেশনামা মেনে ফুড ফেস্টিভ্যাল আয়োজন হল। সরকারি প্রতিনিধি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জনপ্রতিনিধি সকলের উপস্থিতিতে আজ থেকে শুরু হলো স্কুলের বাৎসরিক অনুষ্ঠান আরো দুদিন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছাত্রীদের নিজেদের হাতে তৈরি খাদ্য রসিকদের জন্য ছিল ভিন্ন স্বাদের পিঠে পুলি ছাড়াও ফুচকা ঘুগনি এগ রোল। ফুড ফেস্টিভেল অংশগ্রহণ করেছিল স্কুলের ছাত্রীরা। ১২ টি স্টলে ছাত্রীদের মুখরোচক খাওয়ার ছিল ফুচকা, এগরোল ও ঘুগনি।প্রায় ১২০০ ছাত্রী ফুড ফেস্টিভ্যাল অংশগ্রহণ করেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সুমনা পাহাড়ি বলেন। সদ্য মকর সংক্রান্তি শেষ হয়েছে বাঙ্গালীদের চিরন্তন উৎসব আর সে জন্যই পিঠে পুলির উৎসব ফুট ফেস্টিভলে যুক্ত করা হয়। সরকারি নির্দেশে ২ থেকে ৮ই জানুয়ারির মধ্যে করার কথা ছিল কিন্তু স্কুলের এডমিশন এবং নতুন ছাত্রীরা আসার জন্যই আমরা এই স্কুলের বাৎসরিক অনুষ্ঠানের সাথেই ফুড ফেস্টিভ্যাল করলাম। উৎসবে ছিল ভাজা পিঠে ,খোয়া ক্ষীর,গুড়, এলাচ, মালাই, দুধের সর, কাঁচা গোল্লার পুর মিশিয়ে বিশেষ পাটি সাপটা আমদানি করেছেন । আমসত্ত্ব মিশিয়ে ম্যাংগো পাটিসাপটা সে আর এক লোভনীয় পিঠে । ছানার ক্ষীর এবং নারকেল মিশিয়ে গোকুল পিঠে, দুধে সেদ্ধ পিঠে তো ছিলই । তার সঙ্গে পাকা কলা, ক্ষীর, দুধ, এলাচ,পান মৌরি দিয়ে মালপোয়া সত্যিই জিভে জল এনে দেয়।

সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বললেন স্কুলের ইতিহাস ১৯৫৬ সালে এই স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন তবে তিনি অনেক পরেই এসেছেন এই স্কুলে। আমাদের স্কুলের পাশেই বিবেকানন্দ মিশন আশ্রম যে রয়েছে তারই মহারাজ পূজ্যপাত বিশ্ব নাথানন্দজী মহারাজ তারই দাদাজি ছিলেন ভক্তিচৈতন্য আমাদের দাদা মহারাজ।

প্রধান শিক্ষিকা বলেন তিনি আমাদের দাদা মহারাজ, তিনি চেয়েছিলেন বহু আগেই মা আনন্দময়ী এসে বলেছিলেন এই জায়গায়, দেখছি অনেকগুলো লাল পাড় শাড়ি পড়ে মেয়েরা ঘুরচ্ছে। এই জায়গাটি ছিল পরিতপ্ত জায়গা এবং শ্মশান ছিল। দাদা মহারাজ চেয়েছিলেন নারী শিক্ষা  অগ্রগতি ঘটানোর জন্য। যেমন বিদ্যাসাগর, রামমোহন , স্বামীজি,তারা একসময় নারী শিক্ষা আন্দোলনের জন্য এগিয়ে এসেছিলেন। শিক্ষার আলোতে আনা প্রয়োজন মহিলাদের তাই , দাদা মহারাজ এই জায়গাতেই প্রথম ১৯৫৬ সালে মহিলাদের জন্য স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। এবং তার অনুগামীরা ছিলেন সকলের প্রচেষ্টায় এলাকার শুভানুধ্যায়ীদের উদ্যোগেই তাদের সহযোগিতা নিয়েই এই বিদ্যালয় তৈরি করেছিলেন বাজিতপুর সারদাময়ী বালিকা বিদ্যালয়। ১৯৬২ সালে বিবেকানন্দ মিশন বিদ্যামন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বয়েজ স্কুল।  এই বিদ্যালয় পরবর্তীকালে সরকারি বিদ্যালয় হিসেবেই চিহ্নিত হয়। ২০০০ সালে বাজিতপুর সারদাময়ী বালিকা বিদ্যালয় উচ্চমাধ্যমিকে রূপান্তরিত হয়।  তিনি বলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতায় বলেছিলেন সমগ্র জাতিকে শিক্ষাঙ্গনে আনতে হবে কারণ শিক্ষা আনে মুক্তি মুক্তি আনে চেতনা, চেতনা আনে আনন্দ, সেই আনন্দের সন্ধানী হয়ে আমাদের বিদ্যালয়ের কাজকর্ম করে থাকি। স্কুলের বাৎসরিক ক্রীড়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সাথে সাথেই ফুড ফেস্টিভেল অনুষ্ঠিত করলাম। তিনি আরো বলেন আমরা প্রত্যেকেই বাঁচি দুটি কারণে এক জীবিকার কারণে আর একটা জীবনের প্রয়োজনে। সেই কারণে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের  সিলেবাস অনুযায়ী পঠন পাঠান করবে। জীবনে বাঁচার জন্য যে আহরণ সেই বিদ্যালয় থেকে তারা অর্জন করবে এটাই আমাদের লক্ষ্য। বিদ্যালয়ে রয়েছে আইটি ইনফরমেশন টেকনোলজি ( ভোকেশনাল)। আরো বলেন তিনি স্কুলের সমস্ত আই কার্ড  স্কুলের ছাত্রীরাই তৈরি করেন। এ ছাড়া সেলাই শিখার জন্য অ্যাপারেল রয়েছে, মন্ত্রী বা অতিথিদের আপ্যায়ন করার জন্য যে  গাউন দেওয়া হয়েছে অথবা মিড ডে মিলে যারা রান্না করেন তাদেরকে ক্যাপ এবং এফ্রোন স্কুলের ছাত্রী তৈরি করেছেন।

আগামী দিনে পরিকল্পনা রয়েছে স্কুলের দুঃস্থ ছাত্রী এবং এলাকার দুঃস্থ মায়েরা যারা রয়েছেন তাদেরকে কোন কারখানার পোষাক তৈরি কাজে যদি যুক্ত করা হয়। তাহলেও তারা আর্থিকভাবে সহযোগিতা পাবে। ইতিমধ্যে কয়েকটি কারখানার সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন সম্মতিও পেয়েছেন। স্কুলের ছাত্রী নিবাসে রয়েছে প্রায় ২০০ জন ছাত্রী, পরিকল্পনা রয়েছে ক্লাস অনুযায়ী ভিন্ন রকমের পোশাক থাকবে তাহলে এখানে ছাত্রী এবং দুঃস্থ পরিবারের মহিলারা সেলাই কাটিং করলে বাজারে থেকেও কম দামে পোশাক তুলে দেওয়া যাবে। মহিলারা নিজেদের উপার্জনে অর্থ সংগ্রহ করবে নিজের পায়ে দাঁড়াবে তাহলেও তারা একসময় স্বাবলম্বী হবে। তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি হবে। আমরাও পারি তারা অনেক দেরিতেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হবে, বাল্য বিবাহ থেকে অনেকটাই দূরে সরে থাকবে।

প্রাক্তন ছাত্রীদের জন্য শারদীয়া ২০২৪ এর পরেই প্রাক্তনী সভা করবেন বলে তিনি মনস্থির করেছেন । বহু ছাত্রী দুরুদূরান্তে, দেশ-বিদেশে বর্তমানে কর্মরত । তাদের কথা ভেবেই আগামী ৭০ তম বর্ষ সামনে রেখেই প্রাক্তনী ছাত্রী সম্মেলনে জোর দিলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা আজ স্কুলের বাৎসরিক অনুষ্ঠান এবং ফুড ফেস্টিভেল ছাত্রী অভিভাবক শিক্ষক শিক্ষিকা শিক্ষা কর্মী সকলকেই ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন স্কুলের সহ প্রধান শিক্ষিকা এবং প্রধান শিক্ষিকা নমিতা দাস ও সুমনা পাহাড়ি।


No comments