Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

নতুন বছরের পর্যটকদের জন্য সেজে উঠেছে শিল্প শহরের পার্ক গুলি

নতুন বছরের  পর্যটকদের জন্য সেজে উঠেছে শিল্প শহরের পার্ক গুলি

বড়দিন ও নিউ ইয়ারে বন্দর শহর দেখতে আসা পর্যটকদের জন্য প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা খরচে সেজে উঠেছে হলদিয়া পুরসভার পার্কগুলি। বড়দিনের আগেই শহরের টাউনশিপ লাগোয়া হাতিবেড়িয়ায় বিপ্লবী স…

 


নতুন বছরের  পর্যটকদের জন্য সেজে উঠেছে শিল্প শহরের পার্ক গুলি



বড়দিন ও নিউ ইয়ারে বন্দর শহর দেখতে আসা পর্যটকদের জন্য প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা খরচে সেজে উঠেছে হলদিয়া পুরসভার পার্কগুলি। বড়দিনের আগেই শহরের টাউনশিপ লাগোয়া হাতিবেড়িয়ায় বিপ্লবী সতীশ সামন্ত পার্কে চালু হচ্ছে মিউজিক ফাউন্টেন। প্রতিদিন সন্ধ্যায় গানের ঝর্ণাধারার ছন্দোময় নৃত্য মোহিত করবে দর্শকদের। প্রতিদিন এই ফাউন্টেনের আধ ঘণ্টা করে দু’টি শো হবে। রবীন্দ্রনাথ সঙ্গীত বা পুরনো হিন্দি গানের সুর মূর্ছনায় নেচে উঠবে ঝর্ণাধারা। কখনও বাজবে লোকগানের সুর, আবার কখনও শিশুদের জন্য তৈরি করা হবে মজাদার রূপকথার জগৎ। মিউজিক ফাউন্টেনের সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত দিতে পার্কগুলিকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে রঙবাহারি শীতের ফুলে। পর্যটক ও স্কুল পড়ুয়াদের গাছ চেনাতে প্রতিটি পার্কে তৈরি হচ্ছে ভেষজ বাগান। বিভিন্ন পার্কে আলাদা ধরনের ভেষজ গাছ রাখা হচ্ছে। পার্কগুলিকে আকর্ষণীয় করতে পুরসভার নতুন ভাবনা ‘রিডিং কর্নার’। বড় গাছের নির্জন ছায়ায় বসে গল্পের বই বা পড়াশোনাও করতে পারবেন বইপ্রেমীরা। ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে পাঠের অভ্যেস ফেরাতে নয়া উদ্যোগ পুরসভার। 

মহকুমা শাসক তথা পুর প্রশাসক সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায় বলেন, হলদিয়ায় পার্কের ঐতিহ্য ফেরাতে নতুন করে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। উম-পুনের সময় হলদিয়ার সাজানো পার্কগুলি খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দীর্ঘদিন সেগুলি বেহাল অবস্থায় পড়েছিল। ন্যাশনাল ক্লিন এয়ার প্রোগ্রাম (এনক্যাপ) এবং পুরসভার নিজস্ব তহবিলের অর্থে ফের পার্ক সাজিয়ে তোলা হয়েছে। শীতের সময় বহু মানুষ হলদিয়া বেড়াতে আসেন। তাছাড়া হলদিয়ার বাসিন্দারাও পার্ক বেহাল থাকায় মুক্ত পরিবেশে বেড়াতে পারছিলেন না। সবার কথা ভেবেই পার্কগুলি সাজিয়ে বড়দিনের আগে খুলে দেওয়া হচ্ছে। পুরসভার এক আধিকারিক বলেন, প্রথমদফায় শহরের ঐতিহ্যময় ও নামী পার্কগুলি সাজাতে ৬০ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে। এরমধ্যে সতীশ পার্কে ২৫ লক্ষ টাকা খরচে মিউজিক ফাউন্টেন বসানো হয়েছে। এনক্যাপ ফান্ড থেকে ওই অর্থ খরচ হয়েছে। টাউনশিপে হলদি ও হুগলির মোহনায় বেহাল বিদ্যাসাগর পার্ক মেরামত ও সাজাতে ১০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। ওই পার্কটি দীর্ঘদিন অন্ধকারে ডুবে ছিল। নতুন করে চেয়ার, দোলনা লাগানো হয়েছে। এছাড়া দুর্গাচকে ১১ নম্বর ওয়ার্ডে বিবেকানন্দ পার্ক, ক্ষুদিরাম নগরে খেলা অবসর পার্ক এবং টাউনশিপে জীবনানন্দ দাশ নগরে চিলড্রেন্স পার্ক নিজস্ব তহবিলের টাকায় সাজিয়েছে পুরসভা। পুরসভার ফিনান্স অফিসার দুলাল সরকার বলেন, এবছর ২০২৩-২৪ অর্থ বর্ষে গ্রিন সিটি গড়ার জন্য এনক্যাপ প্রকল্পে ৫কোটি ৮৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য। দুর্গাপুর ও হলদিয়াই সবচেয়ে বেশি ফান্ড পেয়েছে। ইতিমধ্যেই দু’দফায় ২কোটি ৯২ লক্ষ টাকা হলদিয়া পুরসভায় এসেছে। ওই অর্থ শহরের পরিবেশকে পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর করতে কাজে লাগানো শুরু হয়েছে। শহরকে দৃষ্টিনন্দন সবুজে মুড়ে ফেলা হবে। পার্কগুলি সাজানো হবে। বিভিন্ন মনীষী ও বিপ্লবীদের নামে পার্কগুলিতে তাঁদের মূর্তি, কর্মকাণ্ড সম্বলিত বোর্ড লাগানো হবে। বিদ্যাসাগর পার্কটি থেকে হাতের নাগালে বন্দরে ভিনদেশি জাহাজের আনাগোনা দেখা যায়। শহরে ইকো ট্যুরিজম চালু করতে এবার পার্কগুলিতে পর্যটকদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে। পর্যটকদের জন্য পার্কে জেলা ও রাজ্যের হস্তশিল্পের স্টল থাকবে। পুরসভার স্বনির্ভর গোষ্ঠী বা কোনও প্রফেশনাল সংস্থাকে ফ্রাঞ্চাইজি দেওয়া হতে পারে। শীতের সময় সপ্তাহান্তে শহরের বাসিন্দা বা পর্যটকদের জন্য লোকশিল্পী নিয়ে অনুষ্ঠানও হবে।

No comments