পূর্বে গাড়ির বকেয়া কর আদায়ে তৎপরতাবাস, লরি-সহ বিভিন্ন গাড়ির বকেয়া কর আদায়ে তৎপর হয়েছে রাজ্য। বকেয়া কর আদায়ের সঙ্গে জরিমানার সময়সীমা বেঁধে বিশেষ ছাড় দেওয়ার ঘোষণাও করেছে পরিবহণ দফতর। এমন পরিস্থিতিতে পূর্ব মেদিনীপুরে চলতি বছরের শুরু…
পূর্বে গাড়ির বকেয়া কর আদায়ে তৎপরতা
বাস, লরি-সহ বিভিন্ন গাড়ির বকেয়া কর আদায়ে তৎপর হয়েছে রাজ্য। বকেয়া কর আদায়ের সঙ্গে জরিমানার সময়সীমা বেঁধে বিশেষ ছাড় দেওয়ার ঘোষণাও করেছে পরিবহণ দফতর। এমন পরিস্থিতিতে পূর্ব মেদিনীপুরে চলতি বছরের শুরু থেকেই বকেয়া কর আদায়ে তৎপর জেলা পরিবহণ দফতর।
গাড়ি মালিকদের উদ্দেশে সরকারি এই উদ্যোগের কথা জানাতে পরিবহণ দফতর থেকে বিভিন্ন জনবহুল এলাকার ব্যানার দিয়ে ও মাইকে প্রচার চালাচ্ছে। এর পাশাপাশি জেলা পরিবহণ দফতর থেকে গাড়ির মালিকদের ফোন করে বকেয়া কর মিটিয়ে দেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক- দুই ধরনের গাড়ির ক্ষেত্রেই বকেয়া কর আদায়ের লক্ষে রাজ্য সরকার গাড়ি মালিকদের জন্য 'ওয়েভার স্কিম' ঘোষণা করেছে।
ঘোষণা অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যে সমস্ত গাড়ির কর বকেয়া রয়েছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তা জমা দিলে জরিমানায় সম্পূর্ণ ছাড় দেওয়া হবে। এ ছাড়া বাণিজ্যিক গাড়ির ক্ষেত্রে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ফিটনেস শংসাপত্র, পারমিট নবীকরণ বকেয়া থাকলে ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জানুয়ারির মধ্যে মূল 'ফি' জমা দিলে জরিমানার উপর ১০০ শতাংশ ছাড় পাওয়া যাবে এবং ৩১ জানুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মূল 'ফি' জমা দিলে জরিমানার উপরে ৮০ শতাংশ ছাড় পাওয়া যাবে।
জেলা পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় সরকারি বাস ছাড়াও বহু বেসরকারি বাস, ট্যুরিস্ট বাস, বড়-মাঝারি ও ছোট লরি, কন্টেনারবাহী ট্রেলার, অটো- রিকশা ও মোটরসাইকেল রয়েছে। ওই সমস্ত গাড়ির মধ্যে একাংশ গাড়ির মালিক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরিবহণ দফতরে 'কর' জমা দেননি। বাস মালিকদের সংগঠন পূর্ব মেদিনীপুর ডিস্ট্রিক্ট বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের জেলা সম্পাদক সুকুমার বেরা বলেন, "আমাদের জেলায় প্রায় ১৩০০ বেসরকারি বাস রয়েছে। অধিকাংশ বাস মালিক নিয়মিত কর মিটিয়ে দেন। অল্প কিছু বাস মালিকের গাড়ির কর বকেয়া থাকতে পারে।।"
তমলুক শহরের এক পণ্যবাহী গাড়ির মালিক বলেন, "গাড়ির বকেয়া কর আদায়ের জন্য জরিমানায় ছাড় দেওয়া ক্ষেত্রে জেলার গাড়ি মালিকরা এই প্রথম সুবিধা পাচ্ছেন। তবে বকেয়া কর জমা দেওয়ার জন্য পরিবহণ দফতর থেকে গাড়ি মালিকদের ফোন করার বিষয়টি এই প্রথম।" জেলা পরিবহণ দফতরের আধিকারিক সজল আধিকারিক মানছেন, "গাড়ি মালিকদের সচেতন করার জন্য জেলার বিভিন্ন জায়গায় ব্যানার দেওয়া হয়েছে। মাইকে প্রচারও চালানো হচ্ছে। বকেয়া কর আদায়ে আমাদের জেলায় ইতিমধ্যেখুবই ভাল সাড়া মিলেছে।"
No comments