Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

শতবর্ষের ইতিহাসে সূর্যগ্রহণে পিতৃপক্ষের অবসান এবং দেবীপক্ষের শুরুতেই মহালয়ায় কৃষ্ণা অর্জুন ঘাটে তর্পণ

ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
https://youtu.be/8Ljhi9sYDsY
শতবর্ষের ইতিহাসে সূর্যগ্রহণে পিতৃপক্ষের অবসান এবং দেবীপক্ষের শুরুতেই মহালয়ায় কৃষ্ণা অর্জুন ঘাটে তর্পণ

পিতৃপক্ষের অবসান এবং দেবীপক্ষের শুরু হয়  মহালয়া থেকে। যদিও পিতৃপক্ষের শেষ দ…

 


ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন

https://youtu.be/8Ljhi9sYDsY

শতবর্ষের ইতিহাসে সূর্যগ্রহণে পিতৃপক্ষের অবসান এবং দেবীপক্ষের শুরুতেই মহালয়ায় কৃষ্ণা অর্জুন ঘাটে তর্পণ



পিতৃপক্ষের অবসান এবং দেবীপক্ষের শুরু হয়  মহালয়া থেকে। যদিও পিতৃপক্ষের শেষ দিন হিসাবেই মহালয়া তিথি বিশেষ পরিচিত। শাস্ত্রমতে পরলোকগত পূর্বপুরুষের আত্মার শান্তির উদ্দেশ্যে তর্পণ (জল ও তিল দান) করে শ্রদ্ধা জানানোর সময় পিতৃপক্ষ। যাঁরা পরলোকগত পূর্বপুরুষের মৃত্যুতিথিতে বাৎসরিক শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করতে না পারেন, তাঁদের জন্য পিতৃপক্ষের মৃত্যুতিথিতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করার বিধান শাস্ত্রসম্মত।


 অমাবস্যা তিথি প্রেতকর্মের জন্য শুভ বা প্রশস্ত হওয়ার কারণে পিতৃপক্ষের অমাবস্যা তিথি পরলোকগত পূর্বপুরুষের উদ্দেশে জলদানের পক্ষে শুভ।


 পিতৃপক্ষে পরলোকগত পূর্বপুরুষকে জল দান করলে পূর্বপুরুষের আশীর্বাদে সংসারে বাধাবিঘ্ন নাশ হয়, সংসারে শান্তি আসে, শ্রী বৃদ্ধি হয়। শাস্ত্রমতে, মহালয়া তিথিতে দেবী দুর্গা মর্তে আগমন করেন। এই অর্থে মহালয়া তিথি পিতৃপক্ষ এবং দেবীপক্ষের সন্ধিক্ষণ। 

এবারে সেই সন্ধিক্ষণে যুক্ত হয়েছে শতবর্ষের ইতিহাসে এই প্রথম মহালয়ায় সূর্যগ্রহণ।

 পঞ্জিকা মতে আশ্বিন মাসের অমাবস্যা তিথিতে পালিত হয় মহালয়া এটি হবে বলয়গ্রাহ্য সূর্যগ্রহণ একই কঙ্কনা কৃতি সূর্য গ্রহণ বলা হয়ে থাকে অর্থাৎ আকাশে কঙ্কন বা চুরির আকারে দেখতে পাওয়া যাবে সূর্যকে। ভারতে এই সূর্য গ্রহণ অদৃশ্য ফলে তর্পনের রীতি পালনে কোন বাধা নেই। আজ পিতৃপক্ষের অবসান শুরু হল দেবীপক্ষের কর্মসূচি।

অমবস্যার পরবর্তী তিথি প্রতিপদ থেকে শুরু হয় দেবী দুর্গার আরাধনা। শাস্ত্রমতে দেবী দুর্গা মহিষাসুর নিধনের দায়িত্বপ্রাপ্ত হন এই মহালয়া তিথিতে।

মহালয়ার পুন্য লগ্নে সকাল থেকেই নদীর ঘাটে প্রতিষ্ঠা পুকুরে স্নানের মাধ্যমে পূর্ব পুরুষদের তিল দানের মধ্য দিয়ে তর্পন শুরু হয়েছে। শিল্পশহর হলদিয়া হরপাব্বতি ঘাট কৃষ্ণা অর্জূন ঘাট, কুকড়াহাটি, হুগলি নদীতে আদক ঘাট নামে পরিচিত বহু মানুষ পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে যেমন তর্পনের জন্য এসেছেন অনেকেই। তর্পন ঘাটে এসেছেন ইসকনের দীক্ষিত নাম-ভট্ট ও গীতা একাডেমীর বহু ভক্তবৃন্দ।

এসেছেন মহালয়ার পুন্য লগ্নে সকাল থেকেই তর্পন ঘাটে বেড়ানোর জন্য। কৃষ্ণা অর্জূন ঘাটে পূর্বপুরুষদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে তর্পণ করলেন প্রত্যেক বছরের মতোই এ বছর ঘাটে এসে তারপর করে ব্রাহ্মণ ভোজন, গরিব-দুঃখীদের দানের মাধ্যমে পিতৃপুরুষদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে দান করলেন ছিলেন দুর্গাপদ মিশ্র, সুজিত ভক্ত, প্রশান্ত চক্রবর্তী, সুজিত ভট্টাচার্য, রবীন্দ্রনাথ প্রামানিক, সাথী চক্রবর্তী, কবিতা প্রামানিক, হাজরামোড় নটরাজ ডান্স এন্ড কালচার একাডেমির কর্ণধার ছন্দা জানা, রেশমী জানা ও তার পরিবারের সকল সদস্য, বাবার সাথে তর্পন ঘাটে এসেছেন শ্রীদীপ ভট্টাচার্য। এবং পূর্বপুরুষদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে তর্পন করার জন্য নিবেদিতা লাটুয়া ও সবিতা লাটুয়া, পিতৃপুরুষদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে যেমন জল দান করলেন বহু দুঃস্থ মানুষদের হাতেও আজ পূজার নতুন পোশাক তুলে দিলেন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুরোহিত পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাধাকান্ত চক্রবর্তী আজ তপনের সম্পর্কে বিস্তারিত বললেন।

No comments