নাটশাল১ গ্রাম পঞ্চায়েতে ডেঙ্গু বিজয় অভিযান
রাজ্যে ডেঙ্গু প্রভাব বাড়ছে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বিভিন্ন পৌরসভা এবং পঞ্চায়েতে ডেঙ্গু বিষয় নিয়ে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্য সম্পর্কে আলোচনা করা ও জল য…
নাটশাল১ গ্রাম পঞ্চায়েতে ডেঙ্গু বিজয় অভিযান
রাজ্যে ডেঙ্গু প্রভাব বাড়ছে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বিভিন্ন পৌরসভা এবং পঞ্চায়েতে ডেঙ্গু বিষয় নিয়ে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্য সম্পর্কে আলোচনা করা ও জল যেখানে জমে রয়েছে সেগুলো পরিষ্কার করা। ডেঙ্গু নিয়ে আলোচনা করার জন্য স্বাস্থ্য দপ্তরের উদ্যোগে চলছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ডেঙ্গু বিজয় অভিযান।
ইতিমধ্যে সারা রাজ্যে বেশ কয়েকজন মারা গেছেন অজানা জ্বরে তার জন্যই রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বিশেষ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত নাটশাল ১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ডেঙ্গু বিষয় নিয়ে বিশেষ কর্মসূচি পালিত হয়। উপস্থিত ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সদস্য পূর্ণেন্দু জানা, মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতি শিক্ষা কর্মাধক্ষ অমিতাভ রায় ,মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত নাটশাল ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শিবপ্রসাদ বেরা, গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য শীর্ষেন্দু প্রামাণিক, সঞ্চিতা মন্ডল, অনামিকা সিংহ, এসকে রেজাউল প্রমুখ।
মার্শাল এক গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শিবপ্রসাদ বেরা বলেন
ডেঙ্গুর চিকিৎসায় প্যারাসিটামল ছাড়া আলাদা ওষুধ নেই। এই কারণে ডেঙ্গু থেকে সেরে উঠতে ডায়েটের একটা বড় ভূমিকা থেকেই যায়। এমনকী সঠিক ডায়েটে প্রাণহানিও রুখে দেওয়া সম্ভব। ডেঙ্গুর দু’টি পর্যায় আছে। একটি পর্যায় হল জ্বরের পর্যায়। প্রথম চার পাঁচদিন রোগীর তীব্র জ্বর আসে। সঙ্গে থাকে গায়ে ব্যথা। এরপর আসে জ্বর কমার পর ‘রিকভারি পিরিয়ড’ বা সেরে ওঠার সময়। এই দ্বিতীয় পর্যায়ে বহু রোগীর হেমারেজ শুরু হয় ও কিছু বুঝে ওঠার আগে প্রাণ নিয়ে টানটানি পড়ে যায়। তাই ডেঙ্গুর দু’টি পর্যায়েই খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ সঠিকভাবে করলে বড় বিপদ এড়ানো যাবে। সমস্যা হল, বহু ডেঙ্গু রোগীর খাবারে রুচি চলে যায়। বমি বমি ভাব দেখা যায়। বমি হয়। কারও কারও ডায়ারিয়াও হয়। তাই রোগী যাতে খাবার খেতে পারেন, বমি-পায়খানা যাতে না হয় তার দিকে রাখতে হবে । অসুস্থ হলেই হাসপাতালে ভর্তি করায় শ্রেয় বলে তিনি জানান।
No comments