এক দেশ, এক ভোট’ নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে সারা দেশেএক দেশ, এক ভোট’ নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে সারা দেশে। লোকসভা ভোটের সঙ্গেই রাজ্য বিধানসভাগুলির ভোট করাতে চাইছে মোদি সরকার। বিরোধীদের অভিযোগ, ‘এক দেশ, এক ভোটের’ আড়ালে দেশে একনায়কতন্…
এক দেশ, এক ভোট’ নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে সারা দেশে
এক দেশ, এক ভোট’ নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে সারা দেশে। লোকসভা ভোটের সঙ্গেই রাজ্য বিধানসভাগুলির ভোট করাতে চাইছে মোদি সরকার। বিরোধীদের অভিযোগ, ‘এক দেশ, এক ভোটের’ আড়ালে দেশে একনায়কতন্ত্র কায়েম করতে চাইছে কেন্দ্র। এই বিতর্ক নিয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করতে নারাজ নির্বাচন কমিশন। বুধবার মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার জানিয়েছেন, সংবিধান এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন মেনেই তাঁরা কাজ করতে প্রস্তুত। মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার ভোট নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে আলোচনা করতে এদিন আধিকারিকদের নিয়ে ভোপাল গিয়েছেন রাজীব। সেখানেই ‘এক দেশ, এক ভোট’ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কমিশনের দিক থেকে পদ্ধতিগত খুঁটিনাটি তুলে ধরেন তিনি। রাজীব কুমার বলেন, নিয়ম অনুযায়ী কেন্দ্রে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর সংসদের প্রথম অধিবেশনের পাঁচ বছর পূর্তির ছ’মাস আগে কমিশন ভোট ঘোষণা করতে পারে। বিধানসভার ক্ষেত্রেও এটাই নিয়ম। সেই নিয়ম মেনেই কমিশন ভোট করাতে পারে। উল্লেখ্য, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে গত সপ্তাহে ‘এক দেশ, এক ভোট’ নিয়ে কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ভোটে হিংসা, খরচ এবং সময় বাঁচাতে অনেকেই ই-ভোটিংয়ের পক্ষে সওয়াল করেছেন। এ প্রসঙ্গে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার বলেন, ই-ভোটিং পদ্ধতিকে হ্যাকিং মুক্ত করতে হবে। সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াকে বিশ্বাসযোগ্য হতে হবে। তাঁর কথায়, ‘প্রযুক্তিটা বড় ব্যাপার নয়। তবে ই-ভোটিং নিয়ে আলোচনা চলছে। এটা কার্যকর করতে সময় লাগবে।’ প্রবীণ নাগরিক ও বিশেষভাবে সক্ষমরা বাড়ি থেকেই যাতে ভোট দিতে পারেন, কমিশন তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে।
No comments