ওষুধ খেয়েই বিশ্বে প্রতি বছর মারা যাচ্ছেন বছরে সাত লক্ষ মানুষওষুধও কখনও কখনও রোগের জন্য দায়ী। হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। শুধুমাত্র ওষুধ খেয়েই বিশ্বে প্রতি বছর মারা যাচ্ছেন বছরে সাত লক্ষ মানুষ। অসুখের নাম ‘সুপারবাগস’। শুনতে অবাক লাগলেও এ ত…
ওষুধ খেয়েই বিশ্বে প্রতি বছর মারা যাচ্ছেন বছরে সাত লক্ষ মানুষ
ওষুধও কখনও কখনও রোগের জন্য দায়ী। হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। শুধুমাত্র ওষুধ খেয়েই বিশ্বে প্রতি বছর মারা যাচ্ছেন বছরে সাত লক্ষ মানুষ। অসুখের নাম ‘সুপারবাগস’। শুনতে অবাক লাগলেও এ তথ্যে জল নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এই বিষয়ে বেশ উদ্বিগ্ন। যথেচ্ছ অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহারই এর মূল ভিলেন। সামান্য পেটের অসুখ থেকে গলা ব্যথা বা সর্দিকাশি। মুঠো মুঠো অ্যান্টিবায়োটিক খেতে ভারতীয়দের জুড়ি নেই। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই এসব ওষুধের কিনে খান একাংশ। বিপদ লুকিয়ে সেখানেই। গত বছর নভেম্বরের শেষে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ একটি নির্দেশিকা জারি করে। অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে রাশ টানার কথা বলা হয়।
কী এই সুপারবাগস? কোনও অ্যান্টিবায়োটিকের অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে শরীরে সেই ওষুধের বিরুদ্ধে একটি প্রতিরোধব্যবস্থা তৈরি হয়ে যায়। যখন-তখন ইচ্ছেমতো ওষুধ সেবনে ‘অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স’ বা ‘অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স’ তৈরি হতে পারে। তখন সেই ওষুধ আর কোনওভাবেই রোগীর শরীরে কাজ করতে চায় না। কারণ শরীরে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া হয়ে উঠেছে রীতিমতো শক্তিশালী। অতিরিক্ত ক্ষমতাসম্পন্ন সেই জীবাণুকুলকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ‘সুপারবাগস’। পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার প্রবণতা থাকলেও, এই অসুখে বিশ্বের মধ্যে প্রথম পাঁচে রয়েছে ভারত। চিকিৎসকদের শঙ্কা, সতর্ক না হলে কয়েক বছরের মধ্যে বেশ কিছু অ্যান্টিবায়োটিক কাজই করবে না কারও শরীরে। তার বিকল্প ওষুধ প্রয়োগও করা যাবে কি না, তা নিয়েও নিশ্চিত নন তাঁরা। ফলে বেশ কিছু রোগের চিকিৎসা করা আর সম্ভব হবে না। তাই প্রেশক্রিপশন ছাড়া ওষুধের দোকান থেকে মুড়িমুড়কির মতো অ্যান্টিবায়োটিক কেনা বন্ধ না করলে সুপারবাগস-এর থাবা তাড়া করতে পারে আপনাকেও। তাই সময় থাকতেই সচেতন হোন।
No comments