Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

১ বৈশাখ বাংলা দিবস, প্রস্তাব পাশ হল বিধানসভায়

১ বৈশাখ বাংলা দিবস, প্রস্তাব পাশ হল বিধানসভায় জল্পনাতেই সরকারি সিলমোহর পড়ল। ১ বৈশাখকে বাংলা দিবস হিসেবে সরকারিভাবে উদযাপনের প্রস্তাব পাশ হয়ে গেল বিধানসভায়। পাশাপাশি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘বাংলার মাটি-বাংলার জল’ গানটিকে রাজ্য সঙ্…

 



১ বৈশাখ বাংলা দিবস, প্রস্তাব পাশ হল বিধানসভায়

 জল্পনাতেই সরকারি সিলমোহর পড়ল। ১ বৈশাখকে বাংলা দিবস হিসেবে সরকারিভাবে উদযাপনের প্রস্তাব পাশ হয়ে গেল বিধানসভায়। পাশাপাশি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘বাংলার মাটি-বাংলার জল’ গানটিকে রাজ্য সঙ্গীত হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। আজ বিধানসভার অধিবেশনে বাংলা দিবসের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার আহ্বান জানান অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। আলোচনার জন্য ১ ঘণ্টা সময় ধার্য করা হয়। প্রথমে বক্তব্য রাখেন আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘১২ বছর ক্ষমতায় থাকার পর আজ কেন হঠাৎ মনে হল বাংলা দিবস পালনের?’ যদিও বাংলা দিবস পালনের বিপক্ষে নন বলে জানান তিনি। এরপর বিজেপি বিধায়করাও একেএকে বক্তব্য রাখেন। বিরোধী দলনেতা প্রস্তাবের বিপক্ষে বলেন। তিনি চ্যালেঞ্জ করে বলেন এই প্রস্তাবের পরিণতিও বঙ্গ নাম সহ বিভিন্ন প্রস্তাবের মতোই হবে। শেষে প্রস্তাবের সমর্থনে বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বক্তব্যের শুরুতেই তিনি আইএসএফ বিধায়কের প্রশ্নের জবাব দেন। তিনি বলেন, ‘এতদিন বাংলা দিবসের দরকার পড়েনি কারণ এতদিন ২০ জুন দিনে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করা হয়নি। তাই আজকের দিনে এটা আরও বেশি করে প্রয়োজন।’ এরপর তিনি বলেন, ‘২০ জুন প্রতিষ্ঠা দিবস চাপিয়ে দিলে বাংলা তা গ্রহণ করবে না। একটা বিধ্বংসী দিনকে প্রতিষ্ঠা দিবস হিসেবে পালন করা যায় না। স্বাধীনতা সংগ্রামে যাদের ভূমিকা নেই, তাদের কাছে ইতিহাস শিখব না। গান্ধীজির প্রাণ যারা কেড়ে নিয়েছে তাদের উগ্র রাজনীতি মানব না। যদি প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করতেই হয় তাহলে দেশভাগের বেদনাহীন কোনও দিন বাছতে হবে। বাংলার মানুষের জন্য কোনও দিনকে বেছে নিতে হলে ভেবেচিন্তে নিতে হবে। সমাজের সব স্তরের মানুষের সঙ্গে বিকল্প দিনগুলি নিয়ে আলোচনা করেছি। পয়লা বৈশাখ দিনটিকেই বাংলার প্রতিষ্ঠা দিবস হিসেবে উদযাপন করতে চাই। বাংলার মাটি, বাংলার জল গানটিকে রাজ্যের গান তৈরি করতে চাই’। বিরোধী দলনেতার চ্যালেঞ্জর জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাজ্যপাল সই না করলেও আমাদের কিছু যায় আসে না। আমরা পয়লা বৈশাখ দিনটিকে বাংলা দিবস হিসেবে পালন করবই। আমিও দেখতে চাই বাংলার জনগণের শক্তি বেশি নাকি মনোনীত রাজ্যপালের শক্তি বেশি।’ তারপর ধ্বনি ভোটে প্রস্তাবটি পাশ হয়ে যায়। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়ে ১৬৭টি ও বিপক্ষে ৬২টি। এরপরই জয় বাংলা স্লোগান দিতে থাকেন তৃণমূল বিধায়করা। পাল্টা স্লোগান দেন বিজেপি বিধায়রাও। তুমুল হট্টগোলের মধ্যে অধিবেশন শেষ হয়।

No comments