জাগো বাঙালী-শান্তালতা বিশই সাহা
জীবনের পরম সার্থকতা নব সৃষ্টির আনন্দে।প্রলয়ের ঝড়কে উপেক্ষা করেবর্ষার দূর্যোগকে মাথায় করেআজও আমরা স্থির দাঁড়িয়ে।তাই আজ আর কোনো তর্কযুদ্ধ নয়,ধার করা কথার মালা নয়,মনুষ্যত্বের অবমাননা নয়।ছুঁড়ে ফেলো বিল…
জাগো বাঙালী-শান্তালতা বিশই সাহা
জীবনের পরম সার্থকতা নব সৃষ্টির আনন্দে।
প্রলয়ের ঝড়কে উপেক্ষা করে
বর্ষার দূর্যোগকে মাথায় করে
আজও আমরা স্থির দাঁড়িয়ে।
তাই আজ আর কোনো তর্কযুদ্ধ নয়,
ধার করা কথার মালা নয়,
মনুষ্যত্বের অবমাননা নয়।
ছুঁড়ে ফেলো বিলাসব্যাসন,
মুছে ফেলো যুগ যুগান্তের দাসত্ব কালিমা।
এসো বন্ধু,
আমাদের সবুজ প্রাণে
মর্মে মর্মে অনুভব করি সৃষ্টির উন্মাদনা,
এই আনন্দপোলব্ধি
আমাদের কর্মশক্তিকে জাগ্রত করুক।
দেখ চেয়ে, বেদনাময়ী মাতৃমূর্তির চিন্ময়ী রূপ!
নয়নজলে ছিন্ন অঞ্চল ভিজিয়ে বসে আছেন আমাদেরই অপেক্ষায়।
চারিদিকে স্তুপীকৃত ভষ্মরাশি ;
তারই উপর জ্যোতির্ময়ী মূর্তি
কি বিরাট! কি মহিমাময়!
ওই শোন, মায়ের পূজার শঙ্খ বেজেছে।
নীলাম্বরা বরাভয়দায়িনী শর্বাণী সদা হাস্যময়ী,
শারদজ্যোৎস্না মৌনীমালিনী,
শরদিন্দু নিভাননা নবস্বপ্নদর্শিনী,
নবদর্পেদর্পিনী অসুরদর্পখর্বকারিনী,
মহাশক্তি চৈতন্যরূপিনী জ্যোতির্ময়ী জননী।
বসুন্ধরার হৃদয় পাদপীঠে তাঁর অলক্তরাগ চরণখানি,
যেন বলছেন,
জাগো মায়ের সন্তান মাভৈঃ।
আহা, এত আলো
এত বাতাস
এত প্রাণ
এত গান
কি অপরূপ রূপমহিমা!
জাগো বাঙালী
মাতৃপূজার সময় আগত।
না কোন আড়ম্বর নয়,
আমার চিণ্ময়ী মাকে মৃণ্ময়ী মায়ের পাশে বসিয়ে,
ভক্তি অর্ঘ ত্যাগ সেবা দিয়ে
চরণপদ্মে পুষ্পাঞ্জলি নিবেদন করে বলব,
মাগো, আমার সর্বাথসাধিকে
আমার পুষ্পাঞ্জলি গ্রহণ কর।
জগতের সব কালিমা দূর করে দাও মা,
তুমি চিরবিরাজমান হও প্রতি ঘরে ঘরে।।
No comments