ভিডিও দেখতে ক্লিক করুনhttps://youtu.be/JVJYODu_8CI
বিদেশি জাহাজের পাইলট দড়ি ছিঁড়ে হলদিয়া বন্দরে পাইলটের ঘাড়ে পড়ল দুজনেই গুরুতর জখমমাঝসমুদ্রে জাহাজ থেকে নামার সময় দড়ি ছিঁড়ে পড়ে গিয়ে গুরুতর জখম হলেন হলদিয়া বন্দরের এক পাইলট। প্র…
বিদেশি জাহাজের পাইলট দড়ি ছিঁড়ে হলদিয়া বন্দরে পাইলটের ঘাড়ে পড়ল দুজনেই গুরুতর জখম
মাঝসমুদ্রে জাহাজ থেকে নামার সময় দড়ি ছিঁড়ে পড়ে গিয়ে গুরুতর জখম হলেন হলদিয়া বন্দরের এক পাইলট। প্রায় চারতলা সমান উঁচু থেকে তিনি পাইলট ভেসেলের ডেকে দাঁড়িয়ে থাকা এক নাবিকের ঘাড়ের উপর আছড়ে পড়েন। পাইলট এবং নাবিক দু'জনেই জখম হয়েছেন। পাইলটের নাম প্রতাপবাবু ডুমাল্লা এবং নাবিকের নাম শক্তি হাজরা। প্রাথমিক চিকিৎসার পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রতাপবাবুকে কলকাতায় পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে, জখম নাবিকের চিকিৎসা হচ্ছে হলদিয়া টাউনশিপে পোর্ট হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, কলকাতা থেকে 'পাইওনিয়ার গ্লোরি' নামে একটি ন্যাপথার জাহাজ নদীপথে চালিয়ে সেটি সাগরের স্যান্ডহেড এলাকায় পৌঁছনোর দায়িত্বে ছিলেন ওই পাইলট। সেই কাজ শেষে সোমবার দুপুরে তিনি জাহাজ থেকে দড়ি বেয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে নামছিলেন রূপসা নামে বন্দরের পাইলট ভেসেলে। সেই সময় আকস্মিকভাবে দড়ি ছিঁড়ে দুর্ঘটনায় পড়েন তিনি। পাইলট ভেসেলের ডেক থেকে জাহাজের ডেকের উচ্চতা চল্লিশ ফিটের বেশি। জাহাজ থেকে সামান্য খানিকটা নামার পরই হঠাৎ দড়ি ছিঁড়ে যায় বলে অভিযোগ। এরপর প্রায় চার ঘণ্টা পথ পেরিয়ে সন্ধে নাগাদ জখম দু'জনকে হলদিয়া আনা হয়। নাব্যতা সঙ্কটের কারণে হলদিয়া ও কলকাতা বন্দরে জাহাজ যাতায়াতের সময় বন্দরের পাইলটরা জাহাজকে পথ দেখান। প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে স্যান্ডহেডে পণ্যবাহী জাহাজ এসে অপেক্ষা করে। এরপর স্যান্ডহেড থেকে জাহাজের চালক হন ক্যাপ্টেনের বদলে বন্দরের নিজস্ব পাইলট। কলকাতা ও হলদিয়া বন্দরের যাতায়াতের জন্য দুটি নির্দিষ্ট জলপথ বা চ্যানেল রয়েছে। ওই চ্যানেল ধরে জাহাজগুলিকে স্যান্ডহেড থেকে বন্দরে আনা বা বন্দর থেকে স্যান্ডহেডে পৌঁছনোর দায়িত্বে থাকেন বিশেষ দক্ষতাসম্পন্ন বন্দরের পাইলটরা। একটি জাহাজ পৌঁছে দিয়ে ফের অপেক্ষমান অন্য জাহাজকে এদিন নিয়ে আসার কথা ছিল প্রতাপবাবুর। এজন্য তিনি বিশ্রাম নেওয়ার জন্য কাজ শেষে পাইওনিয়ার জাহাজ থেকে নামছিলেন। হলদিয়া বন্দরের জেনারেল ম্যানেজার(প্রশাসন) প্রভীনকুমার দাস বলেন, ওই পাইলট জাহাজ থেকে নামার সময় একপ্রান্তের দড়ি হঠাৎ ছিঁড়ে গিয়েছিল বলে শুনেছি। কীভাবে ওই দুর্ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। আপাতত ওই পাইলট এবং নাবিক দু'জনই সুস্থ রয়েছেন। জানা গিয়েছে, বন্দরের ইতিহাসে কখনও এধরনের দড়ি ছিঁড়ে পড়ার ঘটনা ঘটেনি। হলদিয়া বন্দরের শ্রমিক সাংগঠন (শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী পোর্ট) বিএমএস সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ বিজলী বলেন পাইলট ভেসেলগুলি বেসরকারি হাতে দেওয়ার পর নজরদারি নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন যে দড়ি বেয়ে নিয়মিত পাইলট ও নাবিকরা ওঠানামা করেন কেন তা পরীক্ষা করা হয়নি। বন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে শ্রমিক সংগঠনগুলিও।
No comments