জেলাশাসকের উপস্থিতিতেই দুটি কারখানার শ্রমিকদের বেতন চুক্তি স্বাক্ষরিত হলবুধবার হলদিয়ায় হিন্দুস্তান লিভার ও লালবাবা সিমলেস নামে দুটি শিল্প সংস্থার প্রায় সাড়ে ৮০০ শ্রমিক কর্মচারীর নতুন বেতন চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে। জেলাশাসক তানবীর আ…
জেলাশাসকের উপস্থিতিতেই দুটি কারখানার শ্রমিকদের বেতন চুক্তি স্বাক্ষরিত হল
বুধবার হলদিয়ায় হিন্দুস্তান লিভার ও লালবাবা সিমলেস নামে দুটি শিল্প সংস্থার প্রায় সাড়ে ৮০০ শ্রমিক কর্মচারীর নতুন বেতন চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে। জেলাশাসক তানবীর আফজলের উপস্থিতিতে এদিন শ্রমিক ইউনিয়ন ও কারখানা কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি এবং শ্রমদপ্তরের ত্রিপাক্ষিক চুক্তি হয়। সিটিসেন্টারে হলদিয়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের(এইচডিএ) অফিস সতীশ সামন্ত ভবনে ওই চুক্তি হয়। এইচডিএর চেয়ারম্যান জ্যোতির্ময় কর, সংস্থার চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার কোন্থাম সুধীর, হলদিয়ার মহকুমাশাসক সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায়, হলদিয়ার ডেপুটি লেবার কমিশনার সুদীপ্ত সামন্ত, আইএনটিটিইউসির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি চন্দন দে চুক্তি সাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এদিন প্রথমে স্টিল পাইপ উৎপাদক সংস্থা লালবাবা সিমলেসের ৫৬০ জন অস্থায়ী শ্রমিক কর্মচারীর বেতন চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে। ওই সংস্থার অস্থায়ী চার ধরনের শ্রমিক কর্মচারীর বেতন চুক্তি হয় এদিন। হলদিয়ার এক শ্রম আধিকারিক বলেন, সংস্থার ট্রেনি কর্মীদের প্রতিদিনের মজুরি ৩৭৬ টাকা থেকে বেড়ে ৪৯৩ টাকা হয়েছে। এছাড়া সেমি স্কিলড, স্কিলড ও হাইস্কিলড কর্মীদের গড়ে ৩১শতাংশ হারে বেতন বাড়ছে। তিন বছরের জন্য ওই বেতন চুক্তি হয়েছে। চুক্তির মেয়াদ ২০২৩ সালের ১এপ্রিল থেকে ৩১ মার্চ ২০২৬ সাল পর্যন্ত।
দ্বিতীয় পর্বে হিন্দুস্তান লিভারের ২৮২ জন শ্রমিক কর্মচারীর নতুন বেতন চুক্তি হয়। ওই সংস্থায় গড়ে ৪২০০টাকা করে বেতন বাড়ছে শ্রমিকদের। ২২মাস ধরে ওই সংস্থার বেতন চুক্তি বকেয়া ছিল। হলদিয়ার শ্রম আধিকারিক বলেন, এরিয়ার হিসেবে শ্রমিকদের প্রতি মাসে ১৯০০ টাকা করে দেওয়া হবে। কয়েক দফা আলোচনার পর বেতন চুক্তি চূড়ান্ত হয়েছে। হিন্দুস্তান লিভারেও ৩বছরের চুক্তি হয়েছে। চুক্তির মেয়াদ ২০২৬ সাল পর্যন্ত। প্রসঙ্গত, দিন পনেরো আগে শিল্প স্ট্যান্ডিং কমিটি ওই সংস্থায় ভিজিটে গিয়ে শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে পড়ে। স্ট্যান্ডিং কমিটি শ্রম আধিকারিকদের কাছে বিষয়টি তুলে ধরে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলে। তারপরই জেলাপ্রশাসন ও শ্রম দপ্তর তৎপরতার সঙ্গে নয়া চুক্তিতে জোর দেয়। তবে এদিন চুক্তি সাক্ষরের সময় ওই কারখানার শ্রমিকদের দেখা যায়নি।
No comments