Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

কড়ি ও তার কিছু কথা ....

কড়ি ও তার কিছু কথা ....
‘পরের ধনে পোদ্দারি’ প্রবাদ বা বাগধারা! আদিকালে  সারা পৃথিবীতে বিনিময় হতো সোনা-রূপায়, আর পাশাপাশি চলতো ‘কড়ি’।আমাদের দেশের সমুদ্রে যেই কড়ি পাওয়া যায় সেটা হচ্ছে সিপ্রিয়া টাইগ্রিস। মানে এই কড়ির গায়ে ব…

 


কড়ি ও তার কিছু কথা ....


‘পরের ধনে পোদ্দারি’ প্রবাদ বা বাগধারা! 

আদিকালে  সারা পৃথিবীতে বিনিময় হতো সোনা-রূপায়, আর পাশাপাশি চলতো ‘কড়ি’।

আমাদের দেশের সমুদ্রে যেই কড়ি পাওয়া যায় সেটা হচ্ছে সিপ্রিয়া টাইগ্রিস। মানে এই কড়ির গায়ে বাঘের মতো ফোঁটা ফোঁটা আছে। এটা দিয়ে কোনো কিছু কেনা যেত না। যে কড়ি দিয়ে কেনা যেতো সেটা ছিল সম্পূর্ণ সাদা, যার বৈজ্ঞানিক নাম সিপ্রিয়া মোনেটা।

এই কড়ি পাওয়া যেত মালদ্বীপে। সেখান থেকেই জাহাজ বোঝাই হয়ে আমাদের কড়ির টাকা আসতো। কিন্তু কড়ির দাম কতো ছিলো সেটা কী জানেন? কড়ির সাথে মুদ্রার বিনিময় মুল্য-ই বা কতো ছিলো? সেটা আরেক দারুণ হিসাব!

১২৮০টা কড়ি দিলে একটা রুপার মুদ্রার সমান দাম হতো। একটা মুদ্রায় রুপা থাকতো ১০.৪ থেকে ১০.৮ গ্রাম পর্যন্ত।

পৃথিবীতে সোনার চাইতে রুপার মজুদ কম, তাই অনেকে মনে করেন ভবিষ্যতে সোনার চাইতে রুপার দাম বাড়বে।

১২৮০ এই সংখ্যাটা এসেছে আমাদের প্রাচীন গণনা পদ্ধতি থেকে। ৪টায় এক গণ্ডা বা হালি বলি যেটাকে, ২০ গণ্ডায় ১ পণ আর ১৬ পণে এক টাকা। সব মিলে হল এক টাকায় পাওয়া যেতো: ১৬X২০X ৪= ১২৮০টি কড়ি।

এই ১৬ পণ থেকেই এসেছে ষোল আনা। ষোল আনায় এক টাকা।

কড়ির টাকা সেই সময় আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা সব জায়গাতেই চলতো। কড়িতেই চলতো দাস ব্যবসা, মানে দাস কেনাবেচা হতো। এই কড়ির কেন্দ্র ছিল হল্যান্ড আর লন্ডন।   

বাংলায় কড়ির ব্যবসায়ী বা মহাজন ছিল, তাদের সম্প্রদায়ের নাম ছিল ‘পোদ্দার’। এরাই ছিল বাংলার প্রথম যুগের ‘ব্যাংকার’। প্রচুর টাকা নিয়ে নাড়াচাড়া করলেও সেই টাকা বা কড়ির মালিক তারা ছিলেন না, মালিক ছিলেন গোত্রপতি বা রাজা বা জমিদারেরা। অন্যের ধন নিয়ে পোদ্দারদের এই কারবারি থেকেই জন্ম নেয় ‘পরের ধনে পোদ্দারি’ প্রবাদ বা বাগধারা!

No comments