Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

ভারতবর্ষের প্রথম নির্বাচিত মহিলা রাষ্ট্রপতির জন্মদিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করি

ভারতবর্ষের প্রথম নির্বাচিত মহিলা রাষ্ট্রপতির জন্মদিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করি
প্রতিভা দেবীসিংহ পাটিল (জন্ম : ১৯৩৪, ১৯ ডিসেম্বর) ছিলেন ভারতের প্রথম নির্বাচিত মহিলা রাষ্ট্রপতি। তিনি স্বাধীনতার পর ভারতের ১২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়…

 




ভারতবর্ষের প্রথম নির্বাচিত মহিলা রাষ্ট্রপতির 

জন্মদিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করি


প্রতিভা দেবীসিংহ পাটিল (জন্ম : ১৯৩৪, ১৯ ডিসেম্বর) ছিলেন ভারতের প্রথম নির্বাচিত মহিলা রাষ্ট্রপতি। তিনি স্বাধীনতার পর ভারতের ১২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাঁর বয়স ৯০ বছর। তিনি ভারতের রাজস্থান প্রদেশের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ১৯শে জুলাই, ২০০৭ তারিখে ভারতীয় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ভৈরোঁ সিং শেখাওয়াতের চেয়ে তিন লক্ষেরও বেশি ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন। ২০০৭ সালের ২৫ জুলাই তিনি ভারতের প্রথম মহিলা রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। ভারতের সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীর হাতে থাকে নির্বাহী ক্ষমতা, কিন্তু রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার গঠনে রাষ্ট্রপতির ব্যাপক ক্ষমতা আছে। ফলে এটি শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিক পদ নয়। এছাড়া আরো বেশ কিছু ক্ষমতা হাতে থাকার কারণে দেশীয় উন্নয়নে ভূমিকা রাখার যথেষ্ট সুযোগও তাঁর আছে। নির্বাচনে জিতে প্রতিভা তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেছিলেন, 'কাগুজে প্রেসিডেন্ট’ না হয়ে এই পদের সাংবিধানিক সমস্ত দায়িত্ব তিনি যোগ্যতাবলে পালন করবেন। 

জন্ম :

প্রতিভা পাটিল ১৯৩৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর ভারতের মহারাষ্ট্রের ছোট শহর জালগাঁওয়ে জন্ম গ্রহণ করেন। 

শিক্ষা ও পারিবারিক জীবন : 

তিনি জলগাঁও ও মুম্বাইয়ে লেখাপড়া করেন। কলা ও আইন শাস্ত্রের উপর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভের পর তিনি জলগাঁওয়ে একজন আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৬৫ সালে তিনি রাজস্থানি বংশোদ্ভূত তরুণ দেবীসিংহ রনসিংহ শেখাওয়াতকে বিয়ে করেন। তাঁদের এক ছেলে ও মেয়ে রয়েছে। 

রাজনীতি : 

প্রতিভা পাটিলের পরিবারে শুধুমাত্র তিনিই রাজনীতির সাথে জড়িত। সামাজিক কাজ করতে গিয়ে তিনি কংগ্রেসের রাজনীতির সাথে জড়িত হয়ে পড়েন। ১৯৬২ সালে তিনি প্রথম মহারাষ্ট্র বিধানসভার সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত তিনি রাজস্থান মন্ত্রীসভার সদস্য ছিলেন। ১৯৭৯ সালে কংগ্রেস বিধানসভার নির্বাচনে হেরে গেলে তিনি বিরোধী দলীয় নেত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮২ সালে আবার রাজ্য মন্ত্রীসভার সদস্য হন। ১৯৮৫ সালে উচ্চ রাজ্যসভার সদস্য ও ১৯৯১ সালে সাধারণ নির্বাচনে লোকসভার সদস্য নির্বাচিত হন। 

সামাজিক কর্মকাণ্ড :

নয়া দিল্লী ও মুম্বাইয়ে তিনি কর্মজীবী মহিলাদের জন্য হোস্টেল তৈরি করেছেন। নিজ জন্মস্থান জলগাঁওয়ে তিনি একটি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছেন। এছাড়া সেখানে একটি চিনিকল ও মহিলাদের জন্য একটি সমবায় ব্যাংকও স্থাপন করেছেন। 

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন : 

ভারতের ক্ষমতাসীন দল কংগ্রেস সমর্থিত সংযুক্ত প্রগতিশীল মোর্চার (ইউপিএ) প্রার্থী ছিলেন প্রতিভা দেবীসিংহ পাটিল। ভারতীয় সংসদের দুই কক্ষের ৬৮২ এমপি এবং রাজ্য বিধানসভার ৩,৭৫৫ এমএলএ-রা গোপন ব্যালটে এ নির্বাচনে ভোট দেন। ১৯ জুলাই, ২০০৭ কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সংসদ এবং দেশব্যাপী রাজ্য বিধানসভায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। শনিবার সকাল ১১টায় ভোট গণনা শুরু হয়। পাটিল বিরোধী পক্ষ বিজেপি ও এজিপির ভিন্ন মতাবলম্বীদের অপ্রত্যাশিত সমর্থন লাভ করেন।

চূড়ান্ত ভোট গণনায় দেখা যায়, প্রতিভা পাটিল ৬৫.৮২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। পার্লামেন্টে তিনি পেয়েছেন ৪৪২ ভোট। প্রতিপক্ষ শেখওয়াত পেয়েছেন ২৩২ ভোট। রাজ্য বিধানসভা ও ইউনিয়ন এলাকাগুলো মিলে প্রতিভা পেয়েছেন ২,৪৮৯ ভোট। সব মিলিয়ে প্রতিভা পাটিল ১০.৯৮ লাখ নির্বাচকমন্ডলীর ৬ লাখ ৩৮ হাজার ১১৬ ভোট পেয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি পদ থেকে অবসর গ্রহণের পর প্রতিভা দেবীসিংহ পাটিল বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত রয়েছেন। 


No comments