বিসর্জনে নদী দূষণ রুখতে কড়া পদক্ষেপ করল হলদিয়া পুরসভা
পুজোর ফুল থেকে চাঁদমালা কোনও দ্রব্যই ফেলতে দেওয়া হল না নদীতে। প্রতিমা নিরঞ্জনের সঙ্গে সঙ্গেই কাঠামো তুলে ফেলা হল নদীর পাড়ে। নদী দূষণ আটকাতে পুরসভার ভূমিকায় খুশ…
বিসর্জনে নদী দূষণ রুখতে কড়া পদক্ষেপ করল হলদিয়া পুরসভা
পুজোর ফুল থেকে চাঁদমালা কোনও দ্রব্যই ফেলতে দেওয়া হল না নদীতে। প্রতিমা নিরঞ্জনের সঙ্গে সঙ্গেই কাঠামো তুলে ফেলা হল নদীর পাড়ে। নদী দূষণ আটকাতে পুরসভার ভূমিকায় খুশি স্থানীয়রা।
ছোট-বড় মিলিয়ে শিল্পশহরে প্রায় একশোটির মতো দুর্গাপুজোর আয়োজন হয়। শহর জুড়ে শান্তিপূর্ণভাবেই পালিত হয়েছে বিজয়া দশমী। মঙ্গলবার হলদিয়া টাউনশিপের হলদি নদীর সপ্তপর্ণী ঘাটে পুলিশ ও পুর প্রশাসনের তরফে প্রতিমা নিরঞ্জনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। মঙ্গলবার রাতে এই ঘাটে প্রায় ৩০টি প্রতিমা নিরঞ্জন হয়। এছাড়াও হলদিয়া পাতিখালি, বালুঘাটা, গেঁওখালিতে প্রতিমা নিরঞ্জনের ব্যবস্থা করা হয়। মহকুমার প্রশাসনের তরফে। নদীতে দূষণ রুখতে এ বার যথেষ্ট তৎপর হলদিয়া পুরসভা। প্রতিমা নিরঞ্জনের আগেই প্রতিমা থেকে গয়না সহ নানা রকম সাজসামগ্রী খুলে আলাদা জায়গায় রাখা হয়। পুজোর ফুল থেকে শুরু করে সবকিছুই আলাদা রাখা হয়। পরে নদীতে প্রতিমা নিরঞ্জনের সঙ্গে সঙ্গেই সেই কাঠামো তুলে আনা হয়। নদীর পাড়ে। একটি বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ সংস্থাকে এগুলি পরিষ্কারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রতিমা নিরঞ্জন দেখতে ভিড় জমান এলাকার বহু মানুষ। শৃঙ্খলা বজায় রাখতে মোতায়ন করা হয় পুলিশ।
প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় যাতে কোনো রকমে দুর্ঘটনা ঘটে, তার জন্য নদীপক্ষে টহলদারি দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় উপকূল বাহিনী এবং সারা ঘাট জুড়ে রয়েছে সিসি ক্যামেরা পুলিশ প্রশাসন হলদিয়া পৌরসভার বিভিন্ন আধিকারিক সকলেই নজরদারি করছেন। কোভিডের পর ডেঙ্গু মাথা চাড়া দিচ্ছে। সেজন্যই পুজো মন্ডপে সাথে সাথে প্রতিমা নিরঞ্জনের ঘাটেও ডেঙ্গু প্রচার চলছে জোর কদমে।
হলদিয়ার পুরপ্রশাসক সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “প্রতিমা নিরঞ্জনের জন্য যাতে কোনওভাবেই নদী দুষিত না হয় সে জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল পুরসভার তরফে। তবে এত ভিড়ের মধ্যে প্লাস্টিক আটকানোর বিষয়টিতে নজর দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে প্লাস্টিক নিয়ে নিষেধাজ্ঞা যেমন জারি রয়েছে তেমনই থাকবে।” প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় উপস্থিত ছিলেন, হলদিয়ার মহকুমার পুলিশ আধিকারিক রাহুল পান্ডে-সহ একাধিক আধিকারিক।
No comments