Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

করনার নতুন ভ্যেরিয়েন্ট জে এন১ উদ্বিগ্ন নয় সতর্ক হোন!

করনার নতুন ভ্যেরিয়েন্ট   জে এন১ উদ্বিগ্ন নয় সতর্ক হোন!

নয়া ভ্যারিয়েন্ট জেএন.১’এর জেরে হঠাত্ করেই ফের বাড়ছে করোনা আক্রান্ত সংখ্যা। তাতেই বিভিন্ন দিকে গেল গেল রব উঠতে শুরু করেছে। কিন্তু, এই নিয়ে এখনই আতঙ্কের কিছু নেই। কারণ যতটুকু…

 


করনার নতুন ভ্যেরিয়েন্ট   জে এন১ উদ্বিগ্ন নয় সতর্ক হোন!



নয়া ভ্যারিয়েন্ট জেএন.১’এর জেরে হঠাত্ করেই ফের বাড়ছে করোনা আক্রান্ত সংখ্যা। তাতেই বিভিন্ন দিকে গেল গেল রব উঠতে শুরু করেছে। কিন্তু, এই নিয়ে এখনই আতঙ্কের কিছু নেই। কারণ যতটুকু তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাতে সংক্রমণের হার বাড়লেও জটিল কোনও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে না আক্রান্তকে। আরও স্বস্তির খবর হল নয়া ভ্যারিয়েন্টের মারণ ক্ষমতাও নেই।

কী এই নয়া ভ্যারিয়েন্ট?

আসলে সমস্ত ভাইরাসেরই মিউটেশনের মাধ্যমে নতুন নতুন উপরূপ তৈরি হয়। কোভিডের ক্ষেত্রেও তাই। এর আগে আমরা ডেলটা, ওমিক্রনের মতো নাম শুনেছি। এবার করোনার এই নয়া ভ্যারিয়েন্টের নাম জেএন.১। একে প্রাথমিকভাবে বিএ.২.৮৬-এর একটি উপরূপ হিসেবে ধরা হচ্ছিল। কিন্তু, সংক্রামক ক্ষমতা বেশি হওয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু এই রেসপিরেটরি ভাইরাসকে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ বলে পৃথকভাবে চিহ্নিত করছে। 

বাড়ছে সংক্রমণ

চীন, ফ্রান্স, আমেরিকায় বেশ কিছু মানুষ জেএন.১ আক্রান্ত হয়েছে। আমাদের দেশেও গুজরাত, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, গোয়া, কেরলে বেশ কয়েকজনের দেহে এই ভাইরাস মিলেছে। বাংলাতে কোভিড আক্রান্তের খোঁজ মিললেও তা নয়া ভ্যারিয়েন্ট কি না নিশ্চিত নয়। 


বাড়তি সংক্রমণে চিন্তার কিছু নেই 

ফি বছর শীতের মরশুম পড়তেই শ্বাসকষ্টজনিত নানা সমস্যা বা রেসপিরেটরি ডিজিজের প্রাদুর্ভাব ঘটে। এবার তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কোভিডও। তবে সংখ্যা নগণ্য। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটিও সাধারণ ফ্লুয়ের মতোই হয়ে যাবে। এখন যেটা দেখা যাচ্ছে, ইনফ্লুয়েঞ্জা আক্রান্তের সংখ্যাই অপেক্ষাকৃত বেশি। এইচ১এন১, এইচ৩এন২ বেশি পাওয়া যাচ্ছে। 


বাচ্চাদের ক্ষেত্রে কী করণীয়

সর্দি, কাশি, জ্বর থাকলে বাচ্চাকে স্কুলে পাঠাবেন না। উপসর্গ কম দেখে অনেক বাবা-মা সন্তানকে স্কুলে পাঠিয়ে দেন। তাতে ওই শিশুর থেকে সহপাঠীদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে যেতে পারে।  আবার সহপাঠীদের মধ্যে কারও উপসর্গ থাকলে, তার থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিন সন্তানকে। সেক্ষেত্রে হালকা কাপড়ের মাস্ক পরিয়ে দিন।

 সন্তান কোভিডে আক্রান্ত হলে, ৫-৭ দিন একটু আলাদা করে থাকলেই (আইসোলেশন) হবে। জ্বর হলে প্যারাসিটামল দেওয়া যেতে পারে। উপসর্গ প্রবল হলে (বেশি জ্বর,  শ্বাসকষ্ট, খেতে না চাওয়া, নিস্তেজ হয়ে পড়া) চিকিত্সকের পরামর্শ নিতে হবে। নিজের থেকেই সন্তানকে যথেচ্ছভাবে অ্যান্টিবায়োটিক দেবেন না। 


সাবধানে থাকতে হবে বয়স্কদেরও

ষাটোর্ধ্ব বা ডায়বেটিস, কিডনির, লিভার, হার্টের সমস্যার মতো কোমর্বিডিটি বা প্রেগন্যান্সি থাকলে একটু সতর্কতা জরুরি। তাঁদের ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে। 

কেউ সর্দি, কাশি, জ্বরে আক্রান্ত হলে তাঁর থেকে দুরত্ব বজায় রাখুন। খোলা জায়গায় কোনও সামাজিক অনুষ্ঠান হলে যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে থ্রি লেয়ার সার্জিকাল মাস্ক ব্যবহার আবশ্যিক। 


শেষে বলি...

করোনা আপনার বাড়িতেও হানা দিতে পারে। তাতে ভয় পাবেন না। সাতদিন নিজেকে অন্যদের থেকে দূরে রাখুন। প্রয়োজনে চিকিত্সকের পরামর্শ নিন। আমরা আগেও এই ব্যাধিকে হারিয়েছি, আবারও হারাব। দরকার শুধু সাবধানতা ও সতর্কতা। প্রয়োজনে সঠিক পরামর্শ।

No comments