Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

প্রাপক যেন এইচডিএর দেওয়া পাট্টা হস্তান্তর না করেন। তাহলে এইচডিএ সেই পাট্টা বাতিল করবে। পাট্টা প্রাপক উদ্বাস্তুদের এভাবে সতর্ক করলেন হলদিয়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ‍

প্রাপক যেন এইচডিএর দেওয়া পাট্টা হস্তান্তর না করেন। তাহলে এইচডিএ সেই পাট্টা বাতিল করবে। পাট্টা প্রাপক উদ্বাস্তুদের এভাবে সতর্ক করলেন হলদিয়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ‍
অবৈধভাবে কোনও প্রাপক যেন এইচডিএর দেওয়া পাট্টা হস্তান্তর না করেন। তাহলে…

 





প্রাপক যেন এইচডিএর দেওয়া পাট্টা হস্তান্তর না করেন। তাহলে এইচডিএ সেই পাট্টা বাতিল করবে। পাট্টা প্রাপক উদ্বাস্তুদের এভাবে সতর্ক করলেন হলদিয়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ‍


অবৈধভাবে কোনও প্রাপক যেন এইচডিএর দেওয়া পাট্টা হস্তান্তর না করেন। তাহলে এইচডিএ সেই পাট্টা বাতিল করবে। পাট্টা প্রাপক উদ্বাস্তুদের এভাবে সতর্ক করলেন হলদিয়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এইচডিএ) চেয়ারম্যান জ্যোতির্ময় কর। পাট্টা হস্তান্তর করতে গেলে এইচডিএর অনুমোদন নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। অভিযোগ, এইচডিএর জমি অবৈধভাবে হস্তান্তরের একটি চক্র গড়ে উঠেছে হলদিয়াজুড়ে। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতেই বুধবার এইচডিএ অফিসে উদ্বাস্তুদের পাট্টা বিতরণ অনুষ্ঠানে কড়া বার্তা দিয়েছেন এইচডিএর চেয়ারম্যান। এদিন এইচডিএ অফিসে আনুষ্ঠানিকভাবে হলদিয়া ও মহিষাদল এলাকার ১৩১ জন উদ্বাস্তুর হাতে পাট্টা তুলে দেওয়া হয়েছে। প্রতীকীভাবে এদিন দু’টি উদ্বাস্তু পরিবারের হাতে পাট্টা তুলে দেন জেলাশাসক তানবীর আফজল। উপস্থিত ছিলেন এইচডিএর চেয়ারম্যান, সংস্থার চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার কোন্থাম সুধীর, ভাইস চেয়ারম্যান সাধন জানা। 

এইচডিএ কর্তৃপক্ষ  জানিয়েছে, এদিন ৩৫টি প্লটের জমির পাট্টা ১৩১ জনকে দেওয়া হয়েছে। মোট জমির পরিমাণ ১.৫৫ একর। হলদিয়ার পূর্ব শ্রীকৃষ্ণপুর, ভবানীপুর, ক্ষুদিরামনগর, গান্ধীনগর, চকদ্বীপা, রামনগর এবং মহিষাদলের বেতকুণ্ডু মোট ৭টি উদ্বাস্তু পুনর্বাসন কলোনি এলাকায় ওই প্লট রয়েছে। ৪, ৫ এবং ৬ ডেসিমেল করে প্লটের পাট্টা দেওয়া হয়েছে। গত ৩১ জুলাই একইভাবে ৫টি উদ্বাস্তু কলোনি এলাকায় ৮৯ জনকে মোট ২.০৫৫ একর জমি পাট্টা দেওয়া হয়েছে। ৬ মাসে মোট ২২০ জনকে পাট্টা দিল এইচডিএ। এইচডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৬ সালের পর এই প্রথম পর পর দু’দফায় হলদিয়ার উদ্বাস্তুদের পাট্টা দেওয়া হল। গত দেড় দশক ধরে এনিয়ে বিস্তর টানাপোড়েন চলে। জ্যোতির্ময়বাবু চেয়ারম্যান হওয়ার পর উদ্বাস্তুদের পাট্টা দেওয়ার কাজে গতি এসেছে। ২০০৭-০৮ সালে পুনর্বাসন উপদেষ্টা কমিটির কাছে ওই প্রাপকরা আবেদন করেছিলেন। এঁদের মধ্যে কেউ ১৯৭৫ সালে বন্দরের উদ্বাস্তু, কেউ আবার ১৯৯৬-২০০১ সালের মধ্যে বাস্তুহারা। 

অভিযোগ, গত কয়েক বছর ধরে এইচডিএ কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছার অভাবে পাট্টা দেওয়া থমকে ছিল। এইচডিএর চেয়ারম্যান হওয়ার পর জ্যোতির্ময়বাবু উদ্যোগ নেন। শেষমেশ জেলা প্রশাসনের অনুমতিক্রমে উদ্বাস্তুরা পাট্টা পেলেন। এইচডিএর এক আধিকারিক বলেন, এদিন যাঁরা পাট্টা পেলেন তাঁদের ২০-২৫ বছর আগেই এইচডিএ বিভিন্ন পুনর্বাসন কলোনিতে প্লট দিয়েছে। কিন্তু পাট্টা না থাকায় তাঁদের ওই জমির আইনি অধিকার ছিল না। ফলে সরকারি বিভিন্ন কাজ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছিলেন উদ্বাস্তু পরিবারের লোকজন। এতদিন পর পাট্টা পেয়ে উদ্বাস্তুরা জমির আইনি অধিকার পেলেন। এইচডিএ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পাট্টা প্রাপকদের আগামী ৩ মাসের মধ্যে ভূমি দপ্তরে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।  

No comments