Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

প্রাক্তন ডিআই চাপেশ্বরবাবুকে গ্রেপ্তার করার পর তাঁর সম্পত্তি সিআইডির নজরে

প্রাক্তন ডিআই চাপেশ্বরবাবুকে গ্রেপ্তার করার পর তাঁর সম্পত্তি সিআইডির নজরে
বাম জমানায় নন্দীগ্রাম সার্কেলের এসআই থাকাকালীন দুর্নীতিতে হাতেখড়ি হয় ধৃত চাপেশ্বর সর্দারের। ম্যানেজিং কমিটি না থাকা বেশ কয়েকটি স্কুলের প্রশাসক এবং ডিডিও(ড্র…

 


প্রাক্তন ডিআই চাপেশ্বরবাবুকে গ্রেপ্তার করার পর তাঁর সম্পত্তি সিআইডির নজরে


বাম জমানায় নন্দীগ্রাম সার্কেলের এসআই থাকাকালীন দুর্নীতিতে হাতেখড়ি হয় ধৃত চাপেশ্বর সর্দারের। ম্যানেজিং কমিটি না থাকা বেশ কয়েকটি স্কুলের প্রশাসক এবং ডিডিও(ড্রয়িং অ্যান্ড ডিসবার্সিং অফিসার) হয়েছিলেন। ওইসব স্কুলের অশিক্ষক কর্মী নিয়োগের দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ। জেলায় প্রভাবশালী সিপিএম নেতাদের সঙ্গে তাঁর দহরম মহরমও ছিল। জমানা বদলাতেই ধৃত প্রাক্তন ডিআই রাতারাতি শিবির বদল করেন। শোনা যাচ্ছে, ভগবানপুরে সহকারী পরিদর্শক থেকে তমলুক ডিআই অফিসে বদলি হন। তারজন্য তিনি ভালো টাকা খরচ করেছিলেন। ২০১৬সালে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক(প্রাথমিক) হিসেবে দায়িত্ব পান। দপ্তরের কিছু অফিসার ও এক মন্ত্রীকে খুশি করার জন্য মাঝেমধ্যেই চিংড়ি, ইলিশ, ভেটকি প্রভৃতি মাছ নিয়ে কলকাতায় পৌঁছে যেতেন। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নাকি সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করে আশীর্বাদ নিতেন।
সিপিএমের জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি বলেন, বাম জমানায় চাপেশ্বর সর্দার এসআই থাকতে পারেন। কিন্তু, তাঁর অন্যায় কাজকর্ম এখন সামনে আসছে। তাঁর যাবতীয় দুর্নীতির ভার তাঁকেই নিতে হবে। আমরা এই ধরনের কাজ সমর্থন করি না।
চাপেশ্বরবাবু এসআই থাকাকালীন নন্দীগ্রাম-১ ও ২ ব্লক মিলে একটি চক্র ছিল। মোট স্কুল ছিল ৫২টি। তারমধ্যে বেশ কয়েকটির ম্যানেজিং কমিটি ছিল না। সেইসব স্কুলে গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডি কর্মী নিয়োগ করতেন  সিআইডির হেফাজতে থাকা প্রাক্তন ডিআই। সেইসব নিয়োগে ব্যাপক লেনদেন হতো বলে অভিযোগ। একবার নন্দীগ্রামের আসদতলা বিনোদ বিদ্যাপীঠে অশিক্ষক কর্মী নিয়োগ নিয়ে চাপেশ্বরের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেছিলেন স্কুল পরিচালন কমিটির তৎকালীন সম্পাদক জ্যোতি দে। সেই জল অনেক দূর পর্যন্ত গড়িয়েছিল। এসআই থেকে এআই (অ্যাসিস্ট্যান্ট ইন্সপেক্টর) হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে ভগবানপুরে বদলি হন। কিন্তু, ভগবানপুরে মন পড়ছিল না। যেভাবেই হোক তমলুক হেডকোয়ার্টারে ফিরতে চাইছিলেন। সময়টা ২০১০সাল। শোনা যায়, এক প্রভাবশালী তৃণমূল বিধায়কের স্ত্রীকে দামি উপহার দিয়ে ভগবানপুর থেকে তমলুক জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক অফিসে বদলি হন। হেডকোয়ার্টার থেকেই ঘুঁটি সাজানো শুরু হয়। নিয়োগ থেকে ট্রান্সফার সহ নানা কাজে শাগরেদ জুটিয়ে দুর্নীতি শুরু হয়। দপ্তরের কিছু কর্মী এবং বাছাই করা কিছু শিক্ষককে নিয়ে একটি র‌্যাকেট তৈরি করে ফেলেন। ২০১৬ সালে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক হিসেবে প্রমোশন পান। আশ্চর্যজনকভাবে তমলুকেই পোস্টিং পান। তারপর কলকাতা থেকে দপ্তরের কিছু অফিসার ও প্রভাবশালী কর্মীর বিনোদনের সব ব্যবস্থা করে দিতেন চাপেশ্বরবাবু। তাঁদের জন্য দীঘায় হোটেল বুকিং, সেখানে আমোদ প্রমোদের এলাহি আয়োজন থাকত। এভাবেই কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে ময়নায় অসংখ্য ভেড়ি ও জমির মালিক হয়ে যান। সিআইডি প্রাক্তন ডিআই চাপেশ্বরবাবুকে গ্রেপ্তার করার পর তাঁর সম্পত্তি এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এখন তদন্তকারীদের নজরে। এজন্য ভূমিদপ্তরে চিঠি দিয়ে সম্পত্তির খতিয়ান জানতে চাওয়া হতে পারে। 

No comments