Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

পাঁচ বছর ফি রেশন সিলমোহর মন্ত্রিসভায়

পাঁচ বছর ফি রেশন সিলমোহর মন্ত্রিসভায়নরেন্দ্র মোদির দাবি, তাঁর রাজত্বকালে দেশে ১৩ কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার উপরে উঠে এসেছেন। ক্রমেই কমছে দারিদ্র্য। এই দাবির পাশাপাশিই লোকসভা ভোটের আগে তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন গরিবদের বিনামূল্যে র…

 



পাঁচ বছর ফি রেশন সিলমোহর মন্ত্রিসভায়

নরেন্দ্র মোদির দাবি, তাঁর রাজত্বকালে দেশে ১৩ কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার উপরে উঠে এসেছেন। ক্রমেই কমছে দারিদ্র্য। এই দাবির পাশাপাশিই লোকসভা ভোটের আগে তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন গরিবদের বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার প্রকল্প আরও পাঁচ বছর বাড়িয়ে দেওয়া হবে। ২০২৪ সালের পয়লা জানুয়ারি থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর ধরে চলবে এই প্রকল্প। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার মাধ্যমে এই পাঁচ বছরে ৮১ কোটি ৩৫ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন। আর এজন্য ভারত সরকারের রাজকোষ থেকে আগামী পাঁচ বছরের জন্য ব্যয় হবে ১১ লক্ষ ৮০ হাজার কোটি টাকা। ভারতে দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাসরকারী জনসংখ্যা ৮২ কোটি ছিল। কত মানুষ আছেন দারিদ্র্যসীমার নীচে? এই পরিসংখ্যান পাওয়া যায় সেন্সাসে। ২০২১ সালে সেন্সাস অর্থাৎ জনগণনার রিপোর্ট  হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণ দেখিয়ে জনগণনা প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়েছিল। তবে, সব স্বাভাবিক হয়ে গেলেও এখনও কেন্দ্রীয় সরকার জনগণনা স্থগিত করে রেখেছে অনির্দিষ্টকালের জন্য। আর সমস্যা হল, সেন্সাসের রিপোর্ট না পাওয়া গেলে যথাযথ জানা সম্ভব হবে না যে, দেশে মোট দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা কত। দারিদ্র্যসীমার নীচে (বিপিএল) বসবাসকারীর সংখ্যা জানা এই কারণেই জরুরি যে, তাঁদের জন্য একঝাঁক কেন্দ্রীয় প্রকল্প রয়েছে। তাই আদৌ কতজন ওই প্রকল্পগুলি থেকে সুবিধা পাচ্ছেন, সেটা স্পষ্ট জানা সম্ভব হচ্ছে না। আবার কত সংখ্যক দরিদ্র মানুষ প্রকল্পের সুবিধার বাইরে রয়ে যাচ্ছেন, সেটাও সঠিক জানা সম্ভব হচ্ছে না। জনগণনার রিপোর্ট ছাড়া কীভাবে বিপিএল সংখ্যা জানা সম্ভব? আর সেক্ষেত্রে কীভাবেই বা পাঁচ বছরের জন্য এই বিনামূল্যের রেশন প্রকল্প সফল হবে? এই প্রশ্নের উত্তরে অনুরাগ ঠাকুর বলেছেন, সেন্সাস যথাসময়েই হবে। তবে সরকারের কাছে বিপিএল পরিবারের সঠিক সংখ্যা চিহ্নিতকরণের জন্য বিকল্প ব্যবস্থাও আছে। তাই সেক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হবে না। দেশে তো দরিদ্র মানুষের সংখ্যা কমছে, তাহলে আবার বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার প্রকল্প এক ধাক্কায় পাঁচ বছর সম্প্রসারিত করার কারণ কী? এই প্রশ্নের উত্তরে, অনুরাগ ঠাকুর বলেছেন, দরিদ্র মানুষকে স্বস্তি দেওয়া। তাঁরা যদি জেনে যান যে, পাঁচ বছরের জন্য খাদ্য পাওয়া নিশ্চিত, তাহলে অন্যান্য ক্ষেত্রে মনোনিবেশ করতে পারবেন। গরিব মানুষকে ৫ কেজি করে দেওয়া হবে রেশন আর অন্ত্যোদয় প্রকল্পে ৩৫ কেজি করে দেওয়া হবে পরিবারকে।

No comments