পোর্টালের মাধ্যমে গত কয়েক মাসে প্রায় সাড়ে ৪হাজার যুবক হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে কাজ পেয়েছেনএমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্ক ও নিয়োগ পোর্টালের মাধ্যমে গত ৮-৯ মাসে প্রায় সাড়ে ৪হাজার যুবক হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে কাজ পেয়েছেন। ওই পোর্টালের মাধ্যমে কাজ পাওয়া…
পোর্টালের মাধ্যমে গত কয়েক মাসে প্রায় সাড়ে ৪হাজার যুবক হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে কাজ পেয়েছেন
এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্ক ও নিয়োগ পোর্টালের মাধ্যমে গত ৮-৯ মাসে প্রায় সাড়ে ৪হাজার যুবক হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে কাজ পেয়েছেন। ওই পোর্টালের মাধ্যমে কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে এবার জমিহারা ও কারখানায় কর্মরত অবস্থায় মৃত ব্যক্তির পরিবারের লোকজনকে অগ্রাধিকারের উদ্যোগ নিচ্ছে শ্রম দপ্তরের বিশেষ কমিটি। এজন্য রাজ্যের কাছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পক্ষ থেকে দ্রুত একটি প্রস্তাব পাঠানো হবে। মঙ্গলবার ওই কমিটির সদস্যদের নিয়ে বৈঠকের পর একথা জানান জেলাশাসক তনভির আফজল। নিয়ম অনুযায়ী জেলাশাসক ওই কমিটির চেয়ারম্যান। এছাড়াও হলদিয়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের(এইচডিএ) চেয়ারম্যান, চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার, মহকুমাশাসক, শ্রম আধিকারিক, ফ্যাক্টরি ইন্সপেক্টর সহ একাধিক আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন। এইচডিএর অফিসে ওই বৈঠক হয়। এদিন বিভিন্ন শিল্প সংস্থার বেতনচুক্তি, নিয়োগ পোর্টাল নিয়ে বৈঠকের পাশাপাশি শিল্পাঞ্চলের একাধিক সমস্যা, হাসপাতাল এবং নয়াচর নিয়ে বৈঠক করেন জেলাশাসক।
জেলাশাসক বলেন, নিয়োগ পোর্টাল 'কর্মসংবাদ' আরও কীভাবে ইউজার ফ্রেন্ডলি হতে পারে কর্মপ্রার্থীদের কাছে সেবিষয়ে আলোচনা চলছে। জমিহারা বা ডাই ইন হারনেস কেসে অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রে শ্রম দপ্তরের নিয়মকানুন কী আছে খতিয়ে দেখছি। এক্ষেত্রে শ্রম দপ্তরের ছাড়পত্রের বিষয় রয়েছে। এইচডিএর চেয়ারম্যান জ্যোতির্ময় কর বলেন, কারখানায় পোর্টালের মাধ্যমে কাজ পেতে গিয়েও বেশ কিছু অনিয়মের অভিযোগ এসেছে। সেই বিষয়টি যাতে কোনওভাবেই না ঘটে অর্থাৎ নিয়োগ প্রক্রিয়া 'ফুলপ্রুফ' করতে আরও কড়াকড়ি করা হচ্ছে। এদিন বেলা ১১টা নাগাদ হলদিয়া আসেন জেলাশাসক। তিনি হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালের পরিকাঠামো ঘুরে দেখে সিএমওএইচ ও পিডব্লুডির ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। মহকুমা হাসপাতালের পরিকাঠামো বেহাল অবস্থায় রয়েছে। প্রথম পর্যায়ে হাসপাতালের আউটডোরকে স্থানান্তর করা হবে। এজন্য বিকল্প কয়েক জায়গা নিয়ে এদিন আলোচনার পর সেই জায়গাগুলি ঘুরে দেখেন জেলাশাসক।
হাসপাতালের আউটডোরকে পাশের কোভিড হাসপাতালে সরানোর চিন্তা হয়েছে বলে জানান জেলাশাসক। তবে বিকল্প হিসেবে এদিন তিনি এইচডিএর ট্রমা সেন্টারও ঘুরে দেখেন। তিনি বলেন, আইওসি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনা হয়েছে। নতুন হাসপাতাল গড়তে তাদের কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি ফান্ড থেকে সহায়তা চাওয়া হয়েছে। এদিন জেলাশাসক হলদিয়ায় নির্মিয়মান টয় মেকিং পার্কের কাজ খতিয়ে দেখেন। তিনি জানান, দুটি সেড তৈরি হচ্ছে ওই পার্কে। এরমধ্যে একটির কাজ শেষ পর্যায়ে। পুজোর আগে টয় পার্ক চালু করার চেষ্টা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ৪কোটি ৮০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ওই পার্ক গড়ছে রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগম। একাজে সহযোগিতা করছে এইচডিএ। মহিষাদল রাজবাড়ি চত্বরে বেদখল নিয়ে জেলাশাসক বলেন, ভূমি দপ্তর মাপজোক করে এদিনই রিপোর্ট পাঠাচ্ছে। তবে পর্যটনের জমিতে কোনও বেআইনি দখলদার নেই। হেরিটেজ প্রপার্টির বিষয়ে এডিএম এলআরকে খোঁজ নিতে বলেছি। ওই এলাকা হেরিটেজ প্রপার্টি ঘোষণা হয়েছে কি না বা কেন ক্যাটাগরির হেরিটেজ, সেখানে হেরিটেজ কমিশন থেকে টাকা পাওয়া গিয়েছে কি না দেখা হচ্ছে সবিস্তারে। এরপর হেরিটেজ রক্ষার নিয়ম ও আইন মেনে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।
No comments