ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্যাঙ্কার্স এসোসিয়েশন, হলদিয়া শাখার তেমুখ্যমন্ত্রী, অভিষেক ব্যানার্জি ও রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ
পেট্রোলিয়াম পণ্য পরিবহনকারীদের উপর নানাভাবে অত্যাচারের প্রতিবাদ ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্যাঙ্কার্স এসোসিয়েশন, হ…
ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্যাঙ্কার্স এসোসিয়েশন, হলদিয়া শাখার তেমুখ্যমন্ত্রী, অভিষেক ব্যানার্জি ও রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ
পেট্রোলিয়াম পণ্য পরিবহনকারীদের উপর নানাভাবে অত্যাচারের প্রতিবাদ ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্যাঙ্কার্স এসোসিয়েশন, হলদিয়া শাখার তেমুখ্যমন্ত্রী, অভিষেক ব্যানার্জি ও রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ
রাস্তায় গাড়ি আটকে ফাইন্যান্স- এর লোক পরিচয় দিয়ে গাড়ির চালকদের মারধর, হুমকি, মোবাইল কেড়ে নেওয়া, শীতের কম্বল চাদর কেড়ে নিয়ে মারধর করা, গাড়ি কেড়ে নিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া সহ বিভিন্ন ধরনের অত্যাচার চালানো হচ্ছে পেট্রোলিয়াম পণ্য পরিবহনকারী কর্মীদের উপর। এর ফলে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্যাঙ্কারস এসোসিয়েশন-এর হলদিয়া শাখার সদস্য ও গাড়ি মালিকদের মধ্যে।
বিগত কয়েকদিন ধরে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুরের বিভিন্ন জায়গায় জাতীয় সড়কে ফাইন্যান্স-এর লোক পরিচয় দিয়ে এক শ্রেণীর দুষ্কূতকারী পেট্রোল ভর্তি গাড়ী থামিয়ে প্রায় ১২টি গাড়ি গোপন স্থানে টেনে নিয়েছে বলে এসোসিয়েশন-এর কর্মকর্তাদের অভিযোগ। ফাইন্যান্স কোম্পানির লোকজন গাড়ি রাস্তা থেকে টেনে নিয়ে কোথায় রাখছে তাও পরিষ্কার করে জানাচ্ছেও না। এমন কি গাড়ির কিস্তির সম্পূর্ণ টাকা পেমেন্ট হওয়া সত্বেও ফাইন্যান্স কোম্পানি - ভুয়ো কোর্টের নোটিসও পাঠিয়ে দিচ্ছে একাধিক গাড়ির মলিককে বলে ট্যাঙ্কার মালিকদের অভিযোগ। এসোসিয়েশনের সহ সম্পাদক তড়িৎ জানা জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও রাস্তা থেকে জোর করে গাড়ি টেনে নিচ্ছে ফাইনান্স কোম্পানির লোক পরিচয় দিয়ে এক শ্রেণীর দুষ্কৃতীরা বলেও অভিযোগ একাধিক ট্যাঙ্কার মালিক ও এসোসিয়েশনের কর্মকর্তার। এই বিষয় নিয়ে ট্যাঙ্কার এসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। তাদের দাবি, বর্তমানে এই পেট্রোলিয়াম প্রোডাক্ট-এর লোডিং অনেক কমে গিয়েছে। তার ওপর এলাকার কিছু প্রভাবশালী নেতাদের মদতে বাইরের কিছু গাড়ি জোর করে এই কাজে যুক্ত হচ্ছে।যার ফলে তাদের পরিবহন ব্যবস্থা দিন দিন লোকসানের মুখে পড়ছে।
উল্লেখ্য, পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর এলাকায় ফাইন্যান্স এর লোকেরা কোন নোটিশ ছাড়াই তাদের গাড়ি আটকে রাখছে। কিন্তু বিষয় হলো আদও তারা ফাইনেন্স এর লোক কিনা সেই বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে।
কমিটির কর্মকর্তাদের পক্ষে তড়িৎবাবু জানান, "ইন্ডিয়ান অয়েল আমাদের নানা কারণে আগের মতো কাজ দিতে পারছে না, সেই বিষয়ে আমরা চাপে আছি, চিন্তায় আছি। তারপরেও নানারকম ভুয়ো নিয়ম দেখিয়ে বিভিন্ন ব্যাংক আমাদের নানাভাবে হেনস্থা করছে।আমরা চাইছি যেহেতু আমরা হলদিয়ার স্থানীয় ভূমিহারা, উদ্বাস্তু ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ, আমাদের এই বিষয়টি সরকার গুরুত্ব সহকারে দেখুন। প্রয়োজেন আমরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দোপাধ্যায় ও রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে সুষ্ঠু সমাধানের অনুরোধ জানাবো।"
এসোসিয়েশনের সদস্যরা জানান, বাইরের গাড়ি এসে এখানে যেভাবে রমরমা শুরু করেছে, তাতে স্থানীয়দের কোন কিছুই করার থাকছে না। অথচ তাঁরা বাইরে কোথাও গেলে তাদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়।তাঁরা বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চাইছেন বলে জানান।
No comments