Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

দীপান্বিতা উৎসবে বিশেষ নজীর সৃষ্টি করল সুতাহাটার অভিযান ক্লাব

দীপান্বিতা উৎসবে বিশেষ নজীর  সৃষ্টি করল সুতাহাটার অভিযান ক্লাব অন্ধকার থেকে আলোয় ফেরা । তা আবার মা কালীর টানেই । হাজার আলোর রোশনাইয়ে, উৎসবের উচ্ছ্বাসে কাঁচি ধরে ফিতে কেটে পুজোর উদ্বোধনও করলেন । সম্মানিত বোধ করলেন । গ্রামের দাইম…

 


দীপান্বিতা উৎসবে বিশেষ নজীর  সৃষ্টি করল সুতাহাটার অভিযান ক্লাব

 অন্ধকার থেকে আলোয় ফেরা । তা আবার মা কালীর টানেই । হাজার আলোর রোশনাইয়ে, উৎসবের উচ্ছ্বাসে কাঁচি ধরে ফিতে কেটে পুজোর উদ্বোধনও করলেন । সম্মানিত বোধ করলেন । গ্রামের দাইমাদের শক্তি আরাধনায় এভাবে সামিল করে নজির গড়লো সুতাহাটার অভিযান ক্লাব ।

          সন্তান প্রসবকালিন যে সকল স্ত্রীলোক সাহায্য করে থাকেন তিনিই দাইমা কিংবা ধাইমা নামেই পরিচিত । উপমাতা হিসেবেও তাদের পরিচিতি রয়েছে । গ্রামবাংলায় এই দাইমারাই শিশুর জন্মের সময় মুখ্য ভূমিকা পালন করেন । কিন্তু আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৌলতে এখন হাসপাতাল অথবা নার্সিংহোম শিশুর জন্মের নিরাপদ জায়গায় হিসেবে ভরসা কুড়িয়েছে ।  মাতৃত্বকালীন অবস্থা থেকে আশা কর্মীরা প্রসূতিদের  হাসপাতালমুখি হওয়ার সহযোগী হিসেবে কাজ করেন । স্বাভাবিকভাবে দাইমাদের কাজ কমে গিয়েছে । শহরাঞ্চলে তো নেই বললেই চলে । কিন্ত এখনো গ্রামের বেশ কিছু এলাকায়  দাইমা আছেন ।  তাদের খুঁজে বের করে সম্মান জানাতে উদ্যোগী হল সুতাহাটার  অভিযান কালীপুজো কমিটির সদস্যরা । স্থানীয় কৃষ্ণনগর,চাউলখোলা,বাসুলিয়া, নন্দকুমার, হরিপুর সহ বেশ কিছু গ্রামের আটজন দাইমাকে কালীপুজো উদ্বোধনের সামিল করা হয়েছে । হলদিয়া ব্লকের  চাউলখোলা গ্রামের ৮৫ বছর বয়সী দাইমা নীহারিকা ভূঁইয়া জানান, " ৪০  বছরের বেশি সময় ধরে দাইমার কাজ করছি । খুব যত্নের সঙ্গে এই কাজ করতে হয় । তাতেই সংসার চলত । এখন আশা কর্মীরা  সেই জায়গা নিয়েছে । বয়স হয়েছে । বেশি দূরে যাওয়াও সম্ভব নয় । তবে আমাদেরকে  দিয়ে কালী পুজো উদ্বোধন ঘটানো হবে, ভাবতেই পারিনি । খুব ভালো লাগলো । " সুতাহাটার কৃষ্ণনগর গ্রামের দাইমা  লাইলা বিবি এই আলোর উৎসবে, মঞ্চে মধ্যমণি হবেন ভাবতেই পারেননি । আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, " কুড়ি বছরের বেশি সময় ধরে দাইমার কাজ করছি । ২০০০ এর বেশি শিশু আমার হাত দিয়ে জন্মেছে । সকলেই সুস্থ আছে । এটাই বড় আনন্দের । কিন্তু পুজো কমিটির বাবুরা আমাদের দিয়ে ফিতে কেটেছেন । খুব খুশি হলাম ।" পুজো উদ্বোধন  থেকে বিসর্জন পর্যন্ত প্রতিবছর কিছু না কিছু নতুনত্ব থাকে এই পুজো কমিটির আয়োজনে । সমাজকল্যাণমূলক কাজ তার মধ্যে অন্যতম । বিগত বছরে এলাকার শ্মশান বন্ধুদের কালীপুজোর উদ্বোধনী  মঞ্চে ডেকে সম্বর্ধনা জানিয়েছেন । এবারও  তেমন ব্যতিক্রমী ব্যতিক্রমী ঘটনার  নজির গড়েছেন তারা । সংস্থার সভাপতি প্রদীপ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, " সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের  প্রতি অনেকের নজর থাকে না । কিন্তু তাদের অনেকেরই গুরুত্ব অপরিসীম । তেমন ভাবনার থেকে আমাদের এলাকার বিভিন্ন গ্রামের দাইমাদের এনে  আমরা সম্মান জানাতে উদ্যোগী হয়েছে ।" এমন কাজে সমাজের বর্তমান প্রজন্ম বেশি এগিয়ে আসুক । তেমনটাই জানি জানালেন অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি, বর্ষীয়ান শিক্ষক কমলেশ চক্রবর্তী ।

No comments