মার্চের প্রথম সপ্তাহেই লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করতে চলেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনআগামী মার্চের প্রথম সপ্তাহেই লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করতে চলেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। প্রশাসনের এক নির্ভরযোগ্য সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছ…
মার্চের প্রথম সপ্তাহেই লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করতে চলেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন
আগামী মার্চের প্রথম সপ্তাহেই লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করতে চলেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। প্রশাসনের এক নির্ভরযোগ্য সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। জানা গিয়েছে, মার্চে ঘোষণার পর ভোট পর্ব চলবে এপ্রিল মাসজুড়ে। মে মাসে হবে গণনা। ওই সূত্রটি আরও জানিয়েছে, গতবারের (২০১৯) মতো এবারও পশ্চিমবঙ্গে আট দফায় ভোট করাতে আগ্রহী নির্বাচন কমিশন। বৃদ্ধি করা হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যাও। জানুয়ারি মাসেই কমিশনের ফুল বেঞ্চ রাজ্যে
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি, অপরিশোধিত তেলের বাজারদর নিম্নমুখী হওয়া সত্ত্বেও দেশে জ্বালানির লাগামছাড়া দাম সহ অর্থনৈতিক বিভিন্ন পরিসরে একের পর এক ব্যর্থতার নজির গড়েছে মোদি সরকার। সেই ব্যর্থতার আবর্তে যেভাবে অযোধ্যার রাম মন্দিরের প্রস্তাবিত উদ্বোধন ঘিরে ‘ধর্মীয় উন্মাদনা’ চাগিয়ে তোলার মরিয়া চেষ্টা শুরু করেছে গেরুয়া শিবির, তা সফল হলে ভোট ঘোষণা কর্মসূচি আরও এগিয়ে আনা হবে বলেই রাজনৈতিক মহলের অনুমান। কারণ, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর ভোট নির্ঘণ্ট ঘোষণায় কোনও আইনি বাধা নেই। নির্বাচন কমিশন শুক্রবারই জানিয়ে দিয়েছে, আগামী ৫ জানুয়ারি নয়, ২২ জানুয়ারি প্রকাশিত হবে ভোটার তালিকা। আর ঘটনাচক্রে ওই দিনই অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধন। চিরাচরিত রীতি ভাঙা হল কেন? নির্বাচন কমিশনের যুক্তি, বিভিন্ন রাজ্য তালিকা তৈরির জন্য বাড়তি সময় চেয়ে আর্জি জানিয়েছে। তাই এই সিদ্ধান্ত। কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগ, কমিশনের এ যুক্তি অমূলক। মন্দির উদ্বোধনের দিন ভোটার তালিকা প্রকাশ করে হিন্দু ভাবাবেগ উস্কে দেওয়ার প্রচেষ্টা মাত্র।
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষিত হয়েছিল ১০ মার্চ। তাই চব্বিশের নির্বাচন সংক্রান্ত প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই জোরকদমে শুরু করে দিয়েছে কমিশন। জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক এবং অন্য আধিকারিকদের নিয়ে জেলাওয়াড়ি বৈঠক শুরু হয়ে গিয়েছে। এই পর্বের প্রক্রিয়ায় রাজ্যে ঠিক কত সংখ্যক ভোটকর্মী রয়েছে, তা জানতে চেয়েছে কমিশন। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে নবান্ন। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) বাছাই সংক্রান্ত প্রথম পর্বের প্রশিক্ষণও শেষ হয়ে গিয়েছে। এই আবর্তেই জানুয়ারি মাসে নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের নেতৃত্বে ‘ফুল বেঞ্চ’ আসার কথা রাজ্যে। তবে ফুল বেঞ্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের আগে আসবে নাকি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা তৈরির কাজ খতিয়ে দেখতে ২২ জানুয়ারির আগেই রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার নীতেশ ব্যাস আসবেন। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, মার্চ মাসের মধ্যেই সিবিএসই এবং আইসিএসসি বোর্ড পরিচালিত পরীক্ষাগুলির অধিকাংশই শেষ হয়ে যাবে।
No comments