মদ্যপ ব্যবস্থায় গাড়ি চালানো এবং বেআইনি কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে ৬৮৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ পুজো পর্বে মদ্যপ ব্যবস্থায় গাড়ি চালানো এবং বেআইনি কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে ৬৮৫ জনকে গ্রেফতার করেছে…
মদ্যপ ব্যবস্থায় গাড়ি চালানো এবং বেআইনি কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে ৬৮৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ
পুজো পর্বে মদ্যপ ব্যবস্থায় গাড়ি চালানো এবং বেআইনি কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে ৬৮৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ । তাদের মধ্যে বেশিরভাগ রয়েছে তমলুক,হলদিয়া, কাঁথি পাঁশকুড়া মেচেদা, দিঘা সহ জেলার অন্যান্য শহরাঞ্চলে । পাশাপাশি এক সঙ্গে প্রায় ১৩ কুইন্টাল নিষিদ্ধ বাজি বাজেয়াপ্ত করল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ । মঙ্গলবার অভিযান চালিয়ে কোলাঘাট থানা এলাকার আন্দুলিয়া গ্রামের এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে এই বেআইনি বাজি উদ্ধার করা হয়েছে । ঘটনায় পূর্ণচন্দ্র দাস নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । অভিযোগ, ধৃত ব্যক্তি মেচেদা স্টেশন থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে গোপনে বাজি বিক্রি করতেন । আর বাজি মজুত করতেন নিজের আন্দুলিয়া গ্রামের বাড়িতে । সেখান থেকে প্রয়োজন মতো খোদ্দেদের চাহিদা মেটাতেন । গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ সেই জায়গায় অভিযান চালায় । হাতেনাতে ধরে ফেলেন এই বাজে ব্যবসায়ী কে । গাছ বোম, আলু বোম,তুবড়ি,লঙ্কা পটকা ইত্যাদি বাজি মিলে ১৩০০ কিলোগ্রাম নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধারের এমন বড়সড় সাফল্য জেলায় প্রথম ঘটলো । গত একমাস ধরে পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ ৩৫০০ কিলোগ্রাম বাজি বাজেয়াপ্ত করেছে । তার মধ্যে জেলার ভূপতিনগর, মারিশদা, নন্দীগ্রাম এলাকায় বেশি পরিমাণ বাজি বাজেয়াপ্ত হয়েছে । বেআইনি এই কার্যকলাপের যুক্ত থাকার অভিযোগে ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে । পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য বলেন,"নিষিদ্ধ বাজি কারবার কোনভাবেই বরদাস্ত করা হচ্ছে না । গত এক মাস অভিযান চালিয়ে সাড়ে তিন হাজার কিলোগ্রাম বাজি উদ্ধারের কাজ হয়েছে । কোলাঘাটে একদিনে প্রায় ১৩০০ কিলোগ্রাম নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার হয়েছে । এই ঘটনা ১ জন গ্রেফতার হয়েছে । শুধু তাই না পুজো পর্বে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর জন্য গ্রেফতার হয়েছেন ৯৫ জন । সেই সঙ্গে বিশৃংখল,বেআইনি কার্যকলাপের জন্য গ্রেফতার হয়েছেন ৫৯০ জন । বেআইনি কার্যকলাপের খবর পাওয়া মাত্র আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছি ।" সামনে কালীপুজো । তার আগে পর্যন্ত লাগাতারভাবে নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধারে এমন পুলিশি অভিযান চলবে বলে জানা গিয়েছে ।
No comments