রাজ্যে নতুন করে এক হাজার ডেঙ্গু কর্মী নিয়োগপ্রতি বছরই ম্যালেরিয়া এবং ডেঙ্গু নিয়ে জেরবার হতে হয় রাজ্য সরকারকে। আগামী বছর এই ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে এখন থেকেই কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে নবান্ন। তৈরি হচ্ছে ওয়ার্ড ভিত্তিক মাইক্রো প্ল্…
রাজ্যে নতুন করে এক হাজার ডেঙ্গু কর্মী নিয়োগ
প্রতি বছরই ম্যালেরিয়া এবং ডেঙ্গু নিয়ে জেরবার হতে হয় রাজ্য সরকারকে। আগামী বছর এই ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে এখন থেকেই কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে নবান্ন। তৈরি হচ্ছে ওয়ার্ড ভিত্তিক মাইক্রো প্ল্যানিং। এই পরিকল্পনার সঠিক রূপায়ণে পর্যাপ্ত লোকবল নিশ্চিত করতে উদ্যোগী হয়েছে সরকার।
বিভিন্ন পুরসভায় প্রায় এক হাজার ‘অনারারি হেলথ ওয়ার্কার’ তথা স্বাস্থ্যকর্মীর শূন্যপদ রয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরুর আগেই এই পদগুলি পূরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, শুক্রবার পুরদপ্তরের অধীন স্টেট আর্বান ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (সুডা) পুরসভাগুলিকে চিঠি দিয়ে দ্রুত সমস্ত নিয়ম মেনে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দিয়েছে।
এই স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়োগ কেন গুরুত্বপূর্ণ? রাজ্যের এক আধিকারিক জানান, পুর-এলাকায় এই কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্যের খোঁজখবর রাখেন। এলাকা ঘুরে সমীক্ষা চালান। সেই সমীক্ষা রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করে প্রশাসন। এই স্বাস্থ্যকর্মীদের অভাব থাকলে তৃণমূল স্তরে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত রিপোর্ট তৈরিতেও খামতি থেকে যাবে। আবার মশাবাহিত রোগের প্রকোপ থেকে বাঁচতে সাধারণের মধ্যে সচেতনতা প্রচারের কাজেও এঁদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। তাই দ্রুত এই কর্মীদের নিয়োগ প্রয়োজন বলে মনে করছে দপ্তর। লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা হয়ে গেলে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালানো সম্ভব হবে না। আর যদি এপ্রিলে ভোট হয়, তাহলে এই শূন্যপদ পূরণ করতে বর্ষা এসে যাবে।
দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কোনও এলাকার ২০০টি বাড়ি বা এক হাজার মানুষের স্বাস্থ্যসংক্রান্ত রিপোর্ট সংগ্রহের জন্য একজন করে স্বাস্থ্যকর্মী নিযুক্ত করা হয়। এলাকার বিবাহিত মহিলাদের এই কাজে নিয়োগ করা হয়। ফলে কাজ পাওয়ার পরে এলাকা ছেড়ে যাওয়ার খুব একটা সম্ভাবনা থাকে না। তাছাড়া, বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা চালানোর জন্য এলাকা সম্বন্ধে অবগত থাকাটাও গুরুত্বপূর্ণ।
অধিকাংশ পুরসভাতেই শুন্যপদ রয়েছে। মহকুমা শাসকদের দ্বায়িত্বে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে বলে জানা গিয়েছে।
No comments